আবারও মাথা নত হল বাংলা ফুটবলের। ডুরান্ডের প্রথম সেমিফাইনাল শুরুর আগেই নিভে গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের বাতিস্তম্ভের আলো। যার জেরে নির্ধারিত সময়ের মিনিট ১২ পরে খেলা শুরু হল। তবে এই লজ্জার হাত থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি দিল মহমেডান স্পোর্টিং। একস্ট্রা টাইম পর্যন্ত গড়াল খেলা। ১২০ মিনিট লড়াই শেষে ৪-২-এ বেঙ্গালুরুকে হারাল মহমেডান।
যুবভারতীর আলো নিভে যাওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগে বহু বার এমন লজ্জায় পড়তে হয়েছে বাংলার ফুটবলকে। বারবার মাথা নত হয়েছে তিলোত্তমার। কলঙ্কিত হয়েছে যুবভারতীর। এ দিনও একই ঘটনা ঘটল।
ম্যাচ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে এই ঘটনাটি ঘটে। যুবভারতীর প্রেসবক্সের ডানদিকে থাকা বাতিস্তম্ভের আলোগুলো নিভে গিয়েছিল। প্রায় ১৫ মিনিট পর আলো আসে। সোমবার এই সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে বহু দর্শক মাঠে এসেছিলেন। করোনা-কালে এই প্রথম বার ভারতীয় ফুটবল মাঠে ফের ফিরেছেন দর্শক। স্বাভাবিক ভাবে এই ম্যাচকে ঘিরে উত্তেজনা ছিল। আর এর মাঝেই আলো নিভে লজ্জায় ডুবল যুবভারতী।
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে আই লিগ চ্যাম্পিয়ান গোকুলামকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল মহমেডান। সেমিতে তারা মুখোমুখি হয়েছিল বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের। শুরু থেকেই টানটান উত্তজেনার লড়াই হয়েছে। দুই দলই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল। ম্যাচ শুরুর ২০ সেকেন্ডের মধ্যে পেড্রো মাঞ্জি বেঙ্গালুরুকে এগিয়ে দেন। ৮ মিনিটের মাথায় সমতা ফেরান মহমেডানের মার্কাস জোসেফ। ৩৭ মিনিটে ফয়জল ২-১ এগিয়ে দেন সাদা-কালো ব্রিগেডকে। প্রথমার্ধে ২-১ এগিয়ে ছিল মহমেডান। দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরু ইউনাইটেডের কিংশুক দেবনাথ সমতা ফেরান।
এর পর আর কোনও দলই গোলের খুলতে পারেনি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয় ২-২ ফলে। এর পর একস্ট্রা টাইমে নিজের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে আরও ২ গোল করে মহমেডান। ম্যাচের ১১২ মিনিটে ব্রেন্ডন এবং ১২০ মিনিটে নিকোলা চার নম্বর গোলটি করে বেঙ্গালুরুর কফিন শেষ পেরেকটি পোঁতেন। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বেঙ্গালুরু এফসি এবং এফসি গোয়া মুখোমুখি হবে। দেখার, কারা সেমিফাইনালে পৌঁছয়!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।