সেমিফাইনালে পেরুকে ১-০ গোলে পরাজিত করে কোপা আমেরিকার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ব্রাজিল। অন্যদিকে, শেষ চারে কলম্বিয়াকে পেনাল্টি শুট-আউটে ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয় আর্জেন্তিনা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। এবার কোপার খেতাবি লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা। শেষমেশ ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপার খেতাব পুনরুদ্ধার করে আর্জেন্তিনা।
১৫ বার চ্যাম্পিয়ন
সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ ও কোপা মিলিয়ে মোট ১৫ বার খেতাব জিতল আর্জেন্তিনা। তারা ছুঁয়ে ফেলে উরুগুয়েকে। আপাতত সবথেকে বেশি ১৫ বার করে কোপা জয়ের রেকর্ড যুগ্মভাবে লেখা রইল উরুগুয়ে ও আর্জেন্তিনার নামে। যদিও সবথেকে বেশি ২৯ বার ফাইনালে ওঠা ও ৩৬ বার প্রথম চারে শেষ করার সুবাদে কোপার ইতিহাসে সবথেকে সফল দলে পরিণত হল আর্জেন্তিনা।
খেতাব পুনরুদ্ধার আর্জেন্তিনার
১৯৯৩ সালের পর অবশেষে শাপমুক্তি। ২৮ বছর পর ফের কোপার খেতাব পুনরুদ্ধার করল আর্জেন্তিনা।
কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্তিনা
অবশেষে বড় মঞ্চে ব্রাজিলের হার্ডল টপকাতে পারল আর্জেন্তিনা। মারাকানায় ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা ২০২১-এ চ্যাম্পিয়ন হলেম মেসিরা।
ম্যাচ শেষ, আর্জেন্তিনা জয়ী
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ। ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে জয়ী আর্জেন্তিনা।
সেভ
৯০+৩ মিনিটে ডি'পলের আক্রমণ প্রতিহত করেন এডারসন।
৫ মিনিট স্টপেজ টাইম
দ্বিতীয়ার্ধে ৫ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
সহজ সুযোগ নষ্ট মেসির
৮৯ মিনিটের মাথায় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মেসি। ৬ গজ দূরত্ব থেকে ব্রাজিলের গোলকিপারকে পরাস্ত করলেই আর্জেন্তিনা লিড বাড়িয়ে নিতে পারত। সুযোগ নষ্ট করেন মেসি।
হলুদ কার্ড
৮৯ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার মন্তিয়েল। তার আগে ৮৭ মিনিটের মাথায় বারবোসার শট প্রতিহত করেন আর্জেন্তিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
সুযোগ নষ্ট
৮৫ মিনিটের মাথায় নেইমারের কর্ণার কিক থেকে হেডে আর্জেন্তিনার জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন থিয়াগো সিলভা। তবে তাঁর হেডার ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
শট বাইরে
৮৩ মিনিটের মাথায় ২৫ গজ দূর থেকে দানিলোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে উড়ে যায়।
আক্রমণ ব্যাহত
৮৩ মিনিটে পেজেল্লার আক্রমণ ব্যাহত হয় ভিনিসিয়াসের পায়ে।
হলুদ কার্ড
ওতামেন্দির চ্যালেঞ্জের পর আগ্রাসী আচরণের জন্য ৮২ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের মারকিনহোস।
হলুদ কার্ড
৮১ মিনিটের মাথায় নেইমারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার ওতামেন্দি।
আর্জেন্তিনার তিনটি পরিবর্ত
৭৯ মিনিটে একসঙ্গে তিনজন পরিবর্ত ফুটবলারকে মাঠে নামায় আর্জেন্তিনা। রোমেরো, ডি মারিয়া ও এল মার্টিনেজকে তুলে নিয়ে আর্জেন্তিনা মাঠে নামায় পেজেল্লা, পালাসিয়স ও গঞ্জালেজকে।
ব্রাজিলের জোড়া পরিবর্ত
৭৬ মিনিটে রেনান লোদি ও পাকুয়েতাকে তুলে নিয়ে ব্রাজিল মাঠে নামায় এমার্সন ও বারবোসাকে।
হলুদ কার্ড
ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ম্যাচ। ৭২ মিনিটের মাথায় ট্যাগলিয়াফিকোকে ফাউল করার জন্য রেফারি হলুদ কার্ড দেখান ব্রাজিলের পাকুয়েতাকে।
আক্রমণ ব্যর্থ
৭১ মিনিটে পাকুয়েতার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
হলুদ কার্ড
৭০ মিনিটের মাথায় ডি'পলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ব্রাজিলের রেনান লোদি।
হলুদ কার্ড
৬৮ মিনিটের মাথায় নেইমারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন আর্জেন্তিনার ডি'পল।
ব্রাজিলের পরিবর্ত
৬৩ মিনিটে এভার্টনকে তুলে নিয়ে ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে মাঠে নামায় ব্রাজিল।
আর্জেন্তিনার পরিবর্ত
৬৩ মিনিটে লো সেলসোকে তুলে নিয়ে ট্যাগলিয়াফিকোকে মাঠে নামায় আর্জেন্তিনা।
মার্টিনেজের সেভ
৫৫ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসনের আক্রমণ প্রতিহত করেন আর্জেন্তিনা গোলকিপার মার্টিনেজ।
আর্জেন্তিনার পরিবর্ত
৫৪ মিনিটের মাথায় পারেদেসকে তুলে নিয়ে রডরিগেজকে মাঠে নামায় আর্জেন্তিনা।
গোল বাতিল
৫২ মিনিটের মাথায় আর্জেন্তিনার জালে বল জড়ান রিচার্লিসন। তবে অফসাইডের জন্য গোল বাতিল হয়।
হলুদ কার্ড
৫১ মিনিটের মাথায় নেইমারকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন অর্জেন্তিনার লো সেলসো।
ব্রাজিলের আক্রমণ
৪৮ মিনিটের মাথায় রিচার্লিসন আক্রমণ শানান আর্জেন্তিনার বক্সে। যদিও তা ফলপ্রসূ হয়নি।
ব্রাজিলের পরিবর্ত
দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রেডের পরিবর্তে রবার্তো ফির্মিনোকে মাঠে নামায় ব্রাজিল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়েছিল আর্জেন্তিনা। কোপা ফাইনালের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
হাফ-টাইম
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ডি মারিয়ার গোলে বিরতিতে ১-০ এগিয়ে আর্জেন্তিনা।
১ মিনিট স্টপেজ টাইম
প্রথমার্ধে ১ মিনিট সময় সংযোজিত হয়।
আক্রমণ ব্যর্থ
৪৪ মিনিটে নেইমারের কর্ণার থেকে বল ধরে আক্রমণ শানান রিচার্লিসন। যদিও তা মাঠের বাইরে চলে যায়।
মার্টিনেজের সেভ
৪২ মিনিটের মাথায় এভার্টনের আক্রমণ প্রতিহত হয় আর্জেন্তিনা গোলরক্ষক মার্টিনেজের দস্তানায়।
ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে ব্যর্থ ব্রাজিল
২৫ গজের বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রি-কিক পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাজিল। ৩৪ মিনিটে নেইমারের ফ্রি-কিক দেওয়ালে প্রতিহত হয়।
হলুদ কার্ড
৩৩ মিনিটে নেইমারকে ফাউল করার জন্য হলুদ কার্ড দেখেন পারেদেস।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৩২ মিনিটে মেসির শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৩০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত
৩০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। নেইমারকে সেই অর্থে সক্রিয়ে দেখায়নি।
মার্টিনেজের দস্তানায় বল
২৬ মিনিটের মাথায় ক্যাসেমিরোর শট মার্টিনেজের দস্তানায় জমা পড়ে।
ডি মারিয়ার নজির
২০০৪ সালে সিজার দেলগাদোর পর দি মারিয়া প্রথম আর্জেন্তাইন ফুটবলার, যিনি কোপার ফাইনালে গোল করলেন।
ডি মারিয়ার গোল
২২ মিনিটের মাথায় ডি মারিয়ার গোলে ১-০ এগিয়ে যায় আর্জেন্তিনা। ফাইনালের প্রথম একাদশে ডি মারিয়াকে ফিরিয়ে তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন আর্জেন্তিনা কোচ। আস্থার যথাযথ মর্যাদা রাখেন তিনি। মাঝমাঠ থেকে ডি'পলের বাড়ানো বল ধলে ব্রাজিল গোলকিপার এডারসনের মাথার উপর তা জালে জড়িয়ে দেন ডি মারিয়া। এক্ষেত্রে রেনান লোদির সামনে সুযোগ ছিল ডি মারিয়া বল ধরার আগেই তা প্রতিহত করার। যদিও তিনি ব্যর্থ হন। তাঁর ভুলের সুযোগে আর্জেন্তিনা ম্যাচে লিড নিয়ে নেয়।
ব্রাজিলের আক্রমণ ব্যাহত
১৩ মিনিটের মাথায় বক্সে নেইমারের দিকে বল বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন রিচার্লিসন। তবে বাধা দেন ওতামেন্দি।
১০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত
১০ মিনিটের খেলা অতিক্রান্ত। উভয় দলই একে অপরকে বিন্দুমাত্র জমি ছাড়তে নারাজ। বেশ কয়েকটা কড়া ট্যাকল চোখে পড়েছে ইতিমধ্যেই। রেফারিকে বাড়তি ঘাম ঝরাতে হবে সন্দেহ নেই।
হলুদ কার্ড
ম্যাচের শুরুতেই হলুদ কার্ড দেখলেন ব্রাজিলের ফ্রেড। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় মন্তিয়েলকে ফাউল করার জন্য রেফারি কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন তাঁকে।
ম্যাচ শুরু
দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে মারাকানায় শুরু কোপা আমেরিকার ফাইনাল।
কোপায় সাফল্য
এখন পর্যন্ত ১৪ বার দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শিরোপা জিতেছে আর্জেন্তিনা আর ৯ বার কোপায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। আর্জেন্তিনা শেষবার কোপা আমেরিকা জেতে ১৯৯৩ সালে। অন্যদিকে ব্রাজিল কোপার গতবারের চ্যাম্পিয়ন। আর্জেন্তিনা চ্যাম্পিয়ন হলে ২৮ বছর পর খেতাব জিতবে। ব্রাজিল ১৯৯৭ থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার ট্রফি ঘরে তুলেছে। আর্জেন্তিনা চ্যাম্পিয়ন হলে তারা সবথেক বেশি বার কোপা জয়ের নিরিখে উরুগুয়েকে (১৫) ছুঁয়ে ফেলবে।
কোপায় মুখোমুখি সাক্ষাৎ
কোপা আমেরিকার দ্বৈরথে এগিয়ে মেসির দেশ। কোপায় এখনও পর্যন্ত ৩৩টি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা। যারমধ্যে আর্জেন্তিনা জিতেছে ১৫টি ম্যাচ ও ব্রাজিল জিতেছে ১০টিতে, ড্র হয়েছে ৮টি ম্যাচ। গোলের সংখ্যার দিকেও এগিয়ে রয়েছে আর্জেন্তিনা। আর্জেন্তিনা কোপায় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৫২টি গোল করেছে। অন্যদিকে, আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে নেইমারের ব্রাজিল করেছে ৪০টি গোল।
কোন পথে ফাইনালে আর্জেন্তিনা
আর্জেন্তিনার গ্রুপের লড়াই:-
১. চিলির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে।
২. উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়।
৩. প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।
৪. বলিভিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে।কোয়ার্টার ফাইনাল:- ইকুয়েডরকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয়।সেমিফাইনাল:- কলম্বিয়াকে পেনাল্টি শুট-আউটে ৩-২ গোলে হারিয়ে দেয়। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১।
কোন পথে ফাইনালে ব্রাজিল
ব্রাজিলের গ্রুপের লড়াই:-
১. ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে।
২. পেরুকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে।
৩. কলম্বিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে দেয়।
৪. ইকুয়েডরর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে।কোয়ার্টার ফাইনাল:- চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়।সেমিফাইনাল:- পেরুকে ১-০ গোলে পরাজিত করে।
প্রথম একাদশে রদবদল
ব্রাজিল সেমফাইনালের অপরিবর্তিত প্রথম একাদশে ফাইনালেও মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি তাদের পরিবর্ত ফুটবলারের তালিকাও অপরিবর্তিত। তবে আর্জেন্তিনা প্রথম একাদশে একসঙ্গে পাঁচটি রদবদল করে। রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠানো হয় জেল্লা, গঞ্জালেজ, মলিনা, ট্যাগলিয়াফিকো ও রডরিগেজকে। প্রথম একাদশে ঢোকেন আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
আর্জেন্তিনার পরিবর্ত ফুটবলার
আর্মানি, ট্যাগলিয়াফিকো, পেজেল্লা, মার্চেসিন, অগুয়েরো, পালাসিয়স, গঞ্জালেজ, রডরিগেজ, কোরেয়া, গোমেজ, লিসান্দ্রো মার্টিনেজ, মলিনা।
ব্রাজিলের পরিবর্ত ফুটবলার
অ্যালিসন, অ্যালেক্স সান্দ্রো, রিবেইরো, উইভার্টন, এমার্সন, মিলিতাও, ফ্যাবিনহো, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রবার্তো ফির্মিনো, বারবোসা, অর্টিজ, ডগলাস লুইজ।
আর্জেন্তিনার প্রথম একাদশ
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, ডি'পল, মেসি, ওতামেন্দি, লো সেলসো, মার্টিনেজ এল, আকুনা, রোমেরো, মন্তিয়েল, পারেদেস ও ডি মারিয়া।
ব্রাজিলের প্রথম একাদশ
এডারসন, দানিলো, থিয়াগো সিলভা, মারকিনহোস, ক্যাসোমিরো, রিচার্লিসন, ফ্রেড, নেইমার, রেনান লোদি, লুকাস পাকুয়েতা ও এভার্টন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।