বাতিল হয়ে গেল রবিবারের মোহনবাগান বনাম ইস্টবেঙ্গলের ডার্বি ম্যাচ। ডুরান্ড কাপের এই ম্যাচ ছিল যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ম্যাচের ওপরই নির্ভর করত এই গ্রুপ থেকে কলকাতার দুই প্রধান নকআউটে যাবে কিনা, ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ায় দুই দলই চলে গেল কোয়ার্টার ফাইনালে। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনকাণ্ডে গোটা বাংলা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে।
বুধবার রাতে সাধারণ মানুষ পথে নেমে প্রতিবাদ করার সময়, স্বাধীনতা দিবসের রাতে আরজি কর হাসপাতালেই তাণ্ডব চালায় এক দল দুষ্কৃতিরা। ফলে পরিস্থিতি পুলিশের আয়ত্তের বাইরে চলে গেছিল কিছুক্ষণের জন্য। এই আবহে রবিবারের ম্যাচে নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব ছিল না, কারণ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে আরও একবার তাঁর দায় এসে পড়ত রাজ্য পুলিশের ওপরই। শনিবার ডুরান্ড কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পরই জানিয়ে দেওয়া হয়, এই ম্যাচ হচ্ছে না। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেওয়ায়, দুই দলই চলে গেল শেষ আটে।
আরও পড়ুন-এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-র ড্র! ইরান, কাতারের ক্লাবের সঙ্গে কঠিন গ্রুপে মোহনবাগান…
বিষয়টিতে এখনও কোনও রাজনৈতিক রং লাগেনি। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিআইএম একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও আম জনতাই প্রতিবাদের দায়িত্বটা তুলে নিয়েছে। ফলে ধর্ণা, মিছিল বা কোনও সরকারি অফিস অভিযান করে কোনও রাজনৈতিক দলই তেমন ফায়দা তুলতে পারছে না। সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদকে আটকানো কঠিন। এছাড়াও যুবভারতীতে এনআরসি-সিএএ নিয়ে যখন পোস্টার পড়েছিল তখন রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ হাততালি দিয়েছিল, অপরাংশ কটুক্তি করেছিল। বড় ম্যাচ গোটা দেশ এবং পৃথীবির মানুষ দেখে, ফলে সেখানে টিফো আটকানো কঠিন ছিল। আর টিফো যদি প্রকাশ্যে আসত সমর্থকদের দ্বারা তাহলে বাংলারই মুখ পুড়ত। এই আবহে রাজ্যের সম্মান বাঁচাতে এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যা কাটাতে ম্যাচ বাতিলের পথেই হাঁটল পুলিশ এবং ডুরান্ড কাপ কমিটি।
আরও পড়ুন-শুধু ক্রিকেটাররাই নন, নতুন এনসিএর দরজা খোলা নীরজদের জন্যেও! বড় বার্তা জয় শাহের…
ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান দুই দলই পয়েন্টের নিরিখে দাঁড়িয়েছিল একই জায়গায়। দুই দলেরই পয়েন্ট সংখ্যা ছিল ৬, গোলপার্থক্যে এগিয়ে ছিল মোহনবাগান। ফলে এই ম্যাচে যে কোনও দলই যদি বড় ব্যবধানে জিতত তাহলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার ক্ষেত্রে তা প্রভাব ফেলত, কিন্তু ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ায় দুই দলেরই সুবিধা হল, কারণ পয়েন্ট ভাগাভাগিল হয়ে গেল। ফলে দুই দলই সরাসরি শেষ আটে চলে গেল। উল্লেখ্য মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল, এই দুই দলই গতবার ফাইনাল খেলেছিল।
আরও পড়ুন-রোজ ভোর ৪টেয় উঠে ৫ কিমি দৌড়! বাংলাদেশ সিরিজ নিয়ে আশা না রাখলেও নিজে তৈরি থাকছেন সরফরাজ…
দুই প্রধানের সমর্থকরাই চেয়েছিলেন তাঁদের দল গ্রুপ স্টেজের গণ্ডি টপকে যায়। যদিও ম্যাচ বাতিলের ফলে দুই দলেরই সমর্থকরা বেজায় হতাশ হলেন খেলা দেখতে না পারার জন্য। বহু সমর্থককেই দেখা গেছিল, প্রায় মধ্যরাত থেকে নিজেদের ক্লাব টেন্টে লাইন দিয়ে টিকিট কাটতে। চলতি মরশুমে এটাই ছিল প্রথম ডার্বি যেখানে বিশেদিরাও মাঠে নামতেন। আর এবারের ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান দুই দলই যথেষ্ট শক্তিশালী, ফলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো, কিন্তু সেটা দেখা থেকেই বঞ্চিত হতে হল সমর্থকদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।