সাম্প্রতিক সময়ে লিগ কাপে দাপট দেখিয়ে পরপর খেতাব জিতেছে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। পুনরায় খেতাব দখলের লড়াইয়ে তৃতীয় ডিভিশনের ক্লাব ওয়াইকম্বকে হাফ ডজন গোল দিয়ে শুরুটা দারুণভাবে করল চার বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। প্রিমিয়র লিগ ক্লাব নরউইচকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল (ম্যান সিটির সঙ্গে যুগ্মভাবে) পরের রাউন্ডে জায়গা পাকা করলেও হেরে গেল তাদের চিরপ্রতিপক্ষ এভারটন।
সকলকে চমকে দিয়ে ম্যাচে কিন্তু ওয়াইকম্বই লিড নিয়ে নেয়। তবে কেভিন ডি ব্রুইন, রিয়াদ মাহারেজ ও ফিল ফডেনের প্রথমার্ধের গোলে সেই লিড বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এদিন স্ট্রাইকারের ভূমিকায় খেলা ফেরান তোরেস ও কোল পারমারের পাশপাশি দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে জয় সুনিশ্চিত করেন মাহরেজ। ওয়াইকম্বের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ব্র্যান্ড হ্যানলান।
অপরদিকে, নরউইচ সিটির বিরুদ্ধে চার মিনিটেই টাকুমি মিনামিনোর গোলে লিভারপুল এগিয়ে গেলেও প্রথমার্ধ শেষের ঠিক আগে পেনাল্টি থেকে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল নরউইচ। তবে তরুণ গোলরক্ষক কোমিন কেলেহার পেনাল্টি বাঁচিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধে পুনরায় শুরুর দিকেই লিভারপুলের হয়ে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডিভক ওরিগি। মিনামিনো ম্যাচের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয় গোল করে রেডসদের জয় সুনিশ্চিত করেন।
তবে লিভারপুল শহরেরই আরেক দল এভারটন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে ২-২ ব্যবধানে ম্যাচ ড্র করার পর পেনাল্টিতে ৮-৭ ব্যবধানে হারে। ম্যাচে কিউপিআরের হয়ে জোড়া গোল করেন চার্লি অস্টিন। টফিজদের হয়ে গোল পান লুকা ডিনিয়া এবং অ্যান্ড্রস টাউন্সেন্ড। লিডস ইউনাইটেডও ফুলহ্যামের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ম্যাচের পর পেনাল্টিতে তাদেরকে পরাস্ত করে। স্টোক সিটির বিরুদ্ধে পরাস্ত হয় ওয়াটফোর্ড। বার্নলে, সাউদাম্পটন, ব্রেন্টফোর্ড, প্রেস্টন এবং সান্দারল্যান্ডও এইদিন জয় পেয়ে চতুর্থ রাউন্ডে নিজেদের জায়গা পাকা করে।