বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। আর সেই ম্যাচে রোনাল্ডোকে ছাড়া প্রথম একাদশ নামনোর বুকের পাটা দেখান পর্তুগালের কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। রোনাল্ডোর বদলে যাঁকে স্যান্টোস নামালেন, সেই রামোস এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই অনবদ্য হ্যাটট্রিক রামোসের। এ বারের বিশ্বকাপের এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক। শুরু থেকেই তাঁর দাপটে কাঁপতে থাকল সুইজারল্যান্ডের ডিফেন্স। প্রশ্ন উঠে গেল, রোনাল্ডোর যুগ কি তবে শেষের পথে? সিআরসেভেনের উত্তরসূরী পেয়ে গেল পর্তুগাল? সময়ই এর উত্তর দেবে।
৬-১ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল
রোনাল্ডো খেলতে নামলেন ৭৩ মিনিটে। ততক্ষণে যা করার করে ফেলেছেন রামোস। হ্য়াটট্রিক করে দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ৫-১ এগিয়ে ছিল পর্তুগাল রোনাল্ডোকে নেমে কিছুই করতে হল না। বরং রোনাল্ডো নামার পরে একটি গোল হল। আর সেই গোলটি রাফায়েল লিয়াওয়ের। সেই সঙ্গে ৬-১ সুইৎজারল্যান্ডকে উড়িয়ে জয় ছিনিয়ে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল পর্তুগাল।
গোওওওওলললললল--- ৬-১ করল পর্তুগাল
৯০+২ মিনিট: ডান পায়ের দুরন্ত গোল রাফায়েল লিয়াওয়ের। হাফ ডজন গোল সুইৎজারল্যান্ডকে দিল পর্তুগাল। খেয়েছে ১ গোল।
মাঠে নামলেন রোনাল্ডো
রামোসের হ্যাটট্রিকের পর অবশেষে মাঠে নামলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ৭৩ মিনিটে রামোসের পরিবর্তেই তিনি নামলেন।
গোওওওওলললললল- রামোসের হ্যাটট্রিক, ৫-১ করল পর্তুগাল
ফের গোল রামসের। হ্যাটট্রিক করে ফেললেন তিনি। ২১ বছর ৫ মাস ১৬দিন বয়সে দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে অভিষেক। তাও কিনা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পরিবর্তে তাঁকে খেলিয়েছেন কোচ। আর কোচের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করে ফেললেন রামোস। কাতার বিশ্বকাপে এটিই প্রথম হ্যাটট্রিক।
গোওওওওওওওলললল- ব্যবধান কমাল সুইৎজারল্যান্ড
৫৮ মিনিট: এক গোল শোধ কর সুইৎজারল্যান্ডের। কর্নার থেকে সতীর্থের মাথায় লেগে বল আসে আকাঞ্জির সামনে। বাঁ-পায়ের টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। ১৯৫৪ সালের পর এই প্রথম বার বিশ্বকাপের নকআউটে গোল করল সুইৎজারল্যান্ড। এর মাঝে কখনও সুইৎজারল্যান্ড নকআউটে গোলও করেনি, ম্যাচও জেতেনি।
গোওওওওলললললল- চতুর্থ গোল পর্তুগালের
৫৫ মিনিট: এ বার গোল করলেন রাফায়েল গুয়েরেরো। বক্সের বাইরে বল পেয়ে গতি বাড়িয়ে বক্সে ঢোকেন তিনি। তার পরে বাঁ-পায়ের জোরালো শট গোলার মতো জড়িয়ে যায় নেটে। ৫৫ মিনিটে ৪-০ করল পর্তুগাল।
গোওওওওওলললল- দ্বিতীয় গোল রামোসের, ৩-০ করল পর্তুগাল
৫১ মিনিট: রোনাল্ডোকে বসিয়ে রামোসকে খেলানোর ঝুঁকি নিয়েছিলেন পর্তুগাল কোচ। তবে কোচের আস্থার পূর্ণ মর্যাদা রামোস দিয়েছেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তাঁর আরও একটি গোল। রামোসের জোড়া গোলে চিন্তা বাড়ল রোনাল্ডোর, পর্তুগাল এগিয়ে গেল ৩-০। তরুণ রামোসের জন্য এটা নিঃসন্দেহে দুরন্ত অভিষেক।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে ডমিনেট করেছে পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে সুইৎজারল্যান্ড শুরুতে গোল না পেলে সমস্যা। চাপ মারাত্মক বাড়বে।
বিরতিতে ২-০ এগিয়ে পর্তুগাল
বিরতিতে ২-০ করে এগিয়ে গেল পর্তুগাল। কে বলবে রোনাল্ডো নেই দলে। রোনাল্ডোকে ছাড়াই আক্রমণের ঝড় তুলেছে পর্তুগাল। সুইৎজারল্যান্ড ডিফেন্সে আছড়ে পড়ছে একের পর এক ঝড়।
গোওওওওলললললল…. ২-০ করে ফেলল পর্তুগাল
৩৪ মিনিট: এ বার পেপের গোওওওলললল… কী অসাধারণ হেডার! কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে লাফিয়ে উঠে বুলেট হেডারে লিড বাড়ালেন ৩৯ বছরের পেপে। পর্তুগাল ২-০ সুইৎজারল্যান্ড।এই গোলের পর রোনাল্ডো আর বেঞ্চে বসে থাকতে পারলেন না। মাঠে নেমে সেলিব্রেশনে মাতলেন।
সুইৎজারল্যান্ডের সুযোগ নষ্ট
৩০ মিনিট: বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল সুইৎজারল্যান্ড। বাঁ-পায়ে শাকিরির জোরালো ফ্রি-কিক গোলকিপারের হাতে লেগে কর্নার হয়ে গেল।
গোওওওওলললললল…. ১-০ এগিয়ে গেল পর্তুগাল
১৭ মিনিট: দুরন্ত গোল রামোসের। গঞ্জালো মাতিয়াস রামোস এ দিন রোনাল্ডোর পরিবর্তে মাঠে নেমেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ অনেক বেশি। এবং তার জন্য বেশীক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না ২১ বছরের রামোসকে। এবং পর্তুগালের জার্সিতে বিশ্বকাপের মঞ্চে অভিষেক হয়েছে তাঁর। আর মাঠে নেমেই সকলকে চমকে দিলেন রামোস। বলটি পেয়ে গোলার মতো একটি শটে পর্তুগালকে ১-০ এগিয়ে দিয়েছেন রামোস।
রোনাল্ডো প্রথম খেলা শুরু
রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশের বাইরে রেখেই মাঠে নামল পর্তুগাল। ২০০৪-এর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ স্টেজের ম্যাচে শেষ বার প্রথম একাদশে ছিলেন না রোনাল্ডো। এর পর আজ আবার বাদ পড়লেন। যাইহোক খেলা শুরু হয়ে গেল। রোনাল্ডোবিহীন পর্তুগাল কী করে সেটাই দেখার।
পরিসংখ্যানে পর্তুগালকে পিছনে ফেলেছে সুইৎজারল্যান্ড
পর্তুগাল-সুইৎজারল্যান্ড ম্যাচটিতে হয়তো শেষ ষোলোর সবচেয়ে কঠিন লড়াই হতে চলেছে। লুসাইল স্টেডিয়ামে ৯ নম্বর স্থানে থাকা পর্তুগাল এবং ১৫ নম্বর স্থানে থাকা সুইৎজারল্যান্ডের মধ্যে লড়াই হবে। তবে পরিসংখ্যান এগিয়ে কিন্তু সুইৎজারল্যান্ডই। দুই দল মোট ২৫ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ১১ বার জিতেছে সুইৎজারল্যান্ড। ৯ বার জিতেছে পর্তুগাল। ড্র হয়েছে ৫ বার। দু'দল শেষবার মুখোমুখি হয়েছিল গত জুনে। উয়েফা নেশন্স লিগের সেই লড়াইয়েও ১-০ জেতে সুইৎজারল্যান্ড।
সুইৎজারল্যান্ড কঠিন প্রতিপক্ষ রোনাল্ডোদের
ব্রাজিল, সার্বিয়া এবং ক্যামেরুন যে গ্রুপে ছিল, সেই কঠিন গ্রুপ থেকে যোগ্যতা অর্জন করেও সুইৎজারল্যান্ড কিন্তু প্রায় রাডারের নীচে উড়ছে। তারা রক্ষণাত্মক ভাবে শক্তিশালী। পাশাপাশি তারা আবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে তিনটি গোল করে আক্রমণের ঝলকও দেখিয়েছে।
রোনাল্ডোকে নিয়ে ঝামেলা, পর্তুগালের হাল
পর্তুগাল তাদের শেষ ন'টি বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচে গোল করেছে। প্রতিটি খেলাই এখন সম্ভাব্য ভাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচ এবং তিনি ইউসেবিওর রেকর্ডের ছোঁয়ার জন্য তিনি মরিয়া হয়ে রয়েছেন। তবে রোনাল্ডোর সঙ্গে পর্তুগালের কোচেরও মনোমালিন্য শুরু হয়ে গিয়েছে। সুইৎজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে রোনাল্ডোর থেকে নেতৃত্বে কেড়ে নেওয়া হয় কিনা, সে দিকে নজর থাকবে সকলের। এমন কী শোনা যাচ্ছে রোনাল্ডোকে টিমেও রাখা না হতে পারে। তবে পর্তুগালের দলের মধ্যে এ হেন ঝামেলা, আদপে দলের ভালো খেলার মানসিকতাতেই প্রভাব ফেলবে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।