ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে আর্জেন্তিনার চতুর্থ গোলটির পরই দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান লিওনেল মেসির। ২০১৪ সালের গ্লানি মুছে ২০২২-এ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন লিওনেল মেসি। প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসির প্রথম প্রতিক্রিয়া কী ছিল? পেনাল্টি শুটআউটে চতুর্থ কিকে গোঞ্জালো মন্টিয়েল গোল করতেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন মেসি। কেঁদে ফেলেন কিংবদন্তি মেসি। দলীয় সতীর্থদের জড়িয়ে ধরেন মেসি। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায়।
বিশ্বকাপ জয়ের পরই মেসির পরিবার মাঠে নেমে আসে। মাঠে নেমে আসেন মেসির খুব প্রিয় বন্ধু তথা প্রাক্তন ফুটবলার কুন আগুয়েরো। ছেলে থিয়াগো এবং মাতেওকে কোলে নিয়ে আদর করতে দেখা যায় মেসিকে। তাদের গালে স্নেহের চুম্বন দিতেও দেখা যায় এলএম১০-কে। কুন আগুয়েরো মেসিকে কাঁধে তুলে নেন। ১৯৮৬ সালে মারাদোনার সেই আইকনিক ছবির পুনরাবৃত্তি ঘটে ২০২২ সালের কাতারে। সতীর্থরাও মেসিকে ঘিরেই উল্লাসে মাতেন। আদতে বিশ্বকাপের আগের থেকেই আর্জেন্তাইন ফুটবলাররা বলে এসেছিলেন,এই বিশ্বকাপ তাঁরা মেসির জন্য জিততে চান। ঠিক যেমন ২০১১ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ধোনিরা জিততে চেয়েছিলেন সচিনের জন্য। আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ বলেছিলেন,প্রাণ দিয়ে হলেও মেসিকে জেতাবেন তিনি। মার্টিনেজ ঠিক সেটাই করলেন ফাইনালে। অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে একটি অবিশ্বাস্য গোল বাঁচান। এরপর শুটআউটেও একটি পেনাল্টি বাঁচান। সবাই যেন মেসির জয়ের জন্যই প্রার্থনা করছিলেন। সেই প্রার্থনা শুনেই ফুটবল ঈশ্বর যেন কাপটা তুলে দিলেন মেসির হাতে।
ফাইনালে দু’টি গোল করা মেসি এই বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল (শ্রেষ্ঠ ফুটবলার) পেয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এই ট্রফি উঠল তাঁর হাতে। এর আগে কোনও ফুটবলারই এই ট্রফি দু’বার জিততে পারেননি। ৩৫ বছর বয়সেও বিশ্বকাপে দলের হয়ে প্রতিটি সেকেন্ড খেলেন মেসি। তবে বিশ্বকাপ জয় তাঁর সব ক্লান্তি দূর করে দেয়। হাতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্বকাপ ওঠার আগেই সেটিকে চুম্বন করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে পেয়েও বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা যায় মেসির মধ্যে। এরপর ড্রেসিংরুমে গিয়ে শিশুসুলভ ভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে মেসিকে।