মহমেডান স্পোর্টিংকে হারিয়েছিল কিবু ভিকুনার ডায় মন্ড হারবার এফসি। এবার তারা হারিয়ে দিল মোহনবাগানকেও। ম্যাচের ৪২ সেকেন্ড ডায়মন্ড হারবারের সুপ্রিয় পন্ডিত একটি গোল করেছিলেন। গোটা ম্যাচে এই গোলটি বাদ দিলে আর কোনও গোল হয়নি। ডায়মন্ড হারবার রক্ষণ সামলে নিজেদের মতো করেই গোল বাঁচানোর লড়াই করে গিয়েছে। কিন্তু ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ডায়মন্ড হারবার ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত লজ্জার। প্রায় এক ঘণ্টা ১০ জনের ডায়মন্ড হারবারকে পেয়েও, গোলের ফোয়ারা ছোটানো তো দূরের কথা, সমতাই ফেরাতে পারেনি মোহনবাগান।
সুপার সিক্সে উঠলেও, চাপে থাকল মোহনবাগান
মোহনবাগান এদিন ম্যাচ হারলেও সুপার সিক্সে পৌঁছে গেল। তবে সুপার সিক্সে তারা কিন্তু বেশ চাপে থাকবে। কারণ গ্রুপ লিগের পয়েন্ট সুপার সিক্সে ক্যারি ফরোয়ার্ড হবে। যার ফল বাগান অনেকটাই পিছিয়ে থাকল। কারণ গ্রুপ-এ থেকে ইস্টবেঙ্গ ৩০ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে উঠেছে। ভবানীপুর এবং খিদিরপুর যথাক্রমে ২৭ এবং ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সুপার সিক্সে গিয়েছে। এদিকে গ্রুপ-বি থেকে মহমেডান ২৯ পয়েন্ট নিয়ে উঠেছে সুপার সিক্সে। ডায়মন্ড হারবারের পয়েন্ট ২৯। তবে তারা গোলপার্থক্যে কিছু পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে রয়েছে। গ্রুপের তিন নম্বর দল হিসেবে মোহনবাগান সুপার সিক্সে গিয়েছে। তাদের পয়েন্ট মাত্র ২৪। অর্থাৎ ছয় দলের মধ্যে সবচেয়ে কম পয়েন্ট মোহনবাগানেরই।
হারল মোহনবাগান
শুরু থেকে গোলের মুখই খুলতে পারল না মোহনবাগান। গোলটা কী করে করতে হয়, সেটাই বোধহয় ভুলে গিয়েছেন সবুজ-মেরুন স্ট্রাইকাররা। একাধিক সুযোগ নষ্ট করে ম্যাচ হেরে তার খেসারত দিন বাগান ব্রিগেড।
৯ মিনিট ইনজুরি টাইম
৯০ মিনিট- নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। গোলের মুখ আর খুলে উঠতে পারল না মোহনবাগান। তারা এখনও ০-১ পিছিয়ে আছে। ৯ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
পাপুয়াকে মাথায় মারলেন সুহেল
৮৫ মিনিট- পাপুয়াকে ফাইল করলেন সুহেল। ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্ডার মাথায় আঘাত পেয়েছেন এবং মাটিতে শুয়ে আছেন। ম্যাচ আপাত বন্ধ। পাপুয়াকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার বর্তমানে ৯ জন হয়ে গিয়েছে।
এমন ভাবেও গোল মিস করা যায়!
৭৬ মিনিট- ফাঁকা গোল পেয়েও মিস করে বসল মোহনবাগান। ডিএইচএফসি ডিফেন্ডারের ভুলের পরে এবং গোলকিপার পড়ে যাওয়ায় বড় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। গোলটি ফাঁক হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু সুহেল ভাট একটি সহজ ট্যাপ ইন করতে ব্যর্থ হন। কিয়ান নাসিরি পরে কিপারের গায়ে মারেন।
আর এক গোল খেতে পারত মোহনবাগান
৭২ মিনিট- আবার ডায়মন্ড হারবার এফসি স্কোর প্রায় করে ফেলেছিল। কিন্তু অফসাইড দেওয়া হয়। আর তখনই ডিএইচএফসির স্ট্রাইকার তুহিনকে হলুদ কার্ড দেন রেফারি।
গোলের দেখা নেই
৬৫ মিনিট- রাহুল পাসোয়ানের শট অফ টার্গেট। মোহনবাগান ডিফেন্ডার তার হেডার মিস করেন এবং বল পাসোয়ানের কাছে আসে, বাঁ-পায়ে শট নিলেও, তা গোলের উর দিয়ে উড়ে যায়।
আরও একটি দুরন্ত সেভ দেবনাথের
৬১ মিনিট- মোহনবাগানের গোলরক্ষক দেবনাথ একটি দুরন্ত সেভ করেন এবং সুপ্রিয় পন্ডিতকে আরও একটি গোল করা থেকে বিরত রাখেন। ডিএইচএফসি স্ট্রাইকার তার সোয়াইপ নিতে যাচ্ছিল, কিন্তু এমবি কিপার বলটি বাঁচিয়ে দেন। আর বল বাঁচানোর সময়ে দেবনাথকেও ফাউল করে বসেন সুপ্রিয়।
বাগানের কিপারের দুরন্ত সেভ
৫৭ মিনিট- কর্নার থেকে রাহুল পাসোয়ানের একটি দুর্দান্ত হেডার কিন্তু মোহনবাগান কিপার সেটা কোনও মতে সেভ করেন।
ফের মিস বাগানের
৫৩ মিনিট- মোহনবাগান ভালো ফুটবল খেলছে। কিন্তু ফাইনাল পাসে তাদের মানের অভাব। কিয়ান নাসিরি বল ভাসালেও, সুহেল ভাট জায়গায় পৌঁছতে পারেননি। সুস্নাত বলটি ধরে ফেলে। সমতা ফেরানোর সুযোগ মিস করে মোহনবাগান।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান বিরতির আগে ০-১ পিছিয়ে। তারা কি পারবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের মুখ খুলতে?
বিরতিতে ০-১ পিছিয়ে বাগান
প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে ১০ জন হয়ে গিয়েছে ডায়মণ্ড হারবার। সেই সঙ্গে তারা শুরু থেকেই প্রায় রক্ষণাত্মক খেলছে। তবু গোলের মুখ খুলতে পারেনি মোহনবাগান। বিরতিতেও তাই ০-১ পিছিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
চার মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। চার মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। মোহনবাগান একনও সমতা ফেরাতেই পারেনি। হারলেও হয়তো তারা সুপার সিক্সে যাবে। কিন্তু কলকাতার প্রধান হয়ে, ১০ জনের ডায়মণ্ড হারবারের বিরুদ্ধে জিততে না পারার লজ্জাটা তো থেকেই যাবে।
গোলের মুখ খুলতে পারেনি মোহনবাগান
৪০ মিনিট খেলা গড়িয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান এখনও গোলের মুখ কুলতে পারেনি। সবুজ-মেরুন টিমে ভালো ফিনিশার নেই। সেই অভাবটা কিন্তু কলকাতা লিগে ভোগাচ্ছে বাগান ব্রিগেডকে।
লালকার্ড দেখল ডায়মণ্ড হারবারের অয়ন
৩৬ মিনিট- ডায়মণ্ড হারবারের অয়ন মন্ডল দ্বিতীয় হলুদকার্ড দেখল। স্বাভাবক ভাবেই নিয়ম মেনে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হল তাঁকে। ১০ জন হয়ে গেল কিবু ভিকুনার দল। সুবিধে পেয়ে গেল মোহনবাগান।
ফিনিশ করতে পারছে না মোহনবাগান
৩০ মিনিট- প্রতিপক্ষের উপর চাপ বাড়াচ্ছে মোহনবাগান। তারা সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ঠিকঠাক ফিনিশ করতে পারছে না। যে কারণে তাদের গোলের মুখও খুলছে না। আর ডায়মণ্ড হারবার রক্ষণে বুটের জাল তৈরি করে রেখেছে।
দুরন্ত সেভ
১৯ মিনিট- মোহনবাগানের দুর্দান্ত একটি প্রচেষ্টা। কিন্তু সুস্নাত মালিক একটি দুর্দান্ত সেভ করলেন। অয়ন মন্ডলকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে।
আক্রমণে বাগান
১০ মিনিট- মোহনবাগান আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে চলেছে। তবে ডায়মণ্ড হারবার রক্ষণের কাছে বাগানের আক্রমণ বারবার প্রতিহত হচ্ছে। গোল খাওয়ার পরে ধীরে ধীরে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেওয়া চেষ্টা করছে। ডায়মণ্ড হারবার প্রতি আক্রমণে উঠলেও, কিছুটা যেন গা ছাড়া ভাব এসেছে তাদের।
গোওওওওওওলললললললল… ১-০ এগিয়ে গেল ডায়মণ্ড হারবার
৪২ সেকেন্ড: খেলা শুরু হতে না হতেই ডায়মণ্ড হারবারের গোলা। যাতে ছিঁড়ে গেল মোহনবাগানের জাল। বাগানের রক্ষণ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডায়মণ্ড হারবারের সুপ্রিয় এগিয়ে দেন দলকে। বাঁদিক থেকে বল পেয়ে বাগান ডিফেন্ডারদের ডজ দিয়ে বক্সের একেবারে কোণ থেকে বাঁ-পায়ের শটে দুরন্ত একটি গোল করেন সুপ্রিয়।
খেলা শুরু
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ মোহনবাগানের জন্য। এই ম্যাচ না জিতলে, সুপার সিক্সে উঠলেও, সমস্যায় পড়তে হবে মোহনবাগানকে।
ডায়মণ্ড হারবারের একাদশ
সুশান মালিক, ফিরোজ খান, তুহিন শিকদার, হিমাংশু পাটিল, মহম্মদ রশিদ, সুপ্রিয় পণ্ডিত, সৌরভ দাস, অয়ন মণ্ডল, বিক্রমজিৎ সিং, রালতে, রাহুল কুমার।
মোহনবাগানের একাদশ
দেবনাথ মণ্ডল, রাজ বাসফোর, আমনদীপ, শিবজিৎ, টাইসন সিং, সুহেল আহমেদ ভাট, রবি রানা, লালরিনলিয়ানা হামতে, ভিয়ান, কিয়ান নাসিরি, রোহেন।
জিতলে বাগানের লাভ
রবিবার জিতলে মোহনবাগানের পয়েন্ট দাঁড়াবে ২৭। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানের সঙ্গে অল্প পয়েন্ট পার্থক্যে সুপার সিক্স পর্ব শুরু করতে পারবে মোহনবাগান। তাই জয় ছাড়া কিছুই ভাবছে না সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
ডায়মন্ড হারবারের সঙ্গে লড়াইটা সহজ হবে না বাগানের
ডায়মন্ড হারবারের বিরুদ্ধে ম্যাচ যে সহজ হবে না, সেটা কারও অজানা নয়। মহমেডানকে হারিয়েছে তারা। প্রথম থেকেই জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে। তবে বাগানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশের নিয়মিত ছ'জন ফুটবলারকে পাবে না ডায়মন্ড হারবার। এই তালিকায় রয়েছে মনোতোষ চাকলাদার, অভিষেক দাসরা। অন্যদিকে অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবলারদের পাবে বাগান। সুহেলরা দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। এর ফায়দা তুলতে চাইবে সবুজ মেরুন শিবির।
বাস্তব উবাচ
বাস্তব রায় বলেছেন, ‘সাসপেনশনের জন্যে আমি ডাগআউটে থাকতে পারব না। সহকারী কোচ বিশ্বজিৎ ঘোষাল, গোলকিপার কোচ অভ্র মণ্ডল থাকবে। আমরা একসঙ্গেই কাজ করেছি। বোঝাপড়া ভাল। ওরা জানে আমরা কী চাই। সেই হিসেবেই প্রস্তুতি নিয়েছি।’
বেঞ্চে থাকতে পারবেন না বাস্তব
এই প্রথমবার লিগের প্রাথমিক পর্বের পয়েন্ট সুপার সিক্সে যোগ হবে। তাই মহমেডানের বিরুদ্ধে দু'পয়েন্ট হাতছাড়া করার আক্ষেপটা রয়েছে বাস্তব রায়ের মুখে। রবিবার অবশ্য সেই ভুল আর করতে চায় না সবুজ মেরুন ফুটবলাররা। লিগের শেষ ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট নিয়েই সুপার সিক্সে যেতে চান বাগান কোচ। তবে সেই পথে একটি বাধা আছে। আগের দিন কার্ড দেখায় বেঞ্চে থাকতে পারবেন না বাস্তব রায়।
মোহনবাগানের হাল
কলকাতা ফুটবল লিগের (প্রিমিয়র ডিভিশন) গ্রুপ 'এ'-র শীর্ষে আছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ১২ ম্যাচে পয়েন্ট ২৯। দুই নম্বরে আছে ডায়মন্ড হারবার। ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ২৬। তিনে আছে মোহনবাগান। ১১ ম্যাচে পয়েন্ট ২৪। সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে কালীঘাট মিলন সংঘ। তবে কালীঘাট একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে। গোল পার্থক্যে মোহনবাগান এগিয়ে। তাই রবিবার যদি মোহনবাগান ড্র করে, তবেই হাসতে হাসতে সুপার সিক্সে উঠে পড়বে। জিতলে তো কথাই নেই। আর হারলেও তারা সুপার সিক্সে পৌঁছতে পারবে, তবে ছয়ের কম গোল খেতে হবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।