ফের ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে হারল চেলসি। তাও আটচল্লিশ ঘণ্টার ব্যবধানে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ধাক্কা খাওয়ার পর এ বার এফএ কাপেও গুড়িয়ে গেল চেলসি। রবিবার ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে জিতে চতুর্থ রাউন্ডে উঠল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ছিটকে গেল চেলসি। এ দিকে স্টিভেনেজের কাছে ১-২ হারল অ্যাস্টনভিলা।
আর্লিং হালান্ডকে ছিলেন না। কেভিন দ্য ব্রুইন, ইলখাই গুন্দোয়ানদের দলে রাখা হয়নি। তবুও এফএ কাপের ম্যাচে চেলসিকে হেসেখেলে হারালেন পেপ গুয়ার্দিওলার ছেলেরা। রিয়াদ মাহরেজ, ফিল ফোডেন ও জুলিয়ান আলভারেজের গোলে চেলসিকে তারা কার্যত ৪-০ উড়িয়ে দিল। মাহরেজ জোড়া গোল করেছেন।
চেলসিকে উড়িয়ে দিল সিটি
গত শুক্রবার স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ঘরের মাঠে লড়াই করে ০-১ গোলে হেরেছিল চেলসি। রবিবার এতিহাদ স্টেডিয়ামেও পাল্টাল না ছবিটা। শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ২৩ মিনিটের মধ্যে সিটিকে এগিয়ে দেন রিয়াদ মাহরেজ। চার মিনিটের মধ্যে ফের ধাক্কা খায় চেলসি। ২৭ মিনিটের মাথায় নিজেদের বক্সের মধ্যে হাভাৎজের হাতে বল লাগে। ভিডিয়ো প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রেফারি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় ফুটবলের উন্নতিতে ওয়েঙ্গারের সাহায্য প্রার্থনা ফেডারেশন প্রেসিডেন্টের
পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি আর্জেন্তিনার তারকা জুলিয়ান আলভারেজ। ২-০ পিছিয়ে পড়লে মারাত্মক চাপে পড়ে যায় চেলসি। আর সেই সুযোগটা কাজে লাগায় সিটি। ৩৮ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে ৩-০ করেন ফোডেন।
বিরতির আগেই ৩-০ করে ম্যাচের রাশ কার্যত পুরোটাই নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। দ্বিতীয়ার্ধেও বজায় ছিল সিটির আক্রমণের ঝড়। তবে এই অর্ধে একটি গোলই হয়েছে। খেলার ৮৩ মিনিট নাগাদ বক্সে ফাউল করেন কালিদোউ কোলিবালি। সিটি পেনাল্টি পেলে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের হয়ে চতুর্থ গোল করেন মাহরেজ।
আরও পড়ুন: অলৌকিক কিছু না ঘটলে সেরা ছয়ে থাকা যাবে না- ওড়িশার কাছে হেরে মেনে নিলেন EB কোচ
এ দিকে, উলভসের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে এগিয়ে গিয়েও জয় হাতছাড়া লিভারপুলের। শনিবার রাতে অ্যানফিল্ডে এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের দ্বৈরথ শেষ হল নাটকীয় ভাবে। অফসাইডে গোল বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ উলভস ম্যানেজার ইউলিয়ান লোপেতেগি।
হারল অ্যাস্টনভিলা
স্টিভেনেজের বিরুদ্ধে ম্যাচে অ্যাস্টনভিলার কোচ উনাই এমেরি দলে আটটি পরিবর্তন করেছিলেন। লিগ টু-তে বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে থাকে দলটিকে যার জেরে খেসারত দিতে হয় ম্যাচ হেরে। প্রথমে লিড নিয়েছিল ভিলা। তবে শেষ তিন মিনিটেই ম্যাচের রং বদলে দেয় স্টিভেনেজ।
শুরুতে ভিলার হাতেই ছিল খেলার রাশ। এমন কী গোলের মুখ প্রথমে খুলেছিল অ্যাস্টনভিলাই। মরগ্যান সানসন ৩৩ মিনিটে ভিলাকে এগিয়ে দেন। এই গোল তারা ধরে রেখেছিল ৮৭ মিনিট পর্যন্ত। কিন্তু এর পরেই বদলে যায় পুরো ছবিটাই। ডিন ক্যাম্পবেলকে ফাউল করে বসেন লিয়েন্ডার ডেনডনকার। জেমি রিড ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান। আর ক্যাম্পবেল নির্ধারিত সময়ের একেবারে শেষ মিনিটে স্টিভেনেজকে এগিয়ে দেন। ২-১ ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে স্টিভেনেজ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।