হঠাৎ করেই যেন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের জয়ের রথটা থমকে গিয়েছে। টানা ছয় ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি মুম্বই সিটি এফসি। তার মধ্যে আবার তারা তিনটি ম্যাচ হেরেছে। তিনটি ড্র করেছে। মঙ্গলবারও নর্থইস্ট ইউনইটেডের সঙ্গে ড্র করে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ৫ ডিসেম্বর শেষ বার জয় পেয়েছিল মুম্বই। চেন্নাইয়িন এফসির বিরুদ্ধে।
এ দিন মারগাওয়ের ফতোরদার পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে শুরু থেকে দুই দলই চনমনে ছিল। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগোচ্ছিল। তবে ধীরে ধীরে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিতে শুরু করে মুম্বই। কয়েকটি ভালো সুযোগও তৈরি হয়। ২৮ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি আদায় করেন মুম্বইয়ের বিক্রম সিং। যদিও রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেক ফুটবল বিশেষজ্ঞই মনে করেন, পেনাল্টিটা ছিল না। যাইহোক ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি আহমেদ জহৌ। এর মিনিট দুয়েক পর ক্যাসিও গ্যাব্রিয়েলের দুরন্ত একটি শট বাঁচিয়ে দেন নর্থইস্টের গোলরক্ষক শুভাশিস রায়চৌধুরী। তা না হলে বিরতিতেই ২-০ এগিয়ে যেতে পারত মুম্বই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুরো অন্য মেজাজে পাওয়া যায় নর্থইস্টকে। ৪৯ মিনিটে গুরজিন্দর কুমারের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সমতা ফেরেনি। ৫৬ মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করেন ভিপি সুহের। এই শটটি পোস্টে লেগে ফেরার মিনিট দুয়েক পর মার্সেলিনহোর শটও পোস্টে লাগে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৭৯ মিনিটে মহম্মদ ইরশাদের গোলে সমতা ফেরায় নর্থইস্ট।
এর পর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল মুম্বই। চেষ্টা করেছিল নর্থইস্টও। কিন্তু কোনও দলই আর গোলের মুখ খুলতে পারেনি। উল্টে দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে দু'টি হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়়েন মুম্বইয়ের আমে রানাওয়াড়ে। কিন্তু তাতেও নর্থইস্টের কোনও লাভ হয়নি। ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএলের পয়েন্ট তালিকার চার নম্বরেই থাকল মুম্বই সিটি। ১৪ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দশেই থাকল খালিদ জামিলের নর্থইস্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।