এই বছর আইএসএলের শুরু থেকেই রয় কৃষ্ণ এবং হুগো বৌমাস জুটি অসাধারণ ছন্দে রয়েছে। দুই প্লেয়ারই এটিকে মোহনবাগানের অক্সিজেন হয়ে উঠেছে। রয় তো বরাবরই সবুজ-মেরুনের বড় ভরসা। এ বার তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছে হুগো বৌমাস। এই দুই জুটি কিন্তু লাল-হলুদের রক্ষণে কাঁপুনি ধরাতে মুখিয়ে রয়েছে।
রয় কৃষ্ণ গত বছরও ডার্বিতে গোল পেয়েছিলেন। এই বছরও তিনি গোল করে দলকে জেতাতে মুখিয়ে রয়েছেন। ফিজির তারকা স্ট্রাইকার বলেও দিয়েছেন, ‘আমার এখন একটা লক্ষ্য। আর সেটা হল দলকে ডার্বি জেতানো। তা আমি গোল নিজে করি বা গোল করতে অন্যদের সাহায্য করি, সেটা বড় বিষয় নয়। জয়টাই আসল। তবে এই ম্যাচে আমি অবশ্যই গোল করে দলকে জেতাতে চাইব। প্রতিটি ম্যাচে নিজের গোল সংখ্যা বাড়াতে চাই আমি।’
বৌমাস আবার বলছেন, ‘ডার্বির আবেগের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলতে চাই। প্রথম বার ভারতীয় ফুটবলের সেরা ডার্বি খেলব। সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গী হতে চাই। এখানকার বড় ম্যাচের ইতিহাস নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছি। এই ডার্বির গুরুত্ব অনেক। এই ডার্বি জ্বরে আমিও আক্রান্ত। দুর্ভাগ্যবশত কোভিড পরিস্থিতির জন্য বড় ম্যাচে সমর্থকদের মাঠে পাব না, তবে মাঠে এ ধরণের ম্যাচ আমাকে উজ্জীবিত করবে। আমরা প্রত্যেকেই বড় ম্যাচের জন্য প্রস্তুত।’
কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে হুগো বৌমাস আর রয় কৃষ্ণ জুটি ভালো ফুটবল খেলে দলকে তাতিয়ে দিয়েছিল। ডার্বিতে আরও ভালো ফুটবল সমর্থকদের উপহার দিতে চান রয়। তিনি বলেওছেন, ‘হুগো হল প্লেমেকার। প্রচুর সুযোগ তৈরি করে ও। আগের ম্যাচে জোড়া গোলও করেছে। ওর সঙ্গে খেলা উপভোগ করছি। আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের যুগলবন্দি আরও জমে যাবে।’
এই বছর এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণ ভাগ কিন্তু মারাত্মক শক্তিশালী। রয় কৃষ্ণ তো রয়েছেনই। সঙ্গে রয়েছেন হুগো বৌমাস, লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিং-ও। যে কারণে ডার্বির আগে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রয় কৃষ্ণ বলে দিয়েছেন, ‘আমার মনে হয় আমাদের আটকানো যে কোনও দলের রক্ষণভাগের কাছেই চ্যালেঞ্জ। এ বার আর শুধু একজনকে মার্ক করলে চলবে না। তবে আমার লক্ষ্য প্রত্যেক ম্যাচে গোল করে দলকে জেতানো।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।