গত ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে হারিয়ে লা লিগার প্রথম চারের চারের দৌড়ে বড় অক্সিজেন পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে ঠিক পরের ম্যাচই ছন্দপতন। কাতালান ডার্বিতে ৯৬ মিনিটে লুক ডি'জংয়ের গোলে কোনোক্রমে ম্যাচ ড্র করল জাভির বার্সেলোনা।
ম্যাচে কিন্তু আগাগোড়াই বল দখলের লড়াই থেকে সুযোগ তৈরি, সবেতেই এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। মাত্র দুই মিনিটেই গোলও পেয়ে যায় তারা। জর্দি আলবার ক্রস থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন পেদ্রি। ফেরান তোরেস এবং অ্যাডামা ট্রায়োরেও গোল করার সুযোগ পান। তবে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তারা। ম্যাচের গতির খানিকটা বিপরীতে এস্পানিয়ল ম্যাচে ফেরে।
রাউল দে টমাসের সুন্দর স্কিলের জেরে শেষমেশ বল পায়ে পেয়ে যান সার্জিও দার্দের। ৪০ মিনিটে তাঁর বাঁক খাওয়া শট জালে জড়ানোর ফলে প্রথমার্ধ ১-১ শেষ হয়। গোল করে রোনাল্ডোর বিখ্যাত ‘সিউ’সেলিব্রেশন করে বার্সা সমর্থকদের রাগানোর সুযোগ কিন্তু হাতছাড়া করেননি দার্দের। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার হয়ে তরুণ মিডফিল্ডার গাভি গোল করলেও তা ভিএআর বাতিল করে দেয়। তার মিনিট দশকের মধ্যেই বিপত্তি।
ডিফেন্ডার এরিক গার্সিয়ার ভুলের সুযোগে দার্দেরের লং বল পৌঁছয় দে টমাসের কাছে। রিয়াল মাদ্রিদ প্রাক্তনী বার্সেলোনার গোলে বল জড়িয়ে দিতে কোনোরকম ভুল করেননি। ডার্বিতে হার বা জয়ের স্বাদ বরাবরই একটু পৃথকই হয়। ম্যাচ যত গড়ায় উত্তেজনার পারদ তত চড়তে থাকে। ম্যাচের ৯২ মিনিটে বল ছাড়াই মাঠে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জেরার্ড পিকে এবং নিকো মেলামেদ। রেফারি দুইজনকেই লাল কার্ড দেখাতে বাধ্য হন।
এখানেই নাটকের শেষ নয়। ৯৬ মিনিটে ট্রায়ারের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে বার্সাকে ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সমতায় ফেরান ডি'জং। এস্পানিয়লের হয়ে মানু মোর্লানেস ম্যাচের তৃতীয় লাল কার্ড দেখেন। শেষমেশ ঘটনাবহুল ম্যাচ ২-২ সমতায় শেষ হয়। এই ড্রয়ের জেরে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সমান ৩৯ পয়েন্টে থাকলেও, গোল পার্থক্য়ে তাদের পিছনে ফেলে পুনরায় প্রথম চারে জায়গা পাকা করে বার্সা। তবে ছয়ে থাকা রিয়াল সোসিয়াদাদও কিন্তু মাত্র এক পয়েন্টই পিছিয়ে। তাই প্রথম চার একেবারেই পাকা নয় বার্সার। এস্পানিয়ল রইল ১৩ নম্বর স্থানে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।