লিওনেল মেসি বার্সালোনা ছেড়ে প্যারিস সাঁ-জাঁতে (পিএসজি) যোগ দেওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। মাঠে এখনও পিএসজির জার্সি গায়ে মেসিকে খেলতে দেখা না গেলেও আর্জেন্তাইন তারকা ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই মেসির জার্সির চাহিদাও তুঙ্গে। আর এই জার্সি থেকেই বিপুল আর্থিক লাভের মুখ দেখেছেন বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডন।
বিস্ময়কর মনে হলেও এটাই সত্যিই। মেসির জার্সি বিক্রয়ে পিএসজি পাশপাশি শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে জর্ডনেরও। কীভাবে বিশ্বের ফ্যাশন ক্যাপিটাল হিসাবে পরিচিত প্যারিস। সেই শহরের প্রধান দলে যখন মতান্তরে সর্বকালের সেরা ফুটবলার সই করেন, তখন তার জার্সি রমরমিয়ে বিক্রয় হবে এটাই স্বাভাবিক। পিএসজির জার্সি স্পনসর করেন নাইকি, যে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা আবার জর্ডনেরও স্পনসর।
কিছু বছর আগেই পিএসজির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করার সময় ফ্যাশন ক্যাপিটালের সেরা দলের জার্সির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার চুক্তি হয় ক্লাব ও সংস্থার মধ্যে। সেইমতো একমাত্র পিএসজির জন্য অত্যাধুনিক ও শহরের ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে নাইকের এয়ার জর্ডন সাব ব্র্যান্ডের জার্সি বানানোর কথা হয়। বিশ্বের একাধিক দলকে স্পনসর করলেও শুধুমাত্র প্যারিসের ক্লাবের হয়েই এই ব্র্যান্ডের বিশেষ জার্সি বানানোর চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
মাইকেল জর্ডনের নামাঙ্কিত এই ব্র্যান্ডের লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ পান জর্ডন নিজে। সেই অনুযায়ী মেসির জার্সি বিক্রয়ের পাঁচ শতাংশ মূল্য ঘরে ঢুকছে জর্ডনের। তবে এই অঙ্কের পরিমাণ শুনলে রীতিমতো চমকে উঠবেন। আর্জেন্তাইন মিডিয়া TyC Sports-র মতে মেসির নাম ও নম্বর লেখা একটি জার্সির দাম প্রায় ১৬২ ডলার। এই জার্সি বিক্রয় করে পিএসজি এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৪০ মিলিয়ন ডলার লাভ করতে সক্ষম হয়েছে। তার থেকে প্রায় সাত মিলিয়ন ডলার চুক্তি অনুযায়ী পেয়েছেন জর্ডন। মেসির পিএসজিতে আগমনে যে ক্লাবের সঙ্গে জড়িত সকলেরই শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে, তা বলাই বাহুল্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।