বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > ইস্টবেঙ্গলের জল্পনা উড়িয়ে, কৃষ্ণের পথে হেঁটে নিজের পুরনো ক্লাবেই সই সন্দেশের

ইস্টবেঙ্গলের জল্পনা উড়িয়ে, কৃষ্ণের পথে হেঁটে নিজের পুরনো ক্লাবেই সই সন্দেশের

বেঙ্গালুরু এফসি-তে সই করলেন সন্দেশ ঝিঙ্গান।

এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণা, প্রবীর দাসকে আগেই সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু । গত বছর ইস্টবেঙ্গলে নজর কাড়া লেফট ব্যাক হীরা মণ্ডলও বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল সন্দেশেরও।

এটিকে মোহনবাগান ছেড়ে দেওয়ার পর শেষ পর্যন্ত কোন ক্লাবে সই করবেন সন্দেশ ঝিঙ্গান, তা নিয়ে জল্পনা ছিল। ময়দানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল, ইস্টবেঙ্গলেই সই করতে চলেছেন সন্দেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লাল-হলুদে যাচ্ছেন না সন্দেশ। তারকা ডিফেন্ডারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিলই। শেষ পর্যন্ত তাঁকে তুলে নিল বেঙ্গালুরু এফসি।

ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারকে পেতে ঝাঁপিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, বেঙ্গালুরু এফসি- দুই দলই। স্টিভেন কনস্ট্যান্টাইন কোচ হয়ে আসার পর অনেকেই ভেবেছিলেন সন্দেশ হয়তো লাল-হলুদেই যাবেন। কারণ সন্দেশও কনস্ট্যানটাইনের পছন্দের প্লেয়ার। তবে ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়ে গেল বেঙ্গালুরু। দেশের অন্যতম সফল এই ক্লাবের পক্ষ থেকেই সন্দেশকে সই করানোর কথা জানানো হয়েছে। কত দিনের চুক্তিতে সন্দেশকে সই করানো হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন: হাউসফুল যুবভারতীতেই সম্ভবত ডার্বি, ইস্ট-মোহন ম্যাচের টিকিট নিয়ে বড় ঘোষণা

এর আগেও সন্দেশ সাফল্যের সঙ্গেই বেঙ্গালুরুতে খেলেছেন। ২০১৬-১৭ মরুশুমে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে লোনে বেঙ্গালুরুতে সই করেছিলেন এই ডিফেন্ডার। বেঙ্গালুরুতে আবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করছেন সন্দেশ। পাঁচ বছর আগে বেঙ্গালুরুর হয়ে ফেডারেশন কাপ জিতেছিলেন। এএফসি কাপেও শীর্ষে শেষ করেছিল বেঙ্গালুরু।

আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গলকে ভরসা করতে পারলেন না, ATK MB-তেই থেকে গেলেন প্রীতম

এটিকে মোহনবাগানের রয় কৃষ্ণা, প্রবীর দাসকে আগেই সই করিয়েছে বেঙ্গালুরু । গত বছর ইস্টবেঙ্গলে নজর কাড়া লেফট ব্যাক হীরা মণ্ডলও বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন। এ বার সেই তালিকায় নাম জুড়ে গেল সন্দেশেরও। জাতীয় দলের পাশাপাশি এ বার ক্লাব ফুটবলেও সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে খেলতে দেখা যাবে এই ডিফেন্ডারকে।

বেঙ্গালুরুতে সইয়ের পর সন্দেশ বলেছেন, ‘এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে আমার মধুচন্দ্রিমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর, কিছু দিন সময় নিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখনই সুনীলের সঙ্গে কথা বলে এখানে সই করার সিদ্ধান্ত নিই। এই ক্লাবের ডিএনএ-র সঙ্গে আমি পরিচিত। দেশের অন্যতম সেরা ক্লাবে সই করে আমি গর্বিত।’

সন্দেশ আরও বলেন, ‘আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আইএসএল জিততে পারলে খুশি হব। আমি তিন বার আইএসএলের ফাইনাল খেলেছি। পরপর দু’বছর ফাইনাল আর প্লে অফ খেলেছি। আমার জীবনে কোনও অনুশোচনা নেই। কারণ, আমি আমার সেরাটা উজাড় করে দিই। যখন আমি পিছনে ফিরে তাকাই, আমার মুখে হাসি লেগে থাকে।’

আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের পছন্দের ফুটবলার হলেও, ফেরান্দোর স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছিলেন না সন্দেশ। ২০২০-তে সন্দেশ এটিকে মোহনবাগানে যোগ দেওয়ার পর ব্যাপক হাইপ তৈরি হলেও, তিনি ক্লাবের থেকে মরশুম শেষে রিলিজ নিয়ে চলে গিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার ক্লাবে। গত মরসুমের দ্বিতীয় পর্বে চোটপ্রবণ ডিফেন্ডারকে ফের ফিরিয়ে আনা হয় সবুজ-মেরুনে। কিন্তু সন্দেশ নজর কাড়তে পারেননি। জুয়ান ফেরান্দো ডিপ ডিফেন্স থেকে পাসিং ফুটবল খেলে আক্রমণ তুলে আনতে চান। কিন্তু সন্দেশের বল ধরে খেলার ক্ষমতা অনেকটাই কম। যে কারণে কোচের স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে খাপ খাচ্ছিলেন না বলে তাঁকে ছেড়ে দেয় এটিকে মোহনবাগান।

বন্ধ করুন