নিজের প্রথম ম্যাচেই দায়িত্ব গোটা ম্যাচে টাচলাইন থেকে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের চালনা করে গেলেন অস্থায়ী কোচ রেনেডি সিং। হায়দরাবাদ ম্যাচের মতোই ফের ডিফেন্সে জান লড়িয়ে দেয় ইস্টবেঙ্গল। হাওকিপের হেডারে প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়েই ছিল লাল-হলুদ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে একটু ভুল,আর তাতেই সৌরভ দাস দুর্ভাগ্যক্রমে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের জালেই জড়িয়ে দেন। সুনীল ছেত্রী ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই দাগ কাটতে ব্যর্থ হন।
ম্যাচ সেরা আদিল
দুরন্ত ডিফেন্সিভ পারফরম্যান্সের জন্য ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার আদিল খানকে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার দেওয়া হয়।
ম্যাচ শেষ
দুর্ধর্ষ ডিফেন্সিভ পারফরম্যান্সের পরেও আত্মঘাতী গোলে প্রথম জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হল ইস্টবেঙ্গলের। হীরা মন্ডল এবং কোচ বদলের জেরে দলে সুযোগ পাওয়া আদিল খান গোটা ম্যাচ জুড়ে প্রায় লাল-হলুদ গোলের সামনে প্রাচীর গড়ে দেন। সুনীল ছেত্রী মাঠে থাকলেও গোলে একটি শট ছাড়া তেমন কোনো বড় সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হন।
৯০+২ মিনিট- পরিবর্তন
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নামতের পরিবর্তে মাঠে নামলেন বিকাশ জাইরু। বেঙ্গালুরুর হয়ে শিবশক্তি নারায়ণান নেমেছেন আশিক ক্রুনিয়ার জায়গায়।
৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট যোগ করা হল
ইনজুরি টাইম হিসেবে ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট যোগ করা হল। ইস্টবেঙ্গল কি পারবে এই সময়ের সুযোগ নিয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিততে?
৯০ মিনিট- দূরপাল্লার শট গোলে রাখতে ব্যর্থ উদান্ত
ইস্টবেঙ্গলের গোলের কাছে থ্রো থেকে বক্সের বাইরে উদান্তর পায়ে বল চলে আসে। সময় এবং যথেষ্ট পরিমাণ জায়গা থাকলেও তাঁর শট গোলের অনেকটা বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৮৭ মিনিট- হলুদ কার্ড
৫০-৫০ বলে নিজের ট্যাকেল মিস টাইম করে আশিক ক্রনিয়াকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নামা অঙ্কিত।
৮২ মিনিট- বেঙ্গালুরুর পরিবর্তন
সুরেশের বদেল বেঙ্গালুরু দানিশ ভাটকে মাঠে নামিয়েছে।
৮০ মিনিট- জঘন্য মিস হাওকিপের
গোলের একেবারে ইস্টবেঙ্গলকে পুনরায় ম্যাচে এগিয়ে দেওয়ার বড় সুযোগ পেয়েছিলেন হাওকিপ। তার সামনে গোলকিপার ছাড়া আর কেউই ছিল না। তবে প্রথম টাচেই গোল করতে গিয়ে নিজের শট সম্পূর্ণরূপে মিস করেন হাওকিপ।
৭৯ মিনিট- আহত অমরজিৎ
৫০-৫০ চ্যালেঞ্জে অমরজিৎ বল জিতলেও বেঙ্গালুরু ফুটবলার সজোরে অমরজিৎ-র পায়ে পারেন। ব্যাথায় মাঠেই লুটিয়ে পড়েন অমরজিৎ, তবে চিকিৎসার পরে তিনি মাঠে ফিরেছেন।
৭২ মিনিট- দুর্ধর্ষ হীরা
বাঁ-দিক থেকে রোশনের ক্রসে স্বভাবচিত দৌড় নিয়ে বল পেয়ে গিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তাঁর শট অরিন্দমকে পরাস্ত করলেও সম্ভবত মরশুমের সেরা ব্লক করে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করে দেন হীরা মন্ডল।
৬৬ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া বেঙ্গালুরুর
ডি-বক্সের ভিতরে সেই রোশনের সেট পিস থেকে হেডে গোল করার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ইবরা। তবে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা তাঁর বিরুদ্ধে ভাল ডিফেন্ড করে এবং ডিফেন্সের চাপেই তাঁর হেডার গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৬২ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তন
টমিস্লাভ মার্সেলার বদলে কোচ রেনেডি সিং মাঠে নামালেন অঙ্কিত মুখার্জিকে।
৫৭ মিনিট- সঙ্গে সঙ্গেই লিডে ফেরার সুযোগ হাতছাড়া
বেঙ্গালুরুর গোলের পরেই সাবস্টিটিউট হিসেবে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামা অমরজিৎ গোল করার সুযোগ একটা পেয়েছিলেন বটে। তবে বক্সের বাইরে শট নেওয়ার জায়গা পেলেও তাঁর শট গোলের ধারেকাছেও ছিল না।
৫৫ মিনিট- সৌরভের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফিরল বেঙ্গালুরু
সেই সেট পিসই ভরসা। ইস্টবেঙ্গলের পরে ম্যাচে সেট পিস থেকে গোল করল বেঙ্গালুরুও। সৌরভ দাস বল ক্লিয়ার করতে গেলেও তাঁর মাথা ছুঁইয়ে বল অরিন্দমকে পরাস্ত করে গোলে ঢুকে যায়।
৫২ মিনিট- অফসাইড
নামতের সুন্দর থ্রু বল থেকে ইস্টবেঙ্গল ভাল সুযোগ তৈরি করতে পারত, তবে চুকুউ অফসাইডে ছিলেন।
বেঙ্গালুরুর জোড়া বদল
এক গোলে পিছিয়ে থাকা বেঙ্গালুরু গোলের খোঁজে জয়েশ রানের বদলে মাঠে নামাল সুনীল ছেত্রীকে। পরাগ শ্রীবাসের বদলে মাঠে নেমেছেন প্রতীক চৌধুরী।
ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তন
লাল-হলুদের হয়ে মহেশের বদলে মাঠে নামলেন অমরজিৎ সিং কিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
ইস্টবেঙ্গল ১-০ এগিয়ে মাঠে নামছে।
হাওকিপের গোলে ১-০ এগিয়ে ইস্টবেঙ্গল
প্রথমার্ধের খেলা শেষ
একেবারে নিখুঁতভাবে প্রথম ৪৫ মিনিট নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্ষম হয়েছে লাল-হলুদ। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বল বেঙ্গালুরুর পায়ে থাকলেও সেট পিস থেকে তাদের সমস্যায় ফেলেছেন হাওকিপ, চুকুউরা। প্রথমার্ধের শেষে গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর সেই লিড বজায় রাখতেও সক্ষম হয়েছে লাল-হলুদ।
৪৫+১ মিনিট- দুরন্ত সুযোগ নষ্ট বেঙ্গালুরুর
ডান দিক থেকে উদান্তর গতিময় রান এবং ক্রস লাল-হলুদ ডিফেন্সকে সমস্যায় ফেলে দেয়। উদান্তর ক্রস বক্সে উপস্থিত ইবরার পায়ে চলে যান। তবে প্রচুর ডিফেন্ডার তাঁকে দারুণভাবে মার্ক করায় টার্ন করে গোলে শট করতে পারেননি তিনি। বক্সের ধারে বল বাড়িয়ে দিলেও তাঁর সেই বল রিসিভ করার জন্য কোনো বেঙ্গালুরু খেলোয়াড় উপস্থিত ছিল না।
অতিরিক্ত দুই মিনিট
প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট শেষে অতিরিক্ত দুই মিনিট ইনজুরি টাইম হিসেবে যোগ করা হয়।
৪১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের সেট পিস সমস্যায় ফেলছে বেঙ্গালুরুকে
সেট পিস থেকে ইতিমধ্যেই একবার গোল করে ফেলেছে ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে বেঙ্গালুরু এগিয়ে থাকলেও, সেট পিস থেকে কিন্তু বেশ সমস্যায় ফেলছে লাল-হলুদ। ফের একবার ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সুযোগ পেয়ে যান ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ। তবে কঠিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি চুকুউ।
৩৭ মিনিট- অল্পের জন্য গোল খাওয়া থেকে বাঁচ ইস্টবেঙ্গল
ক্লেইটন সিলভার ফ্রি-কিক থেকে অ্যালান কোস্টার হেডার অল্পের জন্য ইস্টবেঙ্গলের গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়। বক্সের মধ্যেই কোস্টার হেডারের সুযোগ পাওয়া কিন্তু লাল-হলুদের জন্য একেবারেই ভাল সংকেত নয়।
২৯ মিনিট- গোওওওওওলললল
ফের সেটপিস থেকে গোল লাল-হলুদের। আঙ্গুসানার নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে লো হেডারে প্রাক্তন দল বেঙ্গালুুরুর জালে বল জড়িয়ে দিলেন হাওকিপ। ইস্টবেঙ্গল ১-০ গোলে এগিয়ে গেল।
২৮ মিনিট- হলুদ কার্ড
হাওকিপের স্কিলে রোশন পুরোপুরি পরাস্ত হয়ে যাওয়ার পর তাঁর জার্সি ধরে তাঁকে রোখার চেষ্টা করেন তিনি। রেফারি বাধ্য হয়েই রোশনকে হলুদ কার্ড দেখান।
২৫ মিনিট- গোলশূন্য ম্যাচ
গোটা ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে বেঙ্গালুরুর অনেকটাই এগিয়ে থাকলেও একমাত্র বড় সুযোগ তৈরি করতে সক্ষম হয় এসসি ইস্টবেঙ্গলই। তবে এখনও কোনো গোল হয়নি। বেঙ্গালুরুর হয়ে উইংয়ে ভাল খেলছেন উদান্ত।
২১ মিনিট- বেঙ্গালুরুর প্রয়াস
ব্রাজিলিয়ান ব্রুনো রামিরেজের দূরপাল্লার বাঁ-পায়ের শট অরিন্দিমের জন্য কোনোরকম সমস্যাই সৃষ্টি করেনি।
২০ মিনিট- গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট লাল-হলুদের
লং বলে দুই বেঙ্গালুুরু ফুটবলার একসঙ্গে বল রিসিভ করতে গিয়ে বোঝাপড়ার অভাবে সংঘর্ষের ফলে পড়ে যান। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে হাওকিপ, নাওরেমেরা পেনাল্টি বক্সে দুই বনাম তিনের পরিস্থিতি তৈরি করলেও হাওকিপ বল পায়ে রাখতে ব্যর্থ হন। তাঁর শটও সেই সুযোগে ব্লক করার সময় পেয়ে যায় বেঙ্গালুরু।
১৩ মিনিট- সুযোগ নষ্ট
ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মহে শট গোলের অনেকটাই বাইরে দিয়ে চলে যায়।
ইতিমধ্যেই হলুদ কার্ড দেখে ফেলেছেন অরিন্দম
ম্যাচের মাত্র দুই মিনিটেই বাজে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক তথা গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য।
গোলের সুযোগ তৈরি করল এসসি ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচের ১০ মিনিটে প্রথম সুযোগ পেয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে ব্যর্থ হয় লাল হলুদ ব্রিগেড। ১০ মিনিটের খেলার ফল গোল শূন্য।
খেলা শুরু
হারার আগে হার মানবে না এসসি ইস্টবেঙ্গল, এমনটাই মনে করেন প্রাক্তনরা। রেনেডি কী প্রথম পরীক্ষায় সফল হবেন?
দল ঘোষণা
বেঙ্গালুরু দলে একটি পরিবর্তন। অজিথের বদলে প্রথম এগারোয় সুযোগ পেলেন উদান্ত সিং। ইস্টবেঙ্গলের প্রথম এগারোয় মোট চারটি বদল। রাজু গায়কোয়াড়ের বদলে এলেন আদিল খান। প্রথম এগারোয় জায়গা পেলেন নওরেম মহেশ সিং, থঙখোসিম সেম্বয় হাওকিপ, আঙ্গুসানা ওয়াহেংবামও।
লড়াইয়ের আগে দুই দলের শুভেচ্ছা বিনিময়
উপস্থিত বেঙ্গালুরু এফসিও
মাঠে পৌঁছে গিয়েছে লাল-হলুদ
বেঙ্গালুরু এফসির সাম্প্রতিক ফর্ম
এ মরশুমে একেবারেই ফর্মে নেই বেঙ্গালুরুর ট্যালিসমান সুনীল ছেত্রী। তবে সাত ম্যাচ পরে অবশেষে চেন্নাইনকে ৪-২ হারিয়ে জয়ে ফিরেছে দল। সেই জয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখতেই বদ্ধপরিকর ছেত্রীরা। বর্তমানে নয় ম্যাচে দুই জয় এবং চার ম্যাচ হারার ফলে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় আট নম্বরে রয়েছে বেঙ্গালুরু।
ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক ফর্ম
এখনও অবধি এসসি ইস্টবেঙ্গলই লিগের একমাত্র দল যারা এই মরশুমে একটিও ম্যাচ জিততে পারিনি। গত ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লড়াকু ড্রয়ের পরেও অপসারিত হয়েছেন কোচ ম্যানুয়েল দিয়াজ। নতুন কোচ মারিয়ো রিভেরা এখনও নিজের নিভৃতবাস সম্পূর্ণ করতে না পারায় দলের দায়িত্বে থাকবেন রেনেডি সিং। আট ম্যাচে চারটি ড্র ও চারটি পরাজয়ের জেরে লিগ টেবিলের লাস্টবয় ইস্টবেঙ্গলের মোট পয়েন্ট সংখ্যা চার।