এই সপ্তাহেই নিজের সপ্তম ব্যালন ডি'অর জিতেছেন আর্জেন্তাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। তবে তারপর থেকেই নাগাড়ে দ্বিতীয় ম্যাচে চূড়ান্ত হতাশাজনক পারফরম্যান্স মেসির। সপ্তাহান্তে লেন্সের বিরুদ্ধে জর্জিনিয়ো ওয়াইনালডমের ইনজুরি টাইমের গোলে কোনক্রমে ম্যাচ ড্র করল লিগ ওয়ান লিডাররা।
এই গ্রীষ্মে বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিস সাঁ-জাঁতে যোগ দেওয়ার পর নিজের স্বভাবচিত ছন্দে এখনও অবধি দেখা যায়নি লিওনেল মেসিকে। তবে সাঁ-এটিয়েনের বিরুদ্ধে অ্যাসিস্টের হ্যাট-ট্রিকে মনে হয়েছিল ধীরে ধীরে ফর্মে ফিরছেন তিনি। কিন্তু এক পা এগিয়েই যেন দুই পা পিছিয়ে গেলেন তিনি। ফরাসি লিগের ফিজিক্যাল খেলা স্পেনের টেকনিক্যাল খেলার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেই ফিজিক্যালিটির সঙ্গে মেসি যে এখনও সম্পূর্ণ ধাতস্থ হতে পারেননি তার আরও একটা উদাহরণ দেখা গেল এই ম্যাচে। কাকতালীয়ভাবে মেসির পা থেকেই বল কেড়ে নিয়ে লেন্স গোল করে ম্যাচে লিড নেয়।
৬২ মিনিটে মেসিকে ট্যাকেল করা হলে তিনি মাটিতে পড়ে গেলে কার্যত আধা পিএসজি দল খেলা বন্ধ করে দেয়। সেই সুযোগেই সেকো ফোফানান লেন্সকে এগিয়ে দেন। তবে জয়ের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা লেন্সের স্বপ্নভঙ্গ করেন এ বছরই পিএসজিতে যোগ দেওয়া আরেক তারকা জর্জিনিয়ো ওয়াইনালডম। আরেক সাবস্টিটিউট কিলিয়ান এমবাপের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ওয়াইনালডম।
এদিন ম্যাচে মেসি স্টার্ট করলেও গোড়ালির চোটের কারণে ছিলেন না নেইমার। এমবাপেকেও স্টার্ট করাননি মরেসিও পচেতিনো। বদলে ফরোয়ার্ড লাইনে আর্জেন্তিনিয়ান ত্রয়ী মেসি, মাউরো ইকার্দি এবং অ্যাঞ্জেল ডি‘মারিয়াকে প্রথম একাদশে খেলান পচেতিনো। তবে তাতে দলের পারফরম্যান্স বেশ হতাশজনকই ছিল। কিন্তু এই নিয়ে নাগাড়ে দুই ম্যাচ ড্র করলেও লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্সের থেকে এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছে পিএসজি। তাদের দখলে ১৭ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট। অপরদিকে, সমসংখ্যক ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে লেন্স।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।