গত দুই ম্যাচে পরপর হতাশাজনক ড্রয়ের পর ফের এএস মোনাকোর বিরুদ্ধে জয়ের সরণীতে ফিরল প্যারিস সাঁ-জাঁ। নিজের প্রাক্তন দলের বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের জোড়া গোলের সুবাদে ২-০ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় পিএসজি।
ম্যাচের শুরুটা কিন্তু ভালই করেছিল মোনাকো। সোফিয়ান ডিয়পের শট ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটের মাথায় পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা বাঁচিয়ে দেন। তবে ম্যাচে ফিরতে লিগ ওয়ান লিডারদের বেশি সময় লাগেনি। অ্যাঞ্জেল ডি’মারিয়াকে জিব্রিলি সিডিবে পেনাল্টি বক্সে ফাউল করার পর ১২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। ম্যাচের ৪৫ মিনিটে প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে লিওনেল মেসির অ্যাসিস্ট থেকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটিও আসে এমবাপের পা থেকেই।
মেসি গোল না পেলেও ম্যাচে মোটামুটি খেলেন। ৭১ মিনিটে গোল করার সুযোগ পেলেও আর্জেন্তাইনের শটে একটুর জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৮০ মিনিটে ফের গোলের সুযোগ পান মেসি। এবার তাঁর চিপ শটকে তিনি গোলে রাখতে ব্যর্থ হন। একাধিকবার মেসি ভাল জায়গায় পৌঁছেও সতীর্তদের সঠিক পাস বাড়াতে ব্যর্থ হন। কিন্তু অন্যান্য ম্যাচগুলির তুলনায় অন্তত তিনি এই ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই দলের কেউই তেমন বেশি গোল করার সুযোগ পায়নি।
ম্যাচ শেষে অবশ্য পিএসজির নামের পাশেই জয় লেখা থাকবে, যার মাধ্যমে লিগ তালিকার শীর্ষে তাদের দখল আরও মজবুত হন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে মোট ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে প্যারিসের দল। মোনাকো ২৬ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে রইল। প্রসঙ্গত, এই ম্যাচেই কনিষ্ঠতম পিএসজি ফুটবলার হিসেবে লিগে ১০০টি গোল করার নজির গড়ে ফেলেন এমবাপে। পিএসজির পরের ম্যাচ ফরাসি কাপে এফসি ফেইগনিসের বিরুদ্ধে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।