কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন পেনাল্টি শুট-আউটে ৩-১ গোলে পরাজিত করে সুইজারল্যান্ডকে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। অন্যদিকে, ইতালি শেষ আটের লড়াইয়ে ২-১ গোলে হারিয়ে দেল বেলজিয়ামকে। এবার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার লড়াইয়ে সম্মুখসমরে নামে ইতালি ও স্পেন। পেনাল্টি শুট-আউটে স্পেনকে হারিয়ে খেতাবি লড়াইয়ে জায়গা করে নেয় ইতালি।
ট্র্যাডিশন বজায় রইল
এপর্যন্ত কোনও দল ইউরোর একটি আসরে দু'বার পেনাল্টি শুট-আউটে জেতেনি। স্পেন ইতালির কাছে শুট-আউটে হেরে বসায় সেই ট্র্যাডিশন বজায় রইল। কেননা স্পেন কোয়ার্টার ফাইনালে শুট-আউটে পরাজিত করে সুইজারল্যান্ডকে।
স্পেনের পেনাল্টি শুট-আউট
মিস, গোল, গোল, মিস। পঞ্চম শট মারার প্রয়োজন হয়নি।
ইতালির পেনাল্টি শুট-আউট
মিস, গোল, গোল, গোল, গোল।
ইতালি জয়ী
নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে থাকার পর ইতালি সেমিফাইনাল জিতে নেয় পেনাল্টি শুট-আউটে। শুট-আউটের ফর ইতালির পক্ষে ৪-২।
ইতালির গোল
গোল করেন জোরগিনহো।
স্পেনের পেনাল্টি মিস
মোরাতার শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার।
ইতালির গোল
গোল করেন বার্নারদেসচি।
স্পেনের গোল
গোল করেন আলকান্তারা।
ইতালির গোল
গোল করেন বোনুচ্চি।
স্পেনের গোল
গোল করেন মোরেনো।
ইতালির গোল
গোল করেন বেলোত্তি।
স্পেনের পেনাল্টি মিস
দানি ওলমোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়।
ইতালির পেনাল্টি মিস
লোকাতেল্লির শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার।
শুট-আউট শুরু
পেনাল্টি শুট-আউট শুরু।
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ
অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষ। ম্যাচ এখনও ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে। ফলাফল নির্ধারিত হবে পেনাল্টি শুট-আউটে।
হলুদ কার্ড
১১৮ মিনিটের মাথায় মোরাতাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বোনুচ্চি।
অফসাইড
১১৬ মিনিটের মাথায় ফের অফসাইডের আওতায় পড়েন ইতালির বেলোত্তি।
অফসাইড
১১৩ মিনিটে ইতালির বেলোত্তি অফসাইডের আওতায় পড়েন।
অফসাইড
১১০ মিনিটের মাথায় ইতালির বেরারদি অফসাইডের আওতায় পড়েন।
স্পেনের পরিবর্ত
১০৯ মিনিটের মাথায় গার্সিয়াকে তুলে নিয়ে পাউ তোরেসকে মাঠে নামায় স্পেন।
ইতালির পরিবর্ত
১০৭ মিনিটে সিয়েসাকে তুলে নিয়ে বার্নারদেসচিকে মাঠে নামায় ইতালি।
স্পেনের পরিবর্ত
১০৫ মিনিটে সার্জিও বদলে স্পেন মাঠে নামায় আলকান্তারাকে।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষ
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষ। ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে।
অফসাইড
১০৩ মিনিটের মাথায় অফসাইডের আওতায় পড়েন ইতালির বেলোত্তি।
দোনারুমার সেভ
৯৮ মিনিটে ওলমোর আক্রমণ প্রতিহত করেন দোনারুমা।
হলুদ কার্ড
৯৮ মিনিটের মাথায় হলুদ কার্ড দেখেন ইতালির রাফায়ে।
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শুরু
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শুরু।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ম্যাচ ১-১ গোলের সমতায় দাঁড়িয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ফলাফল নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে।
মোরাতার রেকর্ড
ইউরোয় স্পেনের হয়ে সবথেকে বেশি ৬টি গোল করার রেকর্ড গড়লেন মোরাতা। তিনি পিছনে ফেলে দিলেন ফার্নান্দো তোরেসকে (৫)।
স্পেনের পরিবর্ত
৮৫ মিনিটে অ্যাজপিলিকুয়েতার বদলে স্পেন মাঠে নামায় মার্কোস লরেন্তেকে।
ইতালির জোড়া পরিবর্ত
৮৫ মিনিটে বারেল্লা ও ইনসাইনকে তুলে নিয়ে লোকাতেল্লি ও বেলোত্তিকে মাঠে নামায় ইতালি।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৮৩ মিনিটের মাথায় ইতালির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন সার্জিও। যদি বল টার্গেটে রাখতে পারেননি তিনি।
মোরাতার গোল
পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই গোল করলেন মোরাতা। ৮০ মিনিটে ওলমোর পাস থেকে মোরাতার করা গোলের সুবাদেই ম্য়াচে ১-১ সমতা ফেরায় স্পেন।
উনাইয়ের সেভ
৮০ মিনিটের মাথায় বেরারদির আক্রমণ প্রতিহত করেন উনাই।
ইতালির জোড়া পরিবর্ত
৭৪ মিনিটে ভেরাত্তিকে মাঠে নামিয়ে মাতেওকে মাঠে নামায় ইতালি। এমারসনের বদলে মাঠে নামেন রাফায়েল।
স্পেনের জোড়া পরিবর্ত
৭০ মিনিটের মাথায় মিকেল ও কোকের বদলে মোরেনো ও রদ্রিকে মাঠে নামায় স্পেন।
উনাইয়ের সেভ
৬৮ মিনিটের মাথায় বেরারদির শট প্রতিহক করেন উনাই।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৬৭ মিনিটের মাথায় ওলমোর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
স্পেনের পরিবর্ত
৬২ মিনিটের মাথায় ফেরান তোরেসকে তুলে নিয়ে মোরাতাকে মাঠে নামায় স্পেন। একজন মিডফিল্ডারের বদলে স্ট্রাইকার নামিয়ে স্পেন তাদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দেয়।
ইতালির পরিবর্ত
৬১ মিনিটের মাথায় ইমমোবিলকে তুলে নিয়ে বেরারদিকে মাঠে নামায় ইতালি।
সিয়েসার গোল
৬০ মিনিটের মাথায় গোল করেন সিয়েসা। তিনি স্পেনের শেষ ডিফেন্স ভেঙে ইতালিকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন।
দোনারুমার সেভ
৫৮ মিনিটের মাথায় মিকেলের আক্রমণ প্রতিহত করেন ইতালির গোলকিপার দোনারুমা।
উনাইয়ের সেভ
৫৩ মিনিটের মাথায় সিয়েসার শট প্রতিহত করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৫২ মিনিটের মাথায় সার্জিওর ডানপায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
হলুদ কার্ড
৫১ মিনিটের মাথায় ইমমোবিলকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন সার্জিও।
ইতালির আক্রমণ
৪৯ মিনিটের মাথায় ইমমোবিল স্পেনের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করেন। তবে তাঁর প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। বল মাঠের বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু।
হাফ-টাইম
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য। ম্যাচের প্রথমার্ধে স্পেন তুলনায় পরিকল্পিত ফুটবল উপহার দেয়। তাদের দাপটই ছিল বেশি।
ক্রসবারে প্রতিহত বল
গোলের সুযোগ হাতছাড়া ইতালির। ৪৫ মিনিটে এমারসনের শট ক্রসবারে প্রতিহত হয়। ম্যাচের প্রথমার্ধে এটিই স্পেনের পোস্ট লক্ষ্য করে ইতালির একমাত্র যথাযথ শট।
শট লক্ষ্যভ্রষ্ট
৩৯ মিনিটে মিকেলের শট ইতালির পোস্টের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
স্পেনের আক্রমণ ব্যর্থ
৩৩ মিনিটের মাথায় ইতালির পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ওলমো। যদিও বল ক্রসবারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়।
দোনারুমার সেভ
২৫ মিনিটের মাথায় দানি ওলমোর শট প্রতিহত করেন ইতালির গোলরক্ষক দোনারুমা।
স্পেনের আক্রমণ ব্যর্থ
ম্যাচের ১৫ মিনিটের মাথায় ফেরান তোরেস ইতালির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন। যদিও টার্গেটে ছিল না তাঁর শট।
অফসাইড
৫ মিনিটের মাথায় ফের একবার ইতালির আক্রমণ থমকে যায় ইমমোবিল অফসাইডের আওতায় পড়ায়।
অফসাইড
৩ মিনিটের মাথায় ইতালির বারেল্লা অফসাইডের আওতায় পড়েন। ভেস্তে যায় ইতালির আক্রমণ। যদিও বারেল্লার শট এক্ষেত্রে পোস্টে প্রতিহত হয়।
ম্যাচ শুরু
ইতালি ও স্পেন, দু'দেশের জাতীয় সঙ্গীতের পর রেফারির বাঁশিতে শুরু ইউরো ২০২০-র হাই-ভোল্টেজ সেমিফাইনাল ম্যাচ।
স্পেনের পরিবর্ত ফুটবলার
ডেভিড ডি'গেয়া, দিয়েগো লরেন্তে, পাউ তোরেস, মার্কস লরেন্তে, মোরাতা, মোরেনো, আলকান্তারা, স্যাঞ্চেজ, গায়া, রদ্রি, পেনা, ত্রাওরে।
ইতালির পরিবর্ত ফুটবলার
সিরিগু, লোকাতেল্লি, বেলোত্তি, বেরারদি, মাতেও, ফ্রান্সেসকো, ক্রিসতান্তে, বার্নারদেসচি, বাস্তনি, ফ্লোরেঞ্জি, রাফায়েল, অ্যালেক্স।
প্রথম একাদশে রদবদল
ইতালি স্পিনাজ্জোলাকে বসিয়ে মাঠে নামায় এমারসনকে। স্পেন রিজার্ভ বেঞ্চে পাঠায় পাউ তোরেস ও মোরাতাকে। দলে নেই সারাবিয়া। তারা মাঠে নামায় গার্সিয়া, ওলমো ও মিকেলকে।
স্পেনের প্রথম একাদশ
উনাই সিমন, আলবা, লাপোর্তে, গার্সিয়া, অ্যাজপিলিকুয়েতা, পেদ্রি, সার্জিও, কোকে, ওলমো, মিকেল, ফেরান তোরেস।
ইতালির প্রথম একাদশ
দোনারুমা, লরেঞ্জো, বোনুচ্চি, চিয়েল্লিনি, এমারসন, বারেল্লা, জোরগিনহো, ভেরাত্তি, সিয়েসা, ইমমোবিল, ইনসাইন।
অনবদ্য নজির ইতালির
বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে ইতালি এই নিয়ে মোট ১২ বার বড় টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে উঠেছে। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে একমাত্র জার্মানি তাদের থেকে বেশি ২০ বার এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছে।
১০০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড
চলতি ইউরোয় যে চারটি দল সেমিফাইনালে উঠেছে, একমাত্র ইতালিই ৫টি ম্যাচের সবক'টিতে জিতেছে।
ইউরোয় স্পেন-ইতালি
এই নিয়ে ইউরোয় মোট ৭ বার পরস্পরের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে স্পেন ও ইতালি। টানা চারটি ইউরোর নক-আউটে সম্মুখসমরে নামছে দু'দল। ২০০৮ ও ২০১২ সালে স্পেন জেতে। ২০১৬ সালে ইতালি ছিটকে দেয় স্পেনকে।
বড় টুর্নামেন্টে ইতালি-স্পেন
ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে বড় টুর্নামেন্টে এর আগে ৯ বার পরস্পরের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে ইতালি ও স্পেন। ইতালি জিতেছে ৪টি ম্যাচ। ড্র হয়েছে ৪টি ম্যাচ। স্পেন জিতেছে ১টি ম্যাচ।
মুখোমুখি সাক্ষাতের ফলাফল
স্পেনের বিরুদ্ধে শেষ ১৪টি ম্যাচে মাঠে নেমে মাত্র ২ বার জিতেছে ইতালি। ২০১১ সালে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পায় ইতালি। ২০১৬ সালে ইউরোর প্রি-কোয়ার্টারে ২-০ গোলে জয় তুলে নেয় তারা। ৭টি ম্য়াচ ড্র হয়। ৫টি ম্যাচ জেতে স্পেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।