ISLএ প্রথম লেগের রিক্যাপ! ২ গোলে এগিয়ে গিয়েও মুম্বইয়ের সঙ্গে ২-২ ড্র মোহনবাগানের, ১০ জনে খেলেই সবুজ মেরুনকে আটকে দিল

মুম্বই সিটি এফসির ঘরের মাঠে গিয়ে জয় অধরা মোহনবাগানের। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও হল না শেষরক্ষা। ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। যেন আইএসএলের প্রথম লেগের রিক্যাপ। সেপ্টেম্বরে মোহনবাগান আইএসএলের প্রথম পর্বের ম্যাচেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে গেছিল বাগান, পরে ম্যাচ ২-২ ড্র করে মুম্বই সিটি।

আইএসএলে মুম্বই সিটি এফসির ঘরের মাঠে গিয়ে জয় অধরা মোহনবাগানের। ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েও হল না শেষরক্ষা। ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। যেন আইএসএলের প্রথম লেগের রিক্যাপ। সেপ্টেম্বরে মোহনবাগান আইএসএলের প্রথম পর্বের ম্যাচেও মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২-০ এগিয়ে গেছিল বাগান, পরে ম্যাচ ২-২ ড্র করে মুম্বই সিটি।

 

এদিন প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে গেছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। মুম্বইয়ের ঘরের মাটিতেও মোহনবাগান প্রথমার্ধ দাপিয়ে খেলে। জেমি ম্যাকলারেন এবং দিমিত্রি পেত্রাতোস গোল করেন প্রথমার্ধে। এই ম্যাচে মোলিনা তিন বিদেশিকে প্রথম একাদশে রেখে শুরু করেছিলেন। তাতেও মোহনবাগানের খেলার ছন্দ বাধা পায়নি। গ্রেগ স্টুয়ার্ট রিজার্ভে থাকলেও এদিন শুরু থেকে ভালো ফুটবল খেলেন পেত্রাতোস, মনবীর, লিস্টনরা।

ম্যকলারেনের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান

ম্যাচের ৩২ মিনিটেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। জেমি ম্যাকলারেন গোল করে এগিয়ে দেন বাগানকে। এক্ষেত্রে অবশ্য মোহনবাগানকে সুযোগ দিয়ে ফেলেন মুম্বইয়ের বিদেশি ফুটবলার ভ্যান নিয়েফ। তাঁর ভুলেই অজি বিশ্বকাপারের পায়ে বল চলে আসে। ১৮ গজের ভিতর জোরালো শট থেকে গোল করে যান ম্যাকলারেন। ১-০ এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন শিবির। নিখুঁত প্লেসিংয়ের সঙ্গে জোর ছিল বিশ্বকাপারের শটে।

প্রথমার্ধেই ফের গোল পায় মোহনবাগান

দ্বিতীয় গোল পেতেও খুব বেশি দেরি হয়নি বাগানের। বাম প্রান্তে লিস্টন বল পেয়ে পাস বাড়িয়ে দেন পেত্রাতোসকে লক্ষ্যে করে। মুম্বই গোলরক্ষক প্রথম সুযোগে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করলেও তা চলে আসে পেত্রাতোসের পায়ে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি গত ম্যাচে বাগানকে আইএসএল শিল্ড জেতানো পেত্রাতোস। প্রথমার্ধে ২-০ স্কোরলাইন রেখেই লেমন ব্রেকে যায় দুই দল।

লাল কার্ড বিক্রমকে, দশ জনে নেমে যায় মুম্বই

বিরতি থেকে ফিরেই মরণ কামর দেয় মুম্বই সিটি এফসি। পরপর আক্রমণে বাগান ডিফেন্সকে ব্যতিব্যস্ত করে দেয় জন টোরাল, ব্র্যান্ডন ফার্নান্দেজরা। এরই মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে ফেলে মুম্বই। রাল্টের শট প্রথমে বিশাল সেভ করলেও তা জন টোরালের গায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। স্কোরলাই ২-১ হয়ে যায়। কিন্তু এরপরই আসে ক্লাইম্যাক্স। দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফলে লালকার্ড দেখেন বিক্রম প্রতাপ সিং। দশ জনে নেমে যায় মুম্বই।

তবে ১০ জনে নেমে গিয়েও মুম্বই দল ঘরের মাঠে খেলা থেকে হারিয়ে যায়নি। পরপর তাঁরাও আক্রমণ করতে থাকে। তা রুখতে গিয়েই হলুদ কার্ড দেখেন শুভাশিস, পরের ম্যাচে তিনি নেই। এরপর আশিস রাই, আশিক কুরুনিয়ানদেরও নামানো হয়। বিশাল কাইথ এই ম্যাচে অনেকগুলো ভালো সেভ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে নিশ্চিত কয়েকটা গোলের সুযোগ আটকে দেন বাগানের ডিফেন্ডার টম আলদ্রেড।

সুপার-সাব দুই ফুটবলার বাঁচাল মুম্বইকে

ম্যাচের ৮৪ মিনিটে ম্যাকলারেনের পরিবর্তে স্টুয়ার্ট মাঠে নামেন। ৮৭ এবং ৮৮ মিনিটে মাঠে নামেন মুম্বইয়ের আয়ুষ চিকারা এবং নাথান রদ্রিগেজ। ৮৯ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে নেয় মুম্বই সিটি এফসি। ফ্রি কিক থেকে আয়ুষের তোলা বল বিশাল কাইথ প্রথমে সেভ দিলেও তাতে নাথান রদ্রিগেজ পা লাগিয়ে গোলে পাঠান। দুরন্ত রিফ্লেক্সে বিশাল সেই বল বাঁচানোর চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। স্কোরলাইন ২-২ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ২-২ ম্যাচ ড্র হল। এই ড্রয়ের ফলে ২২ ম্যাচে মুম্বইয়ের পয়েন্ট ৩৩। ফলে তাঁদের সুপার সিক্সে খেলা প্রায় পাকা হয়ে গেল। তাঁরা এখন পয়েন্ট তালিকায় পাঁচ নম্বরে। মুম্বই সিটি এবং নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড যদি পরের দুটো ম্যাচেই হারে তাহলে ইস্টবেঙ্গলের সুপার সিক্সে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে।