৪৪ বছর আগে আজকের দিনেই পেলের নিউইয়র্ক কসমস ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান। এই ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্সে। এই ম্যাচে শ্যাম থাপা এবং মহম্মদ হাবিব একটি করে করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ ২-২ গোলে ড্র হয়েছিল। এই ম্যাচের পরে ভারতের এই শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের প্রশংসাও করেছিলেন ফুটবল সম্রাট পেলে। মোহনবাগান ক্লাবের গৌরবময় সেই ইতিহাসের কথা আজ ক্লাবের ফেসবুক পোস্ট করা হয়। এই পোস্ট সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে এটা অত্যন্ত গর্বের একটা মুহূর্ত। কারণ মোহনবাগানই একমাত্র ভারতীয় ফুটবল ক্লাব যারা পেলের বিরুদ্ধে ফুটবল খেলেছিল।
তবে এই গৌরবময় পোস্টে নিজেদের রাগকে উগড়ে দিলেন সবুজ মেরুন সমর্থকেরা। কেউ বলেন, 'এইসব স্মৃতিচারণা বন্ধ করুন, যাঁরা জানার তাঁরা ঠিকই জানেন যে পেলের কসমস কবে এসেছিল, কত ফলাফল হয়েছিল, কে গোল করেছিল। ক্লাবের কর্মকর্তাদের বলব, সৎসাহস থাকলে এই মার্জার ভেঙে বেরিয়ে আসুন। লুকিয়ে চুক্তি যখন করেছেন আপনারা তখন এই জিনিস থেকে বেরিয়ে আসার দায়িত্বটাও আপনাদেরই নিতে হবে। ওইসব ফেক প্রেস কনফারেন্স, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাতা দেখে টুকে টুকে পড়া, সমর্থকদের ডাহা মিথ্যা বলে ভুলিয়ে রাখা অনেক তো করলেন।' অপর এক সমর্থক আবার বললেন, 'আর এই দলটাকে চোখ বুজে মার্জ করিয়ে দিলেন আপনারা! এখনো সময় আছে, প্রায়শ্চিত্য করুন।'
১৯৭৭ সাল থেকে ২০২১। নদীর জল অনেকটাই গড়িয়ে গিয়েছে। মোহনবাগান ক্লাবে আজ এসেছে কর্পোরেট লুক। এটিকের হাত ধরে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নাম লিখিয়েছে। গত মরশুমে ফাইনালে উঠলেও শেষ পর্যন্ত আর ট্রফি জিততে পারেনি। কিন্তু এটিকের সঙ্গে এই গাঁটছড়া সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। বিতর্কের হোমকুণ্ডে ঘি নিক্ষেপ করেছে আলাদা কিছু ঘটনা। যারমধ্যে সব থেকে বড় কারণ হল, মোহনবাগানের সামনে এটিকের নাম জড়িয়ে যাওয়া। এছাড়াও সদ্য AFC কাপের আন্তঃজোনাল সেমিফাইনাল ম্যাচে নাসাফ এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচে ৬-০ গোলে পরাস্ত হওয়া মানতে পারছেন না বাগান সমর্থকেরা। সেই কারণে গৌরবের দিনেও বিলাপ করছেন আপামর সবুজ মেরুন ভক্ত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।