ফিফা বিশ্বকাপে যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথায় গোল করেন মেসি। শুরুটা করেছিলেন আর্জেন্তাইন তারকা। তার পর রোনাল্ডোর দাপট। জোড়া গোল করলেন তিনি। গোল পেলেন কিলিয়ান এমবাপেও। ব্রাজিলের সুপারস্টার নেমারের পেনাল্টি মিস ছাড়া পুরো ম্যাচটাই রঙিন হয়ে থাকল। ছুটল গোলের ফোয়ারা। হল ৯ গোল। তবে সৌদি অল স্টার একাদশকে ৫-৪ হারাল ১০ জনের পিএসজি।
এই ম্যাচকে ঘিরে আগে থেকেই উন্মাদনা চড়ছিল। ফুটবল বিশ্বের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে। মেসি, রোনাল্ডো, এমবাপেরা প্রত্যেকে রিয়াদের ফুটবল ভক্তদের মুগ্ধ করার জন্য এক ঘন্টা সময় পেয়েছিলেন। এবং তাঁরা হতাশ করেননি। স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় ভর্তি। আর সেই ম্যাচে শুরুতেই অমিতাভ বচ্চনের উপস্থিতি যেন আরও একটু রং ঢেলে দিয়েছিল। অমিতাভ ছিলেন অতিথি হিসেবে।
আরও পড়ুন: ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের দৌড়ে মেসি-এমবাপে, লড়াইয়ে নেই রোনাল্ডো, দেখুন তালিকা
মাঠে দুই দল সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়েছিল যখন, তখন প্রথমে পিএসজির দলের ফুটবলারদের সঙ্গে হাত মেলালেন অমিতাভ। এর পর সৌদি অল স্টার একাদশের ফুটবলারদের সঙ্গেও হাত মেলান বিগ বি। তবে মেসি এবং রোনাল্ডোর সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল বলিউডের মহাতারকাকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। প্রদর্শনী ম্যাচ হলে কী হবে, মেসি-রোনাল্ডোদের কাছে এটি ছিল সম্মানরক্ষার লড়াইও। ৩ মিনিট গড়ানোর আগেই মেসির গোল দিয়ে শুরু হয় খেলা। নেইমারের নিখুঁত পাস ধরে মেসির দুরন্ত গোল। ১-০ এগিয়ে গিয়ে বেশি আক্রমণে উঠতে দেখা যায় পিএসজি-কে। মাঝে নেইমার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। কিন্তু মেসির পাস থেকে এমবাপে ১৯ মিনিটে ২-০ করলেও আফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়।
এর পরেই রোনাল্ডোরা খেলায় ফেরেন। ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরায় সৌদি অল স্টার একাদশ। বক্সের মধ্যে পিএসজি গোলরক্ষক নাভাস ফাউল করেন রোনাল্ডোকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন রোনাল্ডো। এর মাঝেই ধাক্কা খায় পিএসজি। ৩৮ মিনিটের মাথায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জুয়ান বার্নেট। দশ জন হয়ে যায় পিএসজি। তবে তারা হাল ছাড়েনি। ৪৩ মিনিটের মাথায় এমবাপের ক্রস থেকে দ্বিতীয় গোল করেন মারকুইনোস। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে নেমারকে বক্সে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। কিন্তু নেইমারের দুর্বল শট বাঁচিয়ে দেন আল-ওয়াইসি।
আরও পড়ুন: ফুটবলারদের বেতনে রাশ টানতে ‘ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নিয়ম’ চালু করছে ম্যান ইউ
বিরতির বাঁশি বাজার ঠিক আগে রোনাল্ডো ফের সমতা ফেরান। বক্সের বাইরে থেকে রোনাল্ডো ফ্রিকিক নিলে, তাঁর শট ওয়ালে লেগে ফিরে এলেও, সের্জিয়ো র্যামোসের ভুলে ফিরতি বলেই গোল করেন সিআরসেভেন।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে নিজে গোল করে ভুল সংশোধন করে নেন র্যামোস। এমবাপের ক্রস থেকে গোল করে দলকে ৩-২ এগিয়ে দেন তিনি। রোনাল্ডোরা অবশ্য ৫৭ মিনিটের মাথায় আবার সমতা ফেরান। দক্ষিণ কোরিয়ার জাং এ বার গোল করেন। তবে ২ মিনিট পরে বক্সের মধ্যে মেসির শটে হাত লাগিয়ে পেনাল্টি দেন সৌদির ডিফেন্ডার। এ বার পেনাল্টি নিতে যান এমবাপে। গোল করতে কোনও ভুল করেননি ফরাসি তারকা।
তবে খেলার রং ফিকে হয়ে যায়, যখন ৬০ মিনিটের পরে মেসি, এমবাপে, রোনাল্ডো এবং নেইমারকে তুলে নেওয়া হয়। এর পরেও ৭৭ মিনিটের মাথায় পিএসজির হয়ে আরও একটি গোল করেন হুগো একিটিকে। খেলার অতিরিক্ত সময়ে সৌদির ক্লাবের হয়ে চার নম্বর গোল করেন ট্যালিস্কা। তবে ম্যাচটি পিএসজি ৫-৪ জিতে যায়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।