নতুন বছরের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল এফসি-র প্রতিপক্ষ ছিল ওড়িশা এফসি। এই দুই দল যত বার মুখোমুখি হয়েছে, তত বারই গোলের বন্যা বয়েছে। এ দিনও দুই দল মিলিয়ে মোট চার গোল করল। সব মিলিয়ে ছয় ম্যাচের হিসেব দাঁড়াল মোট ৩৮টি গোলে। যে যাই হোক, ওড়িশা কিন্তু এই ম্য়াচে নিজেদের পরিসংখ্যান বজায় রাখল। ছয় বারের মধ্যে তারা পাঁচ বারই জিতল। এই মরশুমে প্রথম লেগে তারা ৪-২ জিতেছিল, এ বার জিতল ৩-১ গোলে। এ দিনের জয়ের ফলে ১৩ ম্যাচে ওড়িশার পয়েন্ট দাঁড়াল ২২। তারা উঠে এল ৫ নম্বরে। ইস্টবেঙ্গল ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে নয়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
ফের হার ইস্টবেঙ্গলের
আবারও জিততে পারল না ইস্টবেঙ্গল। ওড়িশার কাছে ফের হারতে হল। এই মরশুমে ঘরের মাঠে প্রথম লেগে ২ গোলের লিড পেয়েও, ২-৪ হেরেছিল লাল-হলুদ। এ দিন ১ গোলের লিড পেয়ে, তারা ১-৩ হারল।
গোলশোধের মরিয়া ভাব নেই লাল-হলুদের
৭০ মিনিট- লাল-হলুদের খেলায় কোনও উন্নতি নেই। গোলশোধের জন্য কোনও মরিয়া চেষ্টা নেই। যার ফল, শূন্য হাতেই হয়তো কলিঙ্গ থেকে ফিরতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।
গোওওওওওললল- ৩-১ করল ওড়িশা
৫২ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের জঘন্য পারফরম্যান্সের ধারা অব্যাহত। আরও তলিয়ে যাচ্ছে লাল-হলুদ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেই রক্ষণের ছন্নছাড়া দশার সুযোগ নিয়ে রেনিয়ারের পাস থেকে ৩-১ করেন মরিসিও।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
সমতা ফেরাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল? নাকি ফের হারের মুখ দেখব? প্রথমার্ধে তারা নিরাশ করেছে, দ্বিতীয়ার্ধে কি ঘুরে দাঁড়াবে?
বিরতিতে ১-২ পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের খেলা শেষ। বিরতিতে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। নিঃসন্দেহে লাল-হলুদ প্রথমার্ধে খেলতেই পারেনি। খেলার রাশ ছিল ওড়িশার হাতে। তার সুফলই পেয়েছে ওড়িশা। ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ-রক্ষণ-উইং প্লে- সবটাই এ দিন এতটাই খারাপ, দ্বিতীয়ার্ধে একই রকম খেললে, গোলের মালা পরতে হবে।
গোওওওললল- নন্দকুমারের গোলে ২-১ করল ওড়িশা
প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে নন্দকুমার শেখরের গোলে ২-১ করল ওড়িশা। নন্দকুমার বক্সের ভিতর বল বাড়াতে গিয়েছিল। নিজেও ভাবেননি নিখুঁত শটে গোল হয়ে যাবে। যে কারণে নিজেও কিছুটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান। যাইহোক বিরতির আগেই লিড পেয়ে গেল ওড়িশা।
ছন্নছাড়া ইস্টবেঙ্গল
৩৫ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ খারাপ। মাঝমাঠ থেকে খেলা তৈরি হচ্ছে না। উইং প্লে হচ্ছে না। হুহু করে আক্রমণে উঠছে ওড়িশা। লাল-হলুদকে বড় ছন্নছাড়া লাগছে। ক্লেটনের গোলটি ছাড়া লাল-হলুদের প্রাপ্তির খাতা শূন্য বললে অত্যুক্তি হবে না।
গোওওওলললল- সমতা ফেরাল ওড়িশা
রেনিয়ার ফার্নান্ডেজের কর্নার থেকে নেওয়া শট ধরে দিয়গো মরিসিও সমতা ফেরালেন। ১-১ ফল ইস্টবেঙ্গল-ওড়িশার। নিঃসন্দেহে এই গোলের দায় লাল-হলুদের রক্ষণের। ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচে লাল-হলুদের রক্ষণ যেন একেবারে খাখা করছে। এত ফাঁক রক্ষণে, গোলের সমতা যে কোনও সময় বাড়বে। লাল-হলুদের কিপার শুভমের কিছুটা আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ মরিসিও-র শটটি বাঁচানোর চেষ্টাই করতে দেখা গেল না ইস্টবেঙ্গলের কিপারকে।
সমতা ফেরাতে মরিয়া ওড়িশা
২০ মিনিট- ০-১ পিছিয়ে পড়ার পরে ওড়িশা কিন্তু সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে রয়েছে। আক্রমণের ঝাঁজ কারা বাড়িয়ে দিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সতর্ক না হলে, যখন তখন গোল হজম করতে হতে পারে তারা।
ওড়িশার জেরির বড় মিস
১১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ কিন্তু ভালো ছন্দে নেই। বারবার লাল-হলুদ ব্রিগেড এগিয়ে গেলেও, গোল ধরে রাখতে পারছে না তারা। এ দিনও ক্লেটনের গোলের ২ মিনিটের মধ্যে লাল-হলুদের ফাঁকা ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে গোলের কাছে ওড়িশা পৌঁছে গিয়েছিল। তাদের হয়ে গোলের সুযোগ মিস করেন জেরি। ইস্টবেঙ্গলের জেরি কোনও মতে বল ক্লিয়ার করেন। নিশ্চিত গোলের সুযোগ ছিল এটি।
গোওওওওওললললল- শুরুতেই এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
৯ মিনিট- ম্যাচের একেবারে শুরুতেই ক্লেটনের অসাধারণ গোল। ১-০ এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। অ্যালেক্স লিমার থেকে বল পেয়ে, ওড়িশার ডিফেন্সের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোলকিপারের মাথায় উপর দিয়ে জালে বল জড়ান ক্লেটন। অমরিন্দর গোল ছেড়ে এগিয়ে আসায়, আরও সুবিধে পেয়ে যান ক্লেটন। যেখানে হত বছর ক্লেটন শেষ করেছিলেন, নতুন বছরে যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন তিনি।
খেলা শুরু
ওড়িশা এফসি-কে তাদের ঘরের মাঠে হারাতে পারবে ইস্টবেঙ্গল এফসি? কঠিন কাজ, তার উপর আবার স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের দল এ বার আইএসএলে পরপর দুই ম্যাচে জয় পায়নি। ওড়িশার বিরুদ্ধে পরিসংখ্যানেও পিছিয়ে তারা। লাল-হলুদ পারবে কি আজ সব হিসেব ওল্টাতে?
ইস্টবেঙ্গল-ওড়িশা মানেই গোলের ফোয়ারা
নতুন বছরের শুরুতেই ইস্টবেঙ্গল এফসি-র প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। যে দুই দল মুখোমুখি হলেই গোলের ফোয়ারা ছোটে। দুই দলের মধ্যে পাঁচ বার মুখোমুখিতে মোট ৩৪টি গোল হয়েছে। এর মধ্যে ৬-৪, ৬-৫-এর মতো ফলও যেমন হয়েছে, তেমনই দু’গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-২-এ ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ার দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে ওড়িশা এফসি। এই ঘটনাটি মাস দুয়েক আগেই ২০২২-২৩ আইএসএলের প্রথম লেগে ঘটেছিল। ম্যাচে ভালো শুরু করেও, সেই দিন শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছিল লাল-হলুদ বাহিনীকে।
পরিসংখ্যানে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল
আইএসএলে ইস্টবেঙ্গল এবং ওড়িশা এফসি-র মধ্যে যে পাঁচ বার দেখা হয়েছে, তার মধ্যে তিন বার ফুটবলপ্রেমীরা দেখেছেন গোলের ফোয়ারা। এই পাঁচ বারের মুখোমুখিতে মোট ৩৪টি গোল হয়েছে। ওড়িশা জিতেছে চার বার, ইস্টবেঙ্গল এক বার। ২০২০-২১ মরশুমে প্রথম মুখোমুখিতে জয় ছাড়া আর কোনও বার সাফল্য পায়নি লাল-হলুদ বাহিনী।
গত চার ম্যাচে জয়হীন ওড়িশা
গত চার ম্যাচে জয়হীন ওড়িশা এফসি। পাশাপাশি ঘরের মাঠে টানা চারটি ম্যাচ জেতার পরে শেষ দু’টি ম্যাচই হেরে যাওয়ায় কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছে। গত চারটির মধ্যে তিনটিতেই হেরে প্রথম চারের থেকে ছিটকে গিয়ে ছয়ে নেমে এসেছে ওড়িশা। তাই শনিবারের ম্যাচ যেমন ইস্টবেঙ্গলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই ওড়িশা এফসি-র কাছেও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম ছয় লক্ষ্য লাল-হলুদের
আইএসএলের প্রথম ছয়ে থাকাই লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের। আর সেই লক্ষ্যে সাফল্য পেতে হলে কলকাতার দলকে আজ ওড়িশাকে হারাতেই হবে। তবে ওড়িশাকে হারানো সহজ কাজ নয়।
ধারাবাহিকতার অভাবই সমস্যা লাল-হলুদের
ধারাবাহিকতাই যে সবচেয়ে বড় সমস্যা, তা দলের একাধিক খেলোয়াড় স্বীকার করে নিয়েছেন। কোচ নিজেও তা সরাসরি স্বীকার না করলেও, পরোক্ষ ভাবে তা মেনেই নিয়েছেন। আক্রমণে ক্লেটন সিলভা ও নওরেম মহেশের জুটি যে রকম দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে চলেছেন, তাতে এই দলের সাফল্য না পাওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের দরকার ভিপি সুহেরের সাহায্য, যিনি ধারাবাহিকতার অভাবে ভালো রকম ভুগছেন। মাঝমাঠে অস্ট্রেলীয় জর্ডন ও’ডোহার্টি, কিরিয়াকু এবং ব্রাজিলীয় অ্যালেক্স লিমারও একই সমস্যা। এক ম্যাচে ভাল খেললে পরের ম্যাচে যে তাঁদের ওপর ভরসা করা যাবে, এমন নিশ্চয়তা নেই। রক্ষণে ইভান গঞ্জালেস ও লালচুংনুঙ্গা একসঙ্গে ভালো খেললে, তাঁদের দুর্ভেদ্য হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছে একাধিক ম্যাচে। লালচুংনুঙ্গা ধারাবাহিক ভাবে ভালো খেললেও, ইভানের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা বারবার ওঠানামা করছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।