‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরতে না দেওয়ায় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে মাঠেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন জার্মান ফুটবলাররা। আর এদিকে মাঠের বাইরে স্ট্যান্ডে বসে কাতারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সমকামিতার প্রতি নিজের সমর্থন ব্যক্ত করলেন জার্মান মন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার। উল্লেখ্য, কাতারে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এই আবহে ইউরোপীয় দলগুলি যাতে সমকামিতার প্রতি সমর্থন জানিয়ে মাঠের থেকে কোনও বার্তা না দিতে পারে, তার জন্য কড়া হয়েছে ফিফা। এরই মাঝে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসেই ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে খেলা দেখলেন জার্মান মন্ত্রী ন্যান্সি।
কাতারে নিষিদ্ধ সমকামী সম্পর্ক। এই নিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে দারুণ বিতর্ক শুরু হয়েছে। কাতারের সমকামী বিরোধী আইনের বিরোধিতায় প্রাথমিক ভাবে সাতটি ইউরোপিয়ান দেশ ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পথে হাঁটেনি দলগুলি। পরে এই কারণেই জার্সি বদল করতে বাধ্য হয় বেলজিয়াম। প্রসঙ্গত, ফিফা প্রেসিডেন্ট সবার পাশে থাকার কথা জানিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। তবে আয়োজক দেশ কাতারের চাপে পড়ে, একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি করছে ফিফা। তবে এরই মাঝে নজর কেড়েছে স্টেডিয়ামের স্ট্যান্ড থেকে জার্মান মন্ত্রীর ‘প্রতিবাদ’।
বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনও ফুটবলারের আর্মব্যান্ডে যদি ছয়রঙা ‘ওয়ান লাভ’ প্রতীক থাকে, তাহলে তাদের শাস্তি দিতে হলুদ কার্ড দেখানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ফিফা। এর জেরে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিলেও পরবর্তীতে ওয়ানলাভ আর্মব্যান্ড পরা থেকে বিরত থাকেন হ্যারি কেন, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, গ্যারেথ বেলরা। জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে লাইন্সম্যান গিয়ে জার্মান অধিনায়ক ম্যানুয়েল নয়রের আর্মব্যান্ড দেখে আসেন। এদিকে ছয়রঙা পোশাকের জন্য কাতারে বারবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন দর্শক থেকে সাংবাদিকরা। তবে এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে প্রতিবাদের প্রত্যয়। এর আগে মাঠে দাঁড়িয়ে খেলার বিশ্লেষণ করার সময় প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার অ্যালেক্স স্কটকে ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্যান্ড পরে থাকতে দেখা গিয়েছিল। আর এবার সামনে এল জার্মান মন্ত্রীর প্রতিবাদ প্রদর্শনের দৃশ্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।