নতুন দলে যোগ দেওয়ার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহেরও বেশি। সমর্থকরা আশা করছিলেন হয়তো শুক্রবার রাতেই (ভারতীয় সময় অনুযায়ী শনিবার মধ্যরাত) প্রথমবার প্যারিস সাঁ-জাঁর (পিএসজি) জার্সি গায়ে দেখা মিলবে লিওনেল মেসির। সে গুড়ে বালি। লিগের তৃতীয় ম্যাচেও দেখা মিলল না মেসির।
এদিন ব্রেস্টের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন পিএসজির তারকারা। পিএসজির বিরুদ্ধে রেকর্ড একেবারেই ভাল না ব্রেস্টের। এদিনও মেসি, নেইমার, সার্জিও রামোসদের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও শুরু থেকেই চাপে দেখাচ্ছিল তাদের। তবে দীর্ঘক্ষণ বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও ২৩ মিনিটের মাথায় অবশেষে অ্যান্ডার হারেরার গোলে লিড নেয় পিএসজি। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই সুযোগ সন্ধানী এমবাপে ৩৬ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন। তবে ৪২ মিনিটে হনোরাট ব্রেস্টের হয়ে এক গোল শোধ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ের গোলে যখন পিএসজির জয় নিশ্চিত দেখাচ্ছিল, তখনই নির্ধারিত ৯০ মিনটের পাঁচ মিনিট আগে জালে বল জড়িয়ে প্যারিসের দলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন মুনিয়ে। তবে অবশেষে মেসির অনুপস্থিতিতে পরিবর্ত হিসাবে নামা আরেক আর্জেন্তাইন অ্যাঞ্জেল ডি'মারিয়ার গোলে ৪-২ ব্যবধানে জয় সুনিশ্চিত করে পিএসজি।
মেসি বা নেইমাররা নিয়মিত অনুশীলন করলেও কোপা আমেরিকার পর দীর্ঘ ছুটি কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি ম্যাচ ফিট না হওয়ার জন্যই তাঁদেরকে খেলতে দেখা যাচ্ছে না। তবে দুই দক্ষিণ আমেরিকান মহাতারকার যুগলবন্দি দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকা সমর্থকদের আর খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে মনে হয়না। প্রসঙ্গত, ব্রেস্টকে পরাজিত করে তিন ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে নিজেদের স্থান ধরে রাখল পিএসজি।