লিভারপুলকে হারিয়ে রেকর্ড ১৪তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। ভিনিসিয়াস জুনিয়রের একমাত্র গোলে ও গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়ার অসাধারণ দক্ষতায় ক্লপের শিষ্যদের ১-০ ব্যবধানে হারায় কার্লো আনসেলোত্তির শিষ্যরা। অথচ পুরো ম্যাচেই একক দাপট দেখিয়েছিল লিভারপুল। কিন্তু শেষ হাসিটা রিয়ালই হেসেছে। এদিনের ম্যাচে ভিনি গোল দিলেও জয়ের মূল নায়ক রিয়ালের গোলরক্ষক কর্তোয়া। কেননা এই তারকা ফাইনালের এই ম্যাচে ৯টি সেভ করেছেন।
এদিন দর্শক-সমর্থকদের মাঠের বাইরের বিশৃঙ্খলার কারণে ম্যাচটি শুরু হয় ৩৬ মিনিট পর। খেলার শুরু হওয়ার ১৬তম মিনিট পরেই গোলের প্রথম সুযোগটি পেযেছিলেন মহম্মদ সালাহ। তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর থিয়াগো আলকান্তারাও বঞ্চিত হন। কিন্তু পরের মিনিটেই সালাহ গোলের জন্য শট নিলেও তা ছিল দূর্বল, যা রুখে দেন রিয়াল গোলরক্ষক কুর্তোয়া। ২০তম মিনিটে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আর-আর্নল্ডের শট গোলবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। তবে সবচেয়ে বড় সুযোগটি আসে পরের মিনিটেই। সাদিও মানের জোড়াল শট কুর্তোয়া সেভ করেন পরে সেই বল পোস্টে বাধা পড়ে।
রিয়াল অবশ্য প্রথমার্ধের শেষে এগিয়ে যেতে পারতো। তবে করিম বেঞ্জেমার গোলটি রেফারি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন। যদিও পরে ভিএআর দেখা হয়, তবে অফসাইডেই ছিলেন এই ফরাসি তারকা। ফলে গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দু’দল। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় রিয়াল। ফেদে ভালভার্দের দূরের ক্রস থেকে ব্রাজিলিয়ান ভিনি ডান পায়ের আলতো টোকায় অ্যালিসনকে পরাস্থ করেন। আনন্দের ভাসে রিয়াল শিবির। এরপর একের পর এক সুযোগ তৈরি করলেও গোল পায়নি লিভারপুল। শেষ পর্যন্ত জিতে মাঠে ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
এই জয়ের ফলে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে দিয়েছে রিয়াল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে রিয়ালই যে সেরা দল তা আরও একবার প্রমাণ করেছে। রিয়াল মাদ্রিদ ২০১৮ সালের পর ফের ট্রফির স্বাদ পেল। মোট ১৪বার এই ট্রফি জয়ের স্বাদ পেল তারা। অন্যদিকে ২০১৯ সালের পর সপ্তম শিরোপা জেতা হল না লিভারপুলের। একমাত্র কোচ হিসেবে চারটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার রেকর্ড গড়লেন রিয়াল কোচ আনসেলোত্তি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।