
রেলওয়ে এফসিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৪০ বছর পর ফের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন মহমেডান
Updated: 18 Nov 2021, 03:54 PM IST- চার দশক পরে ফের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগোড়ায় মহমেডান। রেলকে বেলাইন করে ৪০ বছর আগের স্মৃতি কি ফেরাতে পারবে সাদা-কালো ব্রিগেড?
ডুরান্ড কাপের পরে সম্প্রতি ফুটসলেও মহমেডানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল ফাইনালে হারায়। বৃহস্পতিবার যুবভারতীতে ব্যর্থতার হ্যাটট্রিক চায় না সাদা-কালো ব্রিগেড।
চার দশক পরে ফের কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়ন হল মহমেডান স্পোর্টিং। খেলার ফল ১-০।
ম্যাচের অতিরিক্ত সময় চলছে। পাঁচ মিনিটের অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছে। আর কিছু মিনিটের অপেক্ষা। ব্যবধান ধরে রাখতে পারলেই ৪০ বছর পরে ফের চ্যাম্পিয়ন হবে মহমেডান স্পোর্টিং।
ম্যাচের ৮৪ মিনিটে চোট পেলেন কেলভিন। দলে পরিবর্তন করল রেলওয়ে এফসি।
ম্যাচে কুল ডাউন চলছে। জোসেফের দুরন্ত গোলে ১-০ এগিয়ে যায় মহমেডান। সেই ব্যবধান ধরে রেখেছে সাদা কালো ব্রিগেড।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণের খেলায় এগিয়ে মহমেডান। মহমেডানে করা হল পরিবর্তন। মার্কোসের জায়গায় মাঠে নামলেন নিকোলা।
প্রথমেই জোসেফের দুরন্ত গোলে ১-০ এগিয়ে যায় মহমেডান। তবে এরপর থেকেই রেলওয়ে এফসি ম্যাচে ফেরার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। মহমেডানও ম্যাচে ব্যবধান বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই ম্যাচ দেখার জন্য যুবভারতী প্রবেশ করতে পেরেছেন ৪০ হাজার দর্শক। টিকিটের চাহিদাও ছিল প্রচুর। মহমেডান স্পোর্টিং-এর দর্শকরা নিজেদের প্রিয় দলকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখতে চান। তবে সাদা-কালো ব্রিডেগকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে রেলওয়ে এফসি।
ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করছে রেলওয়ে এফসি। ৩৭ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল রেল।
ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিল মহমেডান। তবে রেলকে কিন্তু গোলটা করে খুব বেশি চাপে রাখতে পারছে না। যে ভাবে রেল আক্রমণে উঠছে, কর্নার আদায় করছে, তাতে কিন্তু তারা যখন তখন সমতা ফেরাতে পারে। সে বিষয়টা মহমেডানকে মাথায় রাখতে হবে।
১৮ মিনিটে আক্রমণে উঠে দ্বিতীয় গোলটি প্রায় করেই ফেলেছিল মহমেডান। কিন্তু আসাধারণ ভাবে বলটি বের করে দেন শুভেন্দু মাণ্ডি। গোলটি যদি ঠিক ভাবে করতে পারত মহমেডান, তা হলে হয়তো ম্যাচটা জিতে যেতে পারত তারা।
রেলকে বেলাইন করে ৪০ বছর আগের স্মৃতি কি ফেরাতে পারবে সাদা-কালো ব্রিগেড? শুরুতেই রেলকে ধাক্কা মাকে মহমেডান। জোসেফের দুরন্ত গোলে জিতে ১-০ এগিয়ে যায় মহমেডান। এটা নিঃসন্দেহে রেলের কাছে বড় ধাক্কা। ৪০ বছরের ইতিহাস ফেরাতে এক ধাপ এগিয়ে গেলেন আন্দ্রেই চের্নিশভের ছেলেরা।