এবারের দলবদলের বাজার সম্ভবত সবচেয়ে বড় চমক দিয়েছে প্যারিস সাঁ-জাঁ। লিওনেল মেসিকে তো তারা দলে নিয়েছেই পাশপাশি আরও বেশ কয়েকটি বড় ফুটবলারকে নিজেদের দলে সামিল করতে সক্ষম হয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। এই নিয়ে সরগরম ইউরোপের ফুটবল মহল। তবে পিএসজি এই দলগঠনকে একেবারেই ভাল চোখে দেখছেন না লা লিগা সভাপতি জাভিয়ের তেবাস।
পিএসজির অত্যাধিক অর্থ ব্যয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তেবাসের দাবি পিএসজির মতো ক্লাবেদের স্বৈরাচারিতা ও বিশাল মূল্যের বিনিময়ে ইউরোপের একগুচ্ছে সেরা ফুটবলারদের দলে নেওয়া আদপে ফুটবলের ক্ষতিই করছে। তেবাস টুইটারে এক পোস্টে জানান, ‘ক্লাব শাসন (ইউরোপিয়ান) সুপার লিগের মতোই ফুটবলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। আমরা সুপার লিগের বিরোধিতা করি, কারণ ওটা ইউরোপের ফুটবল পরিকাঠামোকে চিরতের নষ্ট করে দিত এবং পিএসজির প্রতিও আমাদের ধারণা একইরকম।’
এই উইন্ডোতেই মেসি, জিয়ানলুইজি দোনারুমা, আসরাফ হাকিমি, সার্জিও রামোসের মতো তারকাদের দলে নিয়েছে প্যারিসের ক্লাবটি। কয়েকজন ফ্রি-ট্রান্সফারে যোগ দিলেও তাঁদের বেতন বাবদ বিশাল অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে প্যারিস সাঁ-জাঁকে। কিন্তু ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাব মালিক নাসের আল-খেলাফি দাবি করেন তাঁর দল কঠোরভাবে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়ে নজর রাখে। তবে তাতে বরফ গলেনি।
টেবেসের দাবি মেসিকে প্রতি সপ্তাহে পাঁচ লক্ষ ইউরোর বেতন দেওয়া, যেখানে লিগ ওয়ানের টিভি স্বত্ব থেকে আয় গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে, তা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায়না। বিগত কয়েক বছরে নেইমার, মেসি, রামোস সবাই লা লিগা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন। উপরন্তু, এই উইন্ডোতে রিয়াল মাদ্রিদ ২২০ মিলিয়ন ইউরোর অধিক অর্থ দিতে রাজি হওয়া সত্ত্বেও কিলিয়ান এমবাপেকে ছাড়েনি পিএসজি। ফলে লা লিগার জনপ্রিয়তা বিপুল হারে কমেছে। তাই তেবাসের ক্ষোভের উৎস খুঁজতে খুব একটা কসরত করতে হয়না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।