তাহলে কি বদলে যাচ্ছে ময়দান! এখন কি ময়দান মিশে যাচ্ছে রাজনীতির সঙ্গে? সম্প্রতি বীরভূমের জেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। তৃণমূল নেতার পাশে তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে চর্চা এবং বিতর্ক কম হচ্ছে না।
বিতর্ক কী নিয়ে?
এর মাঝেই আবার নৈহাটির উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দের সমর্থনে প্রচার চালিয়েছে ময়দান। ময়দানের তিন প্রধান সহ আইএফএ নজিরবিহীন ভাবে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। শতাব্দী প্রাচীন তিন প্রতিষ্ঠান সনৎ দের সমর্থনে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে। এরপরেই নানা মহল থেকে উঠে আসছে নানা মন্তব্য। এতেই বিতর্ক জন্ম দিচ্ছে। প্রশ্ন তুলছে নানা মহল, হঠাৎই খেলার দুনিয়া কেন রাজনীতির গলিতে ঢুকে পড়ছে?
আরও পড়ুন… দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেই সূর্যকুমার যাবদের সামনে একাধিক রেকর্ড গড়ার হাতছানি
কী বললেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব?
এই বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন প্রাক্তন ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব পার্থ সেনগুপ্ত। ‘টিভি নাইন বাংলার’ প্রতিবেদনে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। চেনা ময়দানের এমন বদল দেখে সকলেই অবাক হয়েছেন। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব তথা আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্ত কিন্তু আরও গভীরে ঢুকলেন।
আরও পড়ুন… তোমার কিট ব্যাগটা লক করে রেখে দাও: বাবর আজমকে ফর্ম ফিরতে বিরাট কোহলির পথে হাঁটতে বললেন রিকি পন্টিং
পার্থ সেনগুপ্তের যুক্তি, ‘দলীয় লোক যদি মাঠ করেন, আপত্তির নয়। কখন তাঁরা মাঠের লোকদের ডেকে নিয়ে যান, যখন তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত নয়। সোমেন মিত্র মাঠ করেছেন। কখনও কংগ্রেস পরিচয় দেননি। মানস মুখার্জি মাঠ করেছেন নিজের পরিচয়ে। রাজনৈতিক পরিচয়ে নন। তাঁদের প্রয়োজন পড়েনি ক্লাবের কর্তাদের নিয়ে গিয়ে প্রোজেক্ট করা। যখন ক্লাব কর্তাদের ডেকে আনতে হয়, তখন বুঝতে হয় তাঁদের রাজনৈতিক আধিপত্য তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান ক্লাবের কয়েক কোটি সমর্থক। এই ক্লাবগুলোকে আসলে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
কী বললেন সুব্রত ভট্টাচার্য?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘সাংগঠনিক পদে যারা আছে, এটা তাদের দুর্বলতা। ক্লাবের মূল জায়গায় যারা থাকে, তাদেরই উচিত এই সমস্ত ব্যাপার কন্ট্রোল করা। তারাই ভয় পাচ্ছে। কীসের ভয়? রাজনীতি আর ক্রীড়ানীতি দুটো আলাদা বিষয়। এই সমস্ত কর্তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসেছে। ক্লাবের ভালো করতে আসেনি। রাজ্য যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের তোষামোদ করছে। অবিলম্বে এই কর্তাদের সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া উচিত। ধীরেন দে-র আমলে কিন্তু এটাই হত।’ তবে এরপরেও তিন প্রধান নিজেদের জায়গা ছেড়ে এক বিন্দু নড়ছে না। কর্তারা বলছেন, রাজনীতির কারণে নয়, ক্রীড়া সংগঠক সনতের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।