রিচার্লিসনের ট্যাটু না-পসন্দ নেইমারের, মুছতে দিলেন প্রায় ২৭ লাখ টাকা

২৫ বছর বয়সী রিচার্লিসন কাতারে ৩টি গোল করেছেন। রিচার্লিসনের প্রতিভা আর বিস্ময় গোলে মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। দল ছিটকে গেলেও ২৫ বছরের রিচার্লিসনের কাছে অভিষেক বিশ্বকাপ কিন্তু স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সঙ্গে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে বাইসাইকেল কিকে গোলটি আলাদা করে জায়গা বানিয়ে নিয়েছে ফুটবল প্রেমীদের মনে।

রিচার্লিসনের পিঠের ট্যাটু মোছার জন্য় টাকা দিলেন নেইমার।

রিচার্লিসনকে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা দিয়েছেন নেইমার। কেন জানেন? খুব অদ্ভূত কারণে। রিচার্লিসনের পিঠের একটি ট্যাটু পছন্দ হয়নি নেইমারের। সেটা মোছার জন্য এই টাকাটা রিচার্লিসনকে দিয়েছেন ব্রাজিলের সুপারস্টার।

আসলে রিচার্লিসনের পিঠে রয়েছে বিরাট ট্যাটু। সেখানে নিজের মুখ ছাড়াও ব্রাজিলের দুই সুপারস্টার রোনাল্ডো এবং নেইমারেরও মুখ রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ব্রাজিলের পতাকা। সেই ট্যাটুটাই নেইমারের পছন্দ নয়। বিশেষ করে নিজের মুখ রিচার্লিসনের পিঠে পছন্দ হচ্ছে না নেইমরারের। সেই কারণে তিনি ট্যাটু থেকে নিজের মুখ মুছতে বলেছেন রিচার্লিসনকে। আর তাই ট্যাটু মোছার জন্য নেইমার প্রায় ২৭ লক্ষ টাকাও দিয়েছেন।

আসলে নেইমার জুনিয়রকে অনুপ্রেরণা মনে করেন রিচার্লিসন। যে কারণে নেইমারের ট্যাটু তিনি করিয়েছেন। এ ছাড়া সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচের পর তাঁর আদর্শ রোনাল্ডো নাজারিওর সঙ্গেও দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন রোনাল্ডো। তাঁকে পিজিয়ন ডান্সও শিখিয়ে দিয়েছেন রিচার্লিসন।

এক জনপ্রিয় ট্যাটু শিল্পীর হাতে রিচার্লিসনের সুঠাম শরীরে যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে ট্যাটুগুলি। তবে কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে হেরে ব্রাজিল ছিটকে যাওয়ার পরেই সতীর্থের ট্যাটুর উপর সব রাগ গিয়ে পড়েছে নেইমারের। যে কারণে তিনি রিচার্লিসনকে ট্যাটু থেকে নিজের মুখ মুছে ফেলতে বলেছেন।

প্রসঙ্গত, ২৫ বছর বয়সী রিচার্লিসন কাতার বিশ্বকাপে তিনটি গোল করেছেন। রিচার্লিসনের প্রতিভা এবং বিস্ময় গোলে মুগ্ধ হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। দল ছিটকে গেলেও ২৫ বছরের রিচার্লিসনের কাছে অভিষেক বিশ্বকাপ কিন্তু স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সঙ্গে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে বাইসাইকেল কিকে গোলটি আলাদা করে জায়গা বানিয়ে নিয়েছে ফুটবল প্রেমীদের মনে। ওই ম্যাচে ২টি গোল হয়েছিল। ২টিই রিচার্লিসনের করা।

রিচার্লিসনের ছোটবেলা কেটেছে একবারে দারিদ্র্যের সঙ্গে। বাবা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। মা আইসক্রিম বিক্রি করে সংসারের খরচ চালাতেন। কখনও কখনও আইসক্রিম নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হত বাড়ির বড় ছেলে রিচার্লিসনকেও। রিচার্লিসনরা পাঁচ ভাই-বোন। বড় হিসেবে তাঁর উপরে বাড়তি দায়িত্ব ছিল বরাবরই। তার মাঝেও ফুটবল খেলার স্বপ্নটা ভেসে যেতে দেননি রিচার্লিসন। যে কারণে কাতার বিশ্বকাপ সাক্ষী থেকেছে ব্রাজিলের তরুণ তুর্কির জাদুর।