আবার হারের মুখ দেখল পিএসজি। আর এই ম্যাচে হারের ফলে ফরাসি কাপের শেষ ১৬ থেকে ছিটকে গেল মেসি, নেইমারের দল। বুধবার অলিম্পিক ডে মার্সেইয়ের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে হারল পিএসজি।
ম্যাচের শুরু থেকেই মেসিদের চাপে রাখার চেষ্টা চালায় মার্সেই। আর তাতে তারা পুরোপুরি ভাবে সফল হয়। মেসি, নেইমারদের কোনও রকম তোয়াক্কা করেনি তারা। বিপক্ষকে নিয়ে কার্যত ছেলেখেলা করে তারা।
ম্যাচের শুরুতে ৩১ মিনিটের মাথায় গোল করে এগিয়ে যায় মার্সেই। অ্যালেসিক্স স্যাঞ্চেজ পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এগিয়ে যাওয়ার পিএসজির উপর চাপ সৃষ্টি করে তারা। ম্যাচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়েও ওঠেন মেসি, নেইমাররা। এরপরই গোল আসে। প্রথমার্ধের ইঞ্জুরি টাইমে গোল করে সমতা ফেরান পিএসজির সার্জিও রামোস।
প্রথমার্ধে খেলা ১-১ শেষ হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে ফের ফের এগিয়ে যায় মার্সেই। রুসলান মেলিনোভস্কির দ্বিতীয় গোলটি করেন ৫৭ মিনিটের মাথায়। এরপর আর কোনও ভাবেই ম্যাচে ফিরতে পারেনি পিএসজি। একাধিক গোলের সুযোগ পেলেও তা কেউ কাজে লাগাতে পারেনি। ফলে ২-১ গোলে হারতে হল মেসিদের। খেলা শেষের সঙ্গে সঙ্গে ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ১৬ ওঠারর স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল পিএসজির।
বছর শুরু থেকেই খারাপ সময় যাচ্ছে পিএসসির। এখনও পর্যন্ত তিনটি বড় ম্যাচ হেরেছে তারা। আগামী সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিক বিরুদ্ধে খেলতে নামবে তারা। তার আগেই বড় ম্যাচে হারল পিএসজি। চোট থাকার জন্য এই ম্যাচে ছিলেন না পিএসজির তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপে। পায়ের চোট কাটিয়ে ফিরে আসা নেইমার ও মেসিকে সামনে রেখে ১-৪-১-৩-২ ফরমেশনে দল সাজান পিএসজি কোচ।
একটি গোল মিস করে আফসোস করতে দেখা যায় মেসিকে। ম্যাচের পর পিএসজির অধিনায়ক মার্কুইনোস বলেন, ‘আমাদের খুব খারাপ লাগছে কারণ আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে খেলায় ম্যাচ আমরা জিততে পারেনি। ওরা শুরু থেকেই আক্রমণ শুরু করে। আমরা ওদের ডিফেন্স লাইন ভাঙতে পারিনি।’
মার্সেই কোচ ইগর টিউডর তাদের জয়ে আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘এটা অসাধারণ। ছেলেরা চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলেছে। এটা ক্লাবের জন্য দুর্দান্ত।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।