হাবাস এবং লোবেরার স্ট্র্যাটেজির কাছেই আটকে গেল দুই গোল। গোলের মুখ খোলা হল না বাগান এবং ওড়িশার। স্বাভাবিক ভাবেই ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়ে যায়। এর মাঝেও প্রথমার্ধে বাগান অন্তত ২ গোল করতে পারত। ওড়িশাও মিস করেছে নিশ্চিত গোলের সুযোগ। দ্বিতীয়ার্ধে একই ধারা অব্যাহত। এই ম্যাচে তো সাদিকু হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারত। কিন্তু কিছুই হল না। ঘরের মাঠে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে লোবেরা ঠিকই করে নিয়েছিলেন, বাগান ফুটবলারদের জায়গা দেবেন না। ম্যান মার্কিং করেন তিনি। বাগানের ফুটবলাররা বল পেলেই, ঘাড়ের উপরে উঠে আসছিল ওড়িশার প্লেয়াররাও। একই কাজ করেছে বাগান কোচ হাবাসও। হাবাস তো চেয়েছিলেন, মাঝমাঠেই ওড়িশার যাবতীয় আক্রমণ শেষ করে দিতে। ফাঁকা জায়গাই তৈরি করে উঠতে পারছিলেন না ফুটবলাররা। যার নিটফল, গোলের দেখা মিলল না গোটা ম্যাচে।
গোলের মুখ খুলতেই পারল না কোনও দল, খেলার ফল ০-০
দুই দলের কোচ- হাবাস এবং লোবেরার নিখুঁত স্ট্র্যাটেজিতে গোলের মুখ আর খুলল না। তার উপর দুই দল সুযোগ তৈরি করলেও, তা কাজে লাগাতে পারেনি। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও, শেষ পর্যন্ত খেলার ফল গোলশূন্য ড্র।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। খেলার ফল ০-০। ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
গোলের সন্ধানে রয়
৮৮ মিনিট- খেলা শেষের পথে কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারল না। রয় কৃষ্ণ ফের চেষ্টা করেছিলেন। ডান উইংয়ে দিয়ে তিনি আক্রমণে উঠেছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শুভাশিস দৌড়ে এসে বলটি ক্লিয়ার করে দেন।
গোলের দেখা নেই
৭৫ মিনিট- দুই দলই গোল পেতে মরিয়া। তবে কোনও দলই নিখুঁত ফিনিশিং করতে পারেনি। একটি ড্র কিন্তু লিগ টেবলের লড়াইকে আরও কঠিন করে তুলবে। তাই গোলের খোঁজে ওড়িশা, মোহনবাগান- দুই দলই।
ওড়িশার মুহুর্মুহু আক্রমণ
৬৯ মিনিট- দিয়েগো মরিসিও বাঁ-দিক থেকে বক্সের ভিতরে তিন জন ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করেন, কিন্তু গোলের ঠিক সামনেই ইউস্তে তাঁকে থামিয়ে দেন। কর্নার পায় ওড়িশা। তবে কর্নার কিছু বিপদ ঘটেনি। তবে ওড়িশা যে হারে আক্রমণ করছে, তাতে চাপ আছে মোহনবাগানের।
এক চুলের জন্য গোল মিস রয় কৃষ্ণের
৬৩ মিনিট- রয় কৃষ্ণ বাগানের থেকে বস ছিনিয়ে নিয়ে ডান ফ্ল্যাঙ্ক দিয়ে সোজা পাল্টা আক্রমণে উঠতে শুরু করেন। তিনি মোহনবাগানের দুই ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলের কাছে পৌঁছে যান। গোলকিপার বিশাল কাইথও নিজের সঠিক পজিশনে ছিলেন না। দুর্ভাগ্যবশত বলটি ঠিল পোস্টের পাস দিয়ে এক চুলের জন্য বাইরে চলে যায়। নিশ্চিত গোল মিস করলেন রয় কৃষ্ণ।
চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
৬০ মিনিট- গোলের জন্য দুই দলই মরিয়া। তবে বাগান চেষ্টা করছে, ওড়িশার আক্রমণ মাঝমাঠেই প্রতিহত করতে। এবং নিজের পাল্টা আক্রমণে উঠতে। আশিস বল পেয়ে গোলের দিকে এগিয়ে গেলেও, ওড়িশার জেরি বলটি ক্লিয়ার করে দেন এবং কর্নার পায় বাগান। তবে কর্নার থেকে কিছুই করে উঠতে পারছে না হাবাস ব্রিগেড।
ফের গোলের সুযোগ নষ্ট সাদিকুর
৫১ মিনিট- বক্সের ভিতরে মোর্তাদা ফলের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন মনবীর। তিনি কাউকোকে পাস দেন। কাউকো আবার বক্সের ভিতরে সাদিকুকে বল বাড়ান। কিন্তু সাদিকু খুব খারাপ একটি শট নেন। সেটি সোজা গোলকিপার অমরিন্দরের হাতে জমা হয়। এই নিয়ে তিন নম্বর গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন সাদিকু।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধের শেষের দিকে বাগানকে বেশ চেপে ধরেছিল ওড়িশা। বিরতির পর তারা একই রকম ভাবে খেলা শুরু করার আগেই, শুরুতেই পাল্টা আঘাত হানতে হবে হাবাস ব্রিগেডকে। গোল করে চাপে ফেলতে হবে ওড়িশাকে। না হলে কিন্তু সমস্যায় পড়বে মোহনবাগানই।
বিরতিতে ফল গোলশূন্য
প্রথমার্ধে লড়াই হয়েছে হাড্ডাহাড্ডি। প্রথম দিকে বাগান যদি খেলার রাশ নেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন, তবে শেষের দিকে ওড়িশা গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল। দুই দলই একের বেশি গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন। দুই দলের কিপার নিঃসন্দেহে নিজেদের কাজ ঠিকঠাক ভাবে পালন করে চলেছেন। তাই বিরতিতে খেলার ফল ০-০।
মরিসিও-র শট লাগল ক্রসবারে
৪৫+১- দিয়েগো মরিসিও বক্সের মধ্যে কয়েক জন ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে জোরালো শট নেন। তবে শটটি ক্রসবারে গিয়ে লাগে। অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া হয় মরিসিও-র।
৫ মিনিট ইনজুরি টাইম
প্রথমার্ধের নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ। খেলার ফল ০-০। ৫ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়েছে।
ওড়িশার প্রচেষ্টা নষ্ট
৪৩ মিনিট- রয় কৃষ্ণ বলটি পেয়ে সেটা পাস বাড়ান মসিসিওকে। কিন্তু তারকা ফরোয়ার্ড খুব বেশি সময় নেন এবং গোলে শট নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হন।
ফের সহজতম সুযোগ নষ্ট সাদিকুর
৩৪ মিনিট- ওড়িশা তার নিজের বক্সে একটি ভুল পাস খেলে ফেলে। সেটা ধরে সাহাল পাস বাড়ান সাদিকুকে। ফের গোলের বড় সুযোগ পেয়ে যান সাদিকু। কিন্তু বল জালে জড়াতে এবারও তিনি ব্যর্থ হন। ওড়িশা কিপার বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন, সাদিকু জোরালো শট মারলে, সেটা গোল হওয়ার বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু তাঁর দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন অমরিন্দর।
কঠোর পাহারায় শুভাশিস
২৬ মিনিট- মরিসিও বক্সের ভেতর ফাঁক খুঁজে গোলের জন্য জোরালো শট মারেন। তবে শুভাশিস সেই শট ভালো ভাবে আটকে দেন। এখনও খেলার ফল ০-০।
বড় সুযোগ নষ্ট সাদিকুর
২৪ মিনিট- সাদিকু একটি বড় সুযোগ নষ্ট করলেন। তিনি গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। অনেক বেশি সময় নিয়ে নেন সাদিকু। ফলে ওড়িশার ডিফেন্ডাররা তাঁর কাছাকাছি এসে পড়ায়, তাড়াহুড়ো করে মারতে গিয়ে ক্রস-বারের উপর দিয়ে বল বাইরে পাঠিয়ে দেন সাদিকু।
দুরন্ত সেভ বিশাল কাইথের
১৬ মিনিট- ইসক রালতের একটি শট প্রায় গোলে ঢুকে যাচ্ছিল। কিন্তু ভালো সেভ করেন বিশাল কাইথ। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল বাগান সমর্থকেরা। এর পর ওড়িশা কর্নার পেলেও, সেখান থেকে কার্যকরী কিছু তারা করে উঠতে পারেনি।
ওড়িশার আক্রমণের ওঠার চেষ্টা
১২ মিনিট- মোহনবাগান খেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা চাইছে মাঝমাঠ দখল করতে। তবে ওড়িশা বাগানের শক্তিশালী মাঝমাঠকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাঁ-দিক থেকে আক্রমণে ওঠে চেষ্টা করে। তবে তাদের আক্রমণ কার্যকরী হয়নি।
সাদিকুর প্রচেষ্টা
৫ মিনিট- সাদিকু প্রায় গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এবং তিনি একটি শট নেন। তবে মোর্তাদা ফল দুর্দান্ত একটি ব্লক তৈরি করে সাদিকুর প্রচেষ্টা ভেস্তে দেন।
খেলা শুরু
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত শেষে খেলা শুরুও হয়ে গেল। এই ম্যাচে ওড়িশা এবং মোহনবাগান দুই দলের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাগান কলিঙ্গ জয় করতে পারলে, আইএসএল পয়েন্ট টেবলের মগডালে উঠে পড়বে।
ওড়িশার একাদশ
বাগানের একাদশ
বাগানের হাল
আইএসএলে পরপর তিন ম্যাচ জিতে মোহনবাগানও আত্মবিশ্বাসী। হাবাসের হাতে পড়ে যেন পুরো বদলেই গিয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। ২০২৩ শেষে টানা চার ম্যাচে হারের গ্লানি ভুলেছে বাগান। এই বছরের শুরুতে ডার্বি ড্র করার পর থেকেই যেন বদলে গিয়েছে বাগানের চেহারা। জয়ের হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে তারা। তারা আপাতত পয়েন্ট টেবলের তিনে আছে।। এখন অপেক্ষা শীর্ষে ওঠার।
ওড়িশার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
টানা এগারোটি ম্যাচে অপরাজিত ওড়িশা এফসি। সেই ২৭ অক্টোবর কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে ১-২-এ হেরেছিল তারা। তারপর থেকে আর কোনও ম্যাচে কেউ হারাতে পারেনি কলিঙ্গবাহিনীকে। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে তারা ড্র করেছে ঠিকই। কিন্তু হার মানেননি রয় কৃষ্ণরা। আবার এটাও ঠিক যে, তিনটি ম্যাচে তারা ড্র করে, তাদের মধ্যে একটি ম্যাচ ছিল এই মোহনবাগানেরই বিরুদ্ধে। এবার অবশ্য দুই দলের সামনে কঠিন লড়াই। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত শীর্ষে রয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।
পরিসংখ্যানে এগিয়ে বাগান
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এখনও পর্যন্ত ওড়িশা এফসি কোনও ম্যাচে মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি। চার মরশুমে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট আট বার। তার মধ্যে চার বার জিতেছে কলকাতার দল। বাকি চারটিতে ড্র হয়েছে।
একদা প্রিয় শিষ্যের বিরুদ্ধে স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হবে গুরুকে
অতীতে হাবাসের কোচিংয়ে বাগানে ফুল ফোটাতেন রয় কৃষ্ণ। এবার প্রাক্তন ছাত্রকে রোখার চ্যালেঞ্জ। একদা প্রিয় শিষ্য রয় কৃষ্ণের আলাদা উল্লেখ করলেও, জানিয়ে রাখলেন, বিপক্ষের কোনও প্লেয়ারকে নিয়ে অতিরিক্ত ভাবতে রাজি নন তিনি। হাবাস বলেন, ‘রয় কৃষ্ণ যদি আমার দলে খেলত, তা হলে না হয় ওকে নিয়ে আলদা করে কোনও পরিকল্পনা করা যেত। রয় অসাধারণ খেলোয়াড়। ওর সঙ্গে কাজ করে খুবই আনন্দ পেয়েছি আমি। এখন ও আমার প্রতিপক্ষ। কিন্তু ফুটবলে এ রকমই হয়। ওকে আটকানোর জন্য বিশেষ কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা কোনও খেলোয়াড়কে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করি না। রয় এবং পুরো ওড়িশা দলটাই যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছে।’
লোবেরো বনাম হাবাসের মগজাস্ত্রের লড়াই
সার্জিও লোবেরোর সঙ্গে হাবাসের চলবে মগজাস্ত্রের লড়াই। লিগের দুই অন্যতম সেরা কোচের স্ট্র্যাটেজির উপর নির্ভর করবে এই ম্যাচের ভাগ্য। তবে ওড়িশার মাঝমাঠের অন্যতম সেরা অস্ত্র আহমেদ জাহু কার্ড সমস্যার জন্য শনিবার খেলতে পারবেন না। এটা নিঃসন্দেহে বাগানের কাছে প্লাস পয়েন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।