এসসি ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের একমাত্র টিম, যারা এই মরশুমে কোনও ম্যাচে এখনও জয় পায়নি। মঙ্গলবার এফসি গোয়াও এই মরশুমে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল। কিন্তু লাল-হলুদের জয় এখনও অধরা। যা জঘন্য ডিফেন্স, এই নিয়ে ম্যাচ জেতা কার্যত অসম্ভব। ম্যানুয়েল দিয়াজ ব্রিগেড একেবারেই টিমগেম খেলছে না। মূলত একক দক্ষতার কারণে গোলগুলো তাও হচ্ছে। এ দিন ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার লাস্টবয় হয়ে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গল। আর লাল-হলুদকে ৪-৩ হারিয়ে লিগ তালিকার দশ নম্বরে উঠে এল গোয়ার দলটি।
লাল-হলুদের ব্যর্থতার পিছনে রক্ষণের দুর্বলতা যেমন একটি কারণ, তেমনই আরও কিছু কারণ রয়েছে।
১) ইস্টবেঙ্গল টিমের মধ্যে এখনও কোনও রকম বোঝাপড়া গড়ে ওঠেনি। তারা পাঁচ ম্যাচে খেলে ফেললেও, জয় অধরাই রয়ে গিয়েছে। নিজেরা গোল করলেও সংগঠিত ফুটবল কিন্তু তারা খেলছে না। ভালো ফল করার মরিয়া ভাবটাই নেই টিমের মধ্যে।
২) প্রথম ম্যাচ থেকেই দেখা গিয়েছে লাল-হলুদের রক্ষণ অত্যন্ত খারাপ। ৪ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল তারা হজম করে ফেলেছে। শুধুমাত্র চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করেছিল। রক্ষণের হতশ্রী পারফরম্যান্স লাল-হলুদের ব্যর্থতার বড় কারণ।
৩) খেলা তৈরি হওয়ার জন্য যে গভীরতা থাকা উচিত একটা টিমের মধ্যে, তার ছিটেফোঁটাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না লাল-হলুদের মধ্যে। ফুটবলাররা টিম হিসেবেই খেলছেন না।
৪) রক্ষণ আর মাঝমাঠের পারফরম্যান্স জিরো। যে কারণে একের পর এক গোল খেয়ে চলেছে লাল-হলুদ বাহিনী। কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে তারা গোল পাচ্ছে ঠিকই, তবে সেগুলো বেশিটাই একক দক্ষতায় হচ্ছে।
৫) কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ এখনও সেরা প্রথম একাদশই বেছে উঠতে পারেননি। প্রতিটি ম্যাচেই দলে বদল করে চলেছেন তিনি। গোয়ার বিরুদ্ধেই যেমন দলে ৫টি পরিবর্তন করেছিলেন দিয়াজ। ৫ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামার পরেও টিম গুছিয়ে উঠতে না পারাটা নিঃসন্দেহে কোচের বড় ব্যর্থতা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।