এএফসি কাপের দক্ষিণ এশীয় গ্রুপ পর্বেই অভিযান শেষ সবুজ-মেরুনের। নিয়মানুযায়ী, গ্রুপের শীর্ষ স্থানাধিকারী দল আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করে। মোহনবাগান গত বারও আন্তঃআঞ্চলিক সেমিফাইনাল খেলেছিল। এ বার তারা হয়ে গেল গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল। এদিন মোহনবাগানের ম্যাচের আগেই বসুন্ধরা কিংস ২-১ হারিয়েছে মাজিয়াকে। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে এসেছে তারা। মোহনবাগানকে হারিয়ে ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল ওড়িশা। তিন নম্বরে নেমে গেল জুয়ান ফেরান্দো ব্রিগেড। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭।
ম্যাচ শেষ, ছিটকে গেল মোহনবাগান
ম্যাচ শেষের বাঁশি বেজে গেল। ২-৫ হেরে বসে থাকল বাগান ব্রিগেড। ঘরের মাঠে লজ্জাজনক ভাবে হারল সবুজ-মেরুন। প্রথমে গোল করে এগিয়ে গিয়েও, জঘন্য ভাবে হারল জুয়ান ফেরান্দোর টিম। বাগান রক্ষণকে নিয়ে ওড়িশা রীতিমতো ছেলেখেলা করল। জঘন্য ভাবে হেরে এএফসি কাপ অভিযান শেষ করল বাগান শিবির।
গোওওওওললল… ৫-২ করল ওড়িশা
৯০+৫- দূরপাল্লার শটে কাইথকে প্রতিহত করে ৫-২ করে ফেলল ওড়িশা। জঘন্য রক্ষণ বাগানের। যার ফল হাতেনাতে পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। সেই সঙ্গে মোহনবাগানের হার কার্যত নিশ্চিত করে দিল ওড়িশা।
গোওওওওললল… ৪-২ করল ওড়িশা
৯০+৩- রয় কৃষ্ণ ডান দিক থেকে একটি দ্রুত ফ্রি-কিক নেন এবং অনিকেত যাদব সেই বল লক্ষ্য করে জালে বল জড়ান। দুরন্ত গোল করেন অনিকেত। ৪-২ এগিয়ে গেল ওড়িশা।
৮০ মিনিটেও সমতা ফিরল না
খেলার ৮০ মিনিট হয়ে গেল। এখনও সমতা ফেরাতে পারল না মোহনবাগান। তারা ২-৩ এখনও পিছিয়ে রয়েছে। ম্যাচটা কি তবে বাগান হেরে যাবে?
বড় সুযোগ নষ্ট বাগানের
৭৫ মিনিট- মোহনবাগান আবারও গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। অল্পের জন্য মিস করেন কিয়ান। বৌমাসের পাস ধরে তিন জন ওড়িশা এফসি-র ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে তার পর গোলের জন্য শট নিয়েছিলেন। তবে সেটি সাইড-নেটে গিয়ে লাগে। বড় সুযোগ নষ্ট!
উপপপসসসস… ক্রসবারে লাগল সাহালের শট
৬৭ মিনিট- ক্রসবারে লাগল সাহালের শট। অল্পের জন্য সমতা ফিরল না মোহনবাগানের। এই শটে গোল হয়ে গেলে, খেলা কিন্তু জমে যেত।
গোওওওওললললল.. ব্যবধান কমালেন কিয়ান
৬১ মিনিট- হেডে দুরন্ত গোল করে ফেললেন কিয়ান নাসিরি। মোহনবাগানের হুগো বৌমাস বাঁ-প্রান্ত বরাবর উপরের দিকে ওঠেন এবং কিয়ান নাসিরিকে ক্রস বাড়ান। সেই ক্রস লক্ষ্য করে হেডে দুরন্ত গোল করেন কিয়ান। ২-৩ করে ফেলল বাগান। পারবে তো জিততে?
ভালো সেভ অমরিন্দরের
৫৩ মিনিট- মোহন বাগান সেট-পিস পেলে, বৌমাস একটি ফ্লোটেড ক্রস পাঠান সাদিকুর জন্য, যিনি লক্ষ্যে বল হেড করেন। যাইহোক অমরিন্দর বলটি ধরে ফেলেন এবং মোহনবাগানের গোল বাঁচিয়ে দেন।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
১-৩ পিছিয়ে পড়েছে মোহনবাগান। পারবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে? রক্ষণ ঘুরে দাঁড়ানোর পাশাপাশি স্ট্রাইকারদের আরও তৎপর হতে হবে। এই মুহূর্তে খেলার রাশ পুরোটাই ওড়িশার হাতে। খেলায় ফিরলতে হলে, বাগানকে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করতে হবে।
বিরতিতে ১-৩ পিছিয়ে মোহনবাগান
মোহনবাগানের রক্ষণের বেহাল দশা। তারা ১-০ এগিয়ে গিয়েও, ১-৩ পিছিয়ে পড়েছে। এর থেকেই প্রমাণিত বাগানের ডিফেন্সের হাল ঠিক কী রকম! এই ম্যাচ হার মানে সবুজ-মেরুনের সব স্বপ্ন শেষ।
গোওওওওওলললললল.. ৩-১ করল ওড়িশা
৪১ মিনিট- গ্লেন মার্টিন্স কী ঘুমাচ্ছিলেন? যখন সিওয়াই গদার্ড তৃতীয় গোলটি করে গেলেন? মরিসিওর কাছ থেকে পাস পান গদার্ড। এবং তার পর ফাইনাল থার্ড থেকে দৌড়ে কাইথকে পরাস্ত করে ওড়িশার হয়ে ৩-১ করেন গদার্ড।
গোওওওওওলললললল.. ২ মিনিটের ব্যবধানে ফের গোল ওড়িশার
৩২ মিনিট- জাহু ফ্রি-কিক নেন, বল কৃষ্ণ ধরে, সেটা মরিসিও-কে পাস বাড়ান। শুভাশিস, যিনি মরিসিও-কে মার্ক করছিলেন, কিন্তু তার পরেও তিনি বল জালে জড়ান।
গোওওওওলললল… সমতা ফেরালেন রয় কৃষ্ণ
৩০ মিনিট- রয় কৃষ্ণের দুরন্ত গোল। সমতা ফেরাল ওড়িশা। ওড়িশা এফসি পাল্টা আক্রমণ করে এবং রয় কৃষ্ণ বল পেয়ে ডান-পায়ের জোরালো শট জালে জড়ান। ১-১ হয়ে গেলে ম্যাচের ফল।
চাপ বাড়াচ্ছে বাগান
ওড়িশার উপর চাপ বাড়াচ্ছে মোহনবাগান। বাধ্য হয়েই পুরো দল মিলে ডিফেন্স করছে ওড়িশা। ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন শিবির।
গোওওওওওলললললল.. ১-০ করে ফেলল মোহনবাগান
১৭ মিনিট- কোলাসো মিডফিল্ড থেকে বলটি ওড়িশার অর্ধে নিয়ে যায়, আশিসের কাছে পাস দেয়, কিন্তু তির্যক বলটি পেয়ে যান হুগো বৌমাস। মিডফিল্ডার তাঁর মার্কারকে পাশ কাটিয়ে দুরন্ত ভাবে বল জালে জড়ান।
সবুজ-মেরুনের সুযোগ
১৩ মিনিট- লিস্টন কোলাসো ফ্রি-কিক নেন, যা তিনি ফ্লাইট করেন। অমরিন্দর সিং অবিচল ছিলেন এবং বলটিও লক্ষ্যে ছিল না। যাইহোক মোহনবাগান গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাগানের মরিয়া চেষ্টা
৬ মিনিট- হুগো বৌমাস বলটি সাদিকুর দেন, যিনি সেটি কামিন্সকে পাস বাড়ান। অস্ট্রেলিয়ান তাঁর ডানদিকে সাহালকে পাস দেন এবং ভারতীয় ফরোয়ার্ডের শট অমরিন্দর বাঁচিয়ে দেন। লাইনম্যান অবশ্য পতাকা তুলেছেন।
পেনাল্টি?
ম্যাচের একেবারে শুরুতে ওড়িশার বক্সে কামিন্স পড়ে গেলে, মোহনবাগানের খেলোয়াড়রা পেনাল্টির জন্য আবেদন করে। তবে রেফারি তাতে আগ্রহ দেখাননি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মোহনবাগান।
খেলা শুরু
খেলা শুরু হয়ে গেল। বসুন্ধরা জেতার ফল, মোহমবাগানকেও এই ম্যাচ জিততে হবে। না হলে চাপে পড়বে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। পারবে তো বাগান ঘরের মাঠে ওড়িশাকে হারাতে?
বসুন্ধরার জয়ে চাপে পড়ল বাগান
ঘরের মাঠে বসুন্ধরা শেষ মুহূর্তে ৮০ এবং ৮৮ মিনিটে ২ গোল করে প্রত্যাশা অনুযায়ী মাজিয়াকে হারিয়ে দেয়। যার নিটফল, মোহনবাগানের সামনে শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া পরের রাউন্ডে যাওয়ার আর কোনও রাস্তাই বেঁচে থাকল না। অবশ্য পরের দুই ম্যাচে জিতলেও, মোহনবাগান যে পরের রাউন্ডে যাবে, সেই নিশ্চয়তাও নেই। বসুন্ধরাও যদি তাদের শেষ দুই ম্যাচে জেতে, তা হলেও মোহনবাগানের গ্রুপ সেরা হিসাবে পরের রাউন্ডে ওঠা হবে না। তখন তাদের অন্যান্য গ্রুপের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে বসে থাকতে হবে, যদি দ্বিতীয় সেরাদের মধ্যে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যাওয়া যায়। এদিন মাজিয়ার ওবেং রেগান ম্যাচের ১০ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ৮০ মিনিট পর্যন্ত তারা সেই ধরে রাখলেও, শেষ রক্ষা হয়নি। এর পর ৮ মিনিটের ব্যবধানে পরপর দুই গোল করে ম্যাচ পকেটে পোড়ে বসুন্ধরা। বাংলাদেশের টিমের হয়ে গোল দু'টি করেন বোবারবেক এবং মিগুয়েল।
ওড়িশা এফসি-র একাদশ
মোহনবাগানের একাদশ
লক্ষ্য পরের রাউন্ড
ওড়িশার ডেরায় তাঁদের বিরুদ্ধে বড় জয় দিয়ে এএফসি কাপে অভিযান শুরু করেছিল বাগান। তাই ঘরের মাঠে সার্জিও লোবেরার দলের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী কামিন্স, হুগোরা। তবে লড়াই সহজ হবে না। বিপক্ষে রয়েছে কলকাতায় দীর্ঘ দিন খেলে যাওয়া রয় কৃষ্ণ। যুবভারতীতে বাগানের জার্সিতে অসংখ্য গোল রয়েছে তাঁর। তার উপর এখন ছন্দে রয়েছে ওড়িশা দলটি। অবশ্য হোম অ্যাডভান্টেজ থাকবে কামিন্সদের দিকেই। অঙ্ক, চোট নিয়ে না ভেবে ম্যাচে ফোকাস বাগানের। প্রতিপক্ষ নিয়েও ভাবতে চান না ফেরান্দো। যারা রয়েছে তাঁদের নিয়েই যুদ্ধ জয়ের চেষ্টায়। সোমবার ঘরের মাঠে বড় ব্যবধানে জেতাই লক্ষ্য। তবেই পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা থাকবে।
চোটের জেরবার বাগান
চোট-আঘাতে জর্জরিত সবুজ মেরুন শিবির। আশিক কুরুনিয়ন অনেক আগে থেকেই নেই। চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন আনোয়ার আলি। জাতীয় শিবিরে চোট পান মনবীর সিং। দিমিত্রি পেত্রাতোসও ফিট নন। অস্ট্রেলিয়ান তারকাকে পাওয়া যাবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। তবে আঠারো জনের দলে থাকার সম্ভাবনাই বেশি।
জটিল অঙ্ক
এএফসি কাপের শুরুটা দারুণ করেও এখন জটিল অঙ্কের মুখে মোহনবাগান। পরের রাউন্ডে যেতে হলে জিততেই হবে গ্রুপের শেষ দু'টি ম্যাচ। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে বাকিদের রেজাল্টের দিকে। ঢাকায় বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেয়েছিল বাগান শিবির। দু'দলের পয়েন্ট সমান হলেও হেড টু হেরে এগিয়ে বাংলাদেশের দল। সেক্ষেত্রে আজ ঘরের মাঠে বসুন্ধরা যদি মাজিয়াকে হারিয়ে দেয়, আরও সমস্যায় পড়বে বাগান। যাইহোক আপাতত ম্যাচে ১-০ এগিয়ে রয়েছে মাজিয়া। যেটা বাগানের কাছে স্বস্তির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।