রবিবারের ম্যাচে পরতে পরতে উত্তেজনা ছিল। এটিকে মোহনবাগান ২ বার পিছিয়ে পড়ে ২ বার সমতা ফিরিয়েছে। শেষ বার তো ১০ জন হয়ে যাওয়ার পরে সমতা ফিরিয়েছে। নিঃসন্দেহে ম্যাচ জিততে না পারলেও মুম্বই থেকে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফেরাটাও খারাপ নয় বাগানের জন্য। এ দিনের ম্যাচ ড্র করে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এল মোহনবাগান। জিতলে তারা চারের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারত। মুম্বই সিটি এফসি আবার ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে এল।
২-২ ম্যাচ ড্র
৪ মিনিট ইনজুরি টাইমেও টানটান উত্তেজনা ছিল। পরতে পরতে নাটকের পর ২-২ ম্যাচ ড্র হল। এই ড্র বাগানেরই নৈতিক জয়। যে ভাবে দশ জন হয়ে গিয়েও লড়াই করেছে মোহনবাগান, যে ভাবেও পিছিয়ে পড়ে ২ বার সমতা ফিরিয়েছে, তাও মুম্বইয়ের মাঠে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে। গোললাইন থেকে একটি মিস করেছে মোহনবাগান। ৩-২ ফল হওয়াটাই উচিত ছিল। এর পর মুম্বইও আরও একটি সুযোগ মিস করে। কানের কাছ ঘেঁষে বারে লেগে ফিরে আসে বল। শেষ মুহূর্তের উত্তেজনাও চরমে পৌঁছেছিল। অবশেষে ম্যাচটি ২-২ ড্র হয়। ১ পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নেয় দুই দল।
৮৮ মিনিট- গোওওওওললল
কার্ল ম্যাকহিউয়ের দুরন্ত হেডারে সমতা ফেরাল এটিকে মোহনবাগান। দশ জন হয়ে গিয়ে থেকেও তারা হাল ছাড়েনি। বরং আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছে। ফ্রি-কিক থেকে পেত্রাতোসের শট ধরে হেড করেন কার্ল ম্যাকহিউ। স্বস্তি ফিরল বাগানে।
৭৪ মিনিট- লেনিকে সরাসরি লালকার্ড
মুম্বইয়ের স্টুয়ার্ডকে পিছন থেকে মেরে সরাসরি লালকার্ড দেখেন লেনি। ১০ জন হয়ে যাওয়া আরও চাপ বাড়ে এটিকে মোহনবাগানের। প্রসঙ্গত, স্টুয়ার্ড প্রথমে ফাউল করেছিল। তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, লেনিকে সরাসরি লাকার্ড দেখানোটা আদৌ কি সঠিক সিদ্ধান্ত রেফারির?
৭৩ মিনিট- মুম্বইয়ে পরিবর্তন
ছাংতেকে তুলে বিক্রম সিং-কে নামালেন মুম্বইয়ের কোচ।
৭২ মিনিট- গোওওওওওলললল
রস্টিন গ্রিফিথসের গোলে ২-১ এগিয়ে গেল মুম্বই সিটি এফসি। এই গোল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গোলকিপারকে গার্ড করার অভিযোগ উঠেছিল। তবে রেফারি গোল দেন। ২-০ এগিয়ে গিয়ে স্বস্তি ফিরল মুম্বইয়ে। চাপে মোহনবাগান।
৬৯ মিনিট- মোহনবাগানের পরিবর্তন
লিস্টন কোলাসো সে ভাবে ছন্দে ছিলেন না। তাঁকে তুলে জুয়ান ফেরান্দো তাই নামালেন আশিক কুরুনিয়ানকে।
৬২ মিনিট- হলুদ কার্ড
হুগোকে ফাউল করে মুম্বইয়ের আহমেদ জহৌ হলুদ কার্ড দেখলেন।
৫৫ মিনিট- বাগানের মাঠমাঠ ছন্দে ফিরছে
লেনিকে নামানোয় মোহনবাগানের মাঝমাঠ কিছুটা ছন্দে ফিরেছে। বাগানকে আরও চনমনে লাগছে। লিস্টন কোলাসো যদি একটু পুরনো ছন্দে থাকতেন, তবে হয়তো বাগানকে আরও বেশি গোছানো লাগতো। পেত্রাতোসকে কিন্তু সে ভাবে খুঁজে পাওয়াই যাচ্ছে না।
৪৭ মিনিটে- গোওওওওললললল
অবশেষে সমতা ফেরাল এটিকে মোহনবাগান। হুগো বৌমাস, লিস্টন কোলাসো এবং জনি কাউকোর মিলিত প্রয়াসে ১-১ করল মোহনবাগান। প্রথমার্ধের শেষের দিক থেকেই মোহনবাগানকে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক লাগছিল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই ধারা বজায় রেখে কাউকের গোলে সমতা ফেরাল সবুজ-মেরুন। হুগোর থেকে পাস পান কোলাসো, সেখান থেকে কাউকোকে বল বাড়ালে, সেটা ধরে জালে জড়াতে ভুল করেননি তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মোহনবাগান এবং মুম্বইয়ে পরিবর্তন
বাগানের দীপক টাংরির জায়গায় নামলেন লেনি রডরিগেস।মুম্বইয়ের সঞ্জীব স্টালিনের জায়গায় নামলেন মন্দার দেশাই।
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে মুম্বই
মুম্বই সিটি এফসি প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে। গোল খাওয়ার পর মোহনবাগান কিন্তু সমতা ফেরানোর বহু সুযোগ তৈরি করেছিল। সহজ সুযোগগুলো তারা হাতছাড়া করেছে। প্রথমার্ধের শেষের দিকে খেলায় ফিরছিল মোহনবাগান। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক লাগছিল। কিন্তু কোথাও গিয়ে গোল করতে না পারার রোগটা রয়ে গিয়েছে। পুরো সারেনি। তা না হলে কিন্তু গোলশোধ করে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল কলকাতার টিমের কাছে।
৪১ মিনিট- সহজ সুযোগ নষ্ট বাগানের
ফের সহজ সুযোগ নষ্ট করল বাগানের। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার আগেই সমতা ফেরানোর সুযোগ তৈরি হয়েচিল। কিন্তু মনবীর নিজে বল পেয়ে গোল না করে পাস দিতে গিয়েই গোলমাল করলেন। সে ভাবে কাউকে না পেয়ে ভুল পাস দিলেন। সহজ সুযোগ হাতছাড়া করল বাগান। এই সুয়োগগুলো হাতছাড়া করার জন্য কিন্তু পরে আফসোস করতে হতে পারে সবুজ-মেরুনকে।
৩৯ মিনিট- হলুদ কার্ড
মোহনবাগানের দীপক টাংরি হলুদ কার্ড দেখলেন।
৩৪ মিনিট- হলুদ কার্ড
মুম্বইয়ের গোলকিপার ফুরবা লাচেনপা হলুদ কার্ড দেখলেন।
৩১ মিনিট- আরও একটি সুযোগ নষ্ট বাগানের
হুগো বৌমাস সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলেন। বাগান সুযোগ তৈরি করেও, যে ভাবে সুযোগ মিস করছে, তাতে খেসারত দিতে হতে পারে ফেরান্দোর টিমকে।
৩০ মিনিট- খারাপ সুযোগ নষ্ট বাগানের
পুরো ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিল মনবীর সিং। কিন্তু দ্বিতীয় কেউ ছিল না, যাঁকে তিনি বল বাড়াতে পারবেন। পেত্রাতোস ছুটে এসেছিলেন বটে। কিন্তু ততক্ষণে মুম্বইয়ের ডিফেন্ডাররা উঠে এসেছে। পেত্রাতোসও ঠিকঠাক শট নিতে পারেনি। মুম্বই ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে বেরিয়ে যায় বল। গোলের সহজতম সুযোগ নষ্ট বাগানের।
২৫ মিনিট- ম্যাচের রাশ মুম্বইয়ের হাতেই
এটিকে মোহনবাগানকে রীতিমতো নাকানিচোবানি খাওয়াচ্ছে মুম্বই সিটি এফসি। বাগানকে বরং বড় বেশি এলোমেলো লাগছে। কোথাও যেন দানা বাঁধছে না খেলাটা। ০-১ পিছিয়েই রয়েছে বাগান।
১৫ মিনিট- বাগানের ডিফেন্স নিয়ে বাড়ছে চিন্তা
এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স নিয়ে ইতিমধ্যে উঠেছে প্রশ্ন। রীতিমতো নড়বড় করছে বাগানের রক্ষণ। কিছুটা কাউন্টার অ্যাটাকে উঠলেও বিশেষ সুবিধে করতে পারেনি এটিকে মোহনবাগান। মুম্বইয়ের পাশে একটু ম্যাড়ম্যাড়ই করছে সবুজ-মেরুন।
৭ মিনিট- বড় মিস বাগানের
সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ পেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। পেত্রাতোস পাস বাড়ান লিস্টনকে। লিস্টনের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
৪ মিনিট- গোওওওওওওওলললললল
দুরন্ত শট লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের। মোহনবাগানের ডিফেন্সের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জটলার মাঝেই উইঙ্গার বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার দুরন্ত শট বারে লেগে গোললাইন ক্রস করে ফের বেরিয়ে আসে। রেফারি প্রথমে গোল না দিলেও, পরে দেখা যায়, গোললাইন ক্রস করেছে বল। ১-০ এগিয়ে গেল মুম্বই।
খেলা শুরু
ম্যাচ শুরু। পারবে কি বাগান জয়ের ধারা ধরে রাখতে? নাকি ফের বাজিমাত করবে মুম্বই?
মুম্বই সিটি এফসি-র একাদশ
এটিকে মোহনবাগানের একাদশ
জিতলে চারে ওঠার সুযোগ থাকবে বাগানের সামনে
মুম্বই সিটি এফসিকে হারিয়ে আজ আইএসএল টেবলের প্রথম চার দলের মধ্যে জায়গা করে নেওয়ার হাতছানি এটিকে মোহনবাগানের সামনে। ৩ ম্যাচের মধ্যে ২টি জিতেছে বাগান। একটি ম্যাচ হেরেছে পয়েন্ট ৬। লিগ টেবলের ছয়ে রয়েছে তারা।উল্টোদিকে মুম্বই চার ম্যাচ খেলে ২টিতে জিতেছে। ২টি ম্যাচ ড্র করেছে। অর্থাৎ অপরাজিত রয়েছে তারা। ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের চারে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি।
মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে এটিকে মোহনবাগানের পারফরম্যান্স
এটিকে মোহনবাগান যবে থেকে আইএসএল খেলছে, তবে থেকে কোনও বারই মুম্বই সিটি এফসি-কে হারাতে পারেনি তারা। এখনও পর্যন্ত মুম্বইয়ের কাছে চার বার হেরেছে। আর দু’টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। রবিবার সেই ব্যর্থতার ইতিহাস মুছে ফেলার পরীক্ষা জনি কাউকোদের সামনে। আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে শনিবারই মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে মোহনবাগান। দলের সঙ্গে যাননি ডিফেন্ডার ফ্লোরেন্তিন পোগবা। রবিবাসরীয় দ্বৈরথে জিততে জুয়ান ফেরান্দোর প্রধান ভরসা মুম্বইয়েরই প্রাক্তনী হুগো বৌমাস।
মুম্বই সিটি এফসি-র পারফরম্যান্সের খতিয়ান
গত বারের চ্যাম্পিয়ন হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে দুরন্ত লড়াই দিয়ে এ বারের হিরো আইএসএল অভিযান শুরু করে মুম্বই সিটি এফসি। ৩-৩ ড্র হয় সেই ম্যাচ। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধেও বিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর বিপিন সিং জয়সূচক গোল করেন। জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে তারা। গোল করেন ছাংতে। শেষ ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সকে তাদের ঘরের মাঠে ২-০ হারিয়ে আসেন স্টুয়ার্টরা। মেহতাব সিং, জর্জ দিয়াজ গোল করেন। চারটি ম্যাচে অপরাজিত থেকে আট পয়েন্ট নিয়ে আপাতত তারা লিগ টেবলের চার নম্বরে রয়েছে।
এটিকে মোহনবাগানের পারফরম্যান্সের খতিয়ান
চলতি হিরো আই এসএলের শুরুতেই হোঁচট খায় জুয়ান ফেরান্দোর দল। ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসি-র কাছে ১-২ হার দিয়ে এ বারের লিগ অভিযান শুরু করে তারা। তবে বাগান কোচিতে গিয়ে কেরালা ব্লাস্টার্সকে ৫-২-এ হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পায়। অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার দিমিত্রি পেত্রাতোস হ্যাটট্রিক করেন কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। এর পর চিরপ্রতিদ্বন্দী ইস্টবেঙ্গল এফসি-র বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে শেষে দু’গোলে জেতে তারা। ৫৬ মিনিটের মাথায় হুগো বৌমাস এবং ৬৬ মিনিটের মাথায় মনবীর সিং গোল করেন। এ বার দেখার ডার্বি জয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারবে কি না কলকাতার দল। তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে এখন বাগান লিগ টেবলের ছ’নম্বরে রয়েছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।