এবারের বিশ্বকাপের সেরা দলগত গোলটা কি ফাইনালেই হল? ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আর্জেন্তিনার দ্বিতীয় গোল দেখার পর অনেকেরই সেটা মনে করছেন। দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে যে গোলটা আর্জেন্তিনা করল, তা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো।
রবিবার কাতারে ২৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লিওনেল মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। সেই পেনাল্টি আদায় করেন ডি'মারিয়া। তারপর ৩৬ মিনিটে ডি'মারিয়া যে গোলটা করেন, তা চিরকাল আর্জেন্তিনার মানুষের মননে থেকে যাবে। বিশ্বকাপটা হাতছাড়া হলেও তাঁরা সম্ভবত কোনওদিন সেই গোলটা ভুলবেন না। কারণ ওই গোলটাই এবার যেন আর্জেন্তিনার মন্ত্র।
আরও পড়ুন: ARG vs FRA, FIFA WC 2022 Final Live: এক মিনিটে এমবাপের জোড়া গোলে সমতা ফেরাল ফ্রান্স
কাতারের লুসেল স্টেডিয়ামে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল ফ্রান্স। কিন্তু বল ক্লিয়ার করে দেয় আর্জেন্তিনার রক্ষণভাগ। মাঠমাঠের নীচ থেকে বলটা আলতো করে রিসিভ করেন মেসি। তারপর এক টাচে আলভারেজকে সেই বল দেন। যে পাসটা যেন এবার বিশ্বকাপে মেসির চারটি গোলের সমান ছিল। মেসির সেই পাস ডানপ্রান্তে থাকা আলভারেজ রিসিভ করেননি। মেসির বাড়ানো বলটা তাঁর কাছে আসতেই সামনে ম্যাক অ্যালিস্টারের দিকে ঠেলে দেন আলভারেজ।
আর্জেন্তিনার নম্বর ‘৯’-র ওই এক পাসে ফ্রান্সের রক্ষণভাগ শেষ হয়ে যায়। ফ্রান্সের পেনাল্টি বক্সের ঠিক মাথা থেকে অ্যালিস্টার ডানদিকে ডি'মারিয়ার দিকে বল ঠেলে দেন। যিনি একটি টোকা মেরে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়ে দেন। তারপরই আনন্দে মাঠের বাঁ-দিকে ছুটতে থাকেন ডি'মারিয়া। যিনি উচ্ছ্বাসের মধ্যেও কেঁদে ফেলেন। অবশ্যই সেটা আনন্দ্রাশ্রু ছিল।
তারইমধ্যে ওই গোলে মজে যান সকলে। এক ধারাভাষ্যকার বলতে থাকেন, ‘দুর্ধর্ষ গোল। আর্জেন্তাইন গোল। এটা অবিশ্বাস্য সুন্দর (গোল)।’ অপর এক ধারাভাষ্যকার বলেন, ‘দলগত প্রচেষ্টার নিরিখে এটা এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা গোল। সেই গোলে যে লিওনেল মেসি যুক্ত আছেন, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কী দুর্দান্ত দুটি টাচ হল (মেসির টাচটা)। ও (মেসি) জানত যে অ্যালিস্টার কোথায় আছে, ও জানত যে ডি'মারিয়াকে দেখতে পাচ্ছে অ্যালিস্টার। ও জানত যে ডি'মারিয়া গোল করবে।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।