এটিকে বাদ দিয়ে মোহনবাগানের জার্সি কেমন হবে, তা নিয়ে আগ্রহের অন্ত ছিল না। মঙ্গলবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আরপিএসজি গ্রুপের অফিসে সেই জার্সি উন্মোচন হল। গোয়েঙ্কার সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন অনিরুদ্ধ থাপা এবং জেসন কামিন্স।
পালতোলা নৌকোর লোগো লাগানো জার্সিতে অভিনবত্বের ছোঁয়া। হাই নেক জার্সিটির দু'ভাগে সবুজ-মেরুন রং রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে সাদার হালকা ছোঁয়া। সবুজ এবং মেরুন রঙের নতুন এই জার্সিটি এক সমর্থকের নকশা করে বলে জানিয়েছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তিনি বলেন, ‘সমর্থকেরাই এই জার্সির নকশা করেছেন। ৫০০০ জন জার্সির নকশা জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকেই একটি বেছে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘জার্সির মধ্যে ফুটে ওঠে একতার প্রতীক। খেলোয়াড় ও আবেগপ্রবণ সমর্থকরা মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট পরিবারের অংশ । তাঁদের মধ্যে গড়ে উঠবে শক্তিশালী বন্ধন। একসঙ্গে মিলে আমরা শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের এই যাত্রাকে অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: আল হিলালের থেকে এমবাপের জন্য রেকর্ড অঙ্কের ট্রান্সফার বিড গ্রহণ করেছে পিএসজি- রিপোর্ট
আর সেই জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশ্বকাপার জেসন কামিন্সকে নিয়েই ছিল সকলের উন্মাদনা। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপারকে কাছে পেয়ে, একের পর এক প্রশ্ন উড়ে আসতে থাকে। সেই অনুষ্ঠানেই বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে শুরু করে ডার্বি নিয়ে তাঁর প্রত্যাশা- সব কিছু নিয়ে অনর্গল ছিলেন জেসন কামিন্স।
বিশ্বকাপের অভিজ্ঞতা নিয়ে কামিন্স বলেন, ‘এ লিগে খেলেই আমি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছি। তবে এখন মোহনবাগানের মত বড় ক্লাবে খেলেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে চাই। বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল। আমরা ভালো খেলেছিলাম। গ্ৰুপ থেকে পরের রাউন্ডে উঠেছিলাম। তবে, আর্জেন্তিনার কাছে আমরা হেরে বিদায় নিয়েছিলাম। আর ওরাই বিশ্বকাপ জিতেছে।’
মেসির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে জেসন বলেন, ‘ওটা একটা বিশেষ মুহুর্ত ছিল আমার জীবনে। ওর মেসি নিঃসন্দেহে বিশেশ একজন ফুটবলার। ওকে দেখে নিজের খেলা আরও উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। শেখার চেষ্টা করেছি। শুধু মেসি নয়, এমবাপের সঙ্গে দেখা করাও আমার জন্য একটা বড় ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো নয়, মেসিই সেরা- বলে দিলেন রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থক রাফায়েল নাদাল- ভিডিয়ো
অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স ডার্বির কথা নাকি আগেই শুনেছেন। তাই ম্যাচ খেলার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানে যাঁরা সই করেন, তাঁদের সবার আগে ডার্বি নিয়ে প্রশ্নের মুকে পড়তে হয়। কামিন্সকেও একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। যার উত্তরে অজি বিশ্বকাপার বলেন, বলেন, ‘মোহনবাগানের হয়ে প্রত্যেক ম্যাচেই প্রচুর গোল করার চেষ্টা করব। সেটা ডার্বি হোক বা অন্য ম্যাচ। আমি ডার্বি নিয়ে উত্তেজিত। আগে থেকেই ডার্বি নিয়ে জানি।’
তিনি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। বলেছেন, ‘আমি অবাক হয়েছি এখানকার ফ্যানদের দেখে। তাদের প্যাশান থেকে। আমি বড় ম্যাচে খেলতে ভালোবাসি। আমি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে আমি আগেই জানতাম। এখানে প্রচুর সমর্থক রয়েছেন। ভোর তিনটের সময় আমি কলকাতায় পৌঁছেছিলাম। তখনও তাঁদের উৎসাহ কম নজরে পড়েনি।’
জাতীয় দলের খেলোয়াড় অনিরুদ্ধ থাপা আবার বলেছেন, ‘মোহনবাগান মানেই ইতিহাস। মোহনবাগান মানেই ঐতিহ্য। এরকম ঐতিহ্যবাহী ক্লাবে খেলার জন্যই তিনি মোহনবাগানে সই করেছেন।’ প্রসঙ্গত, জার্সি উদ্বোধনের দিনই কলকাতায় এসে গিয়েছেন মোহনবাগানের নতুন বিদেশি আর্মান্দো সাদিকু।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।