ফুটবলে কতই বিচিত্র ঘটনা ঘটে থাকে। তেমনি এক নজিরবিহীন ঘটনা প্রত্যক্ষ করল ফুটবল দুনিয়া। দু-দশক অর্থাৎ টানা ২০ বছর জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হল কোনও ফুটবল টিমকে। সান মারিনো, ইতালির মধ্যে অবস্থিত একটি মাইক্রোনেশন। বিগত ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তারা একটি ম্যাচেও জয়লাভ করতে পারেনি। অবশেষে বহু প্রতীক্ষার পর কাঙ্খিত জয়ের মুখ দেখতে পেল সান মারিনোবাসী। তৈরি হল এক নতুন ইতিহাস। UEFA নেশনস লিগে লিচেনস্টাইনকে ১-০ গোলে পরাস্ত করল তারা। অবশেষে ১৪০ ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক মঞ্চে জয়ের মুখ দর্শন সান মারিনোর। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে এই লিচেনস্টাইনের বিরুদ্ধেই শেষবার জয়লাভ করেছিল তারা।
এদিন ১৯ বছর বয়সী নিকো সেনসোলির করা একমাত্র গোলে জয়লাভ করে সান মারিনো। মজার বিষয় হল এর আগে তারা যখন ম্যাচ জয় লাভ করেছিল তখন জন্ম গ্রহণই করেনি নিকো। লিচেনস্টাইনের বিরুদ্ধে ৫৩ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। ফিফা ক্রমতালিকায় বর্তমানে ২১০ নম্বরে অবস্থান করছে সান মারিনো, অন্যদিকে ১৯৯ তম স্থানে রয়েছে লিচেনস্টাইন। এদিন UEFA নেশনস লিগের ম্যাচে প্রথমার্ধে বেশ দাপট ছিল লিচেনস্টাইনের ৷ ৪৫ মিনিট শেষ হওয়ার আগে তারা একটি গোলও করে ৷ কিন্তু সেটি বাতিল করা হয় ৷ দ্বিতীয়ার্ধে অবশেষে সান মারিনো সমর্থকদের কাছে বহু প্রতীক্ষিত সেই সময় উপস্থিত হয়, যখন গোল করে দু-দশক পর দেশকে জয় এনে দেন সেনসোলি ৷ বিগত ২০ বছরে কোনও জয় না এলেও সম্প্রতি সান মারিনোর খেলায় উন্নতি লক্ষ্য করা যায় ৷ চলতি UEFA নেশনস লিগের ডি-১ গ্রুপে রয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে সান মারিনো মুখোমুখি হয়েছিল লিচেনস্টাইনের। বিগত বছরগুলিতে তাদের কাছে খেলতে নামা মানেই ছিল পরাজয়। মাঝে মাঝে তাদের থেকে ফিফা ক্রমতালিকায় পিছিয়ে থাকা দলের সঙ্গে খেলা পড়লে ড্র হয়েছে বড়জোর। স্বভাবতই এই জয় সমর্থক সহ ফুটবলারদের কাছে একটা বিরাট পাওনা। এই জয় তাদের কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ, তা খেলোয়াড়দের উদ্যাপন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। রেফারি শেষ বাঁশি বাজাতেই মাঠে খেলোয়াড়দের দৌড় শুরু হয়ে যায়। এরপর যে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই জড়িয়ে ধরেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।