ম্যাচের দুই অর্ধেই প্রত্যাশামতো হায়দরাবাদ দুরন্তভাবে শুরুটা করলেও ইস্টবেঙ্গল ধীরে ধীরে ম্য়াচে ফিরে আসে। প্রথমার্ধেই ম্যাচের দুটি গোল আসে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ফ্রি-কিক থেকে গোল করেন আমির দার্ভিসেভিচ এবং হায়দরাবাদকে তারপর সমতায় ফেরান ওগবেচে। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। লাল-হলুদের হয়ে নামতে এবং হীরা মন্ডল বেশ ভাল খেলেন। হায়দরাবাদের হয়ে প্রথম এগারোয় সুযোগ পেয়ে অনিকেত যাদবও মন্দ খেলেননি। তবে ম্যাচ ১-১ ড্র হওয়ায় হায়দরাবাদ লিগ তালিকায় দুই নম্বরে উঠে এলেও ইস্টবেঙ্গল শেষেই রইল।
ম্যাচ সেরা ইস্টবেঙ্গলের হামতে
গোটা ম্যাচ জুড়েই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নিজের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য লালরিনলিয়ানা হামতে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
খেলা শেষ
প্রথামার্থে দুই দলই বেশ ভাল সুযোগ তৈরি করলেও দ্বিতীয়ার্ধে তেমনটা খুব বেশি দেখা যায়নি। তবে ম্যাচের একেবারে শেষ তিন মিনিটে দুইবার হেডারে হায়দরাবাদকে জয় এনে দেওয়ার সুযোগ পেলেও তা নষ্ট করেন যথাক্রমে জাও ভিক্টর এবং ওগবেচে। তবে দাঁতে দাঁত চেপে ডিফেন্ড করার এসসি ইস্টবেঙ্গলের জন্য পরাজয়টা বেশ বেদনাদায়কই হত। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর তাই ১-১ ড্রই সঠিক রেজাল্ট।
৯৮ মিনিট- শেষ টাচে সুযোগ নষ্ট
ম্য়াচের প্রথমার্থে হেডারে গোল করে দলকে সমতায় ফেরানোর পর ফের একবার ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে ওগবেচে বেশ খানিকটা জায়গাও পান এবং তাঁর মাথায় বলও চলে আসে। তবে দুর্বল শটে একেবারে অরিন্দমের দস্তানায় তা ধরা দেয়। এটাই ছিল ম্যাচের শেষ সুযোগ।
৯৬ মিনিট- হায়দরাবাদের সুযোগ নষ্ট
জাও ভিক্টর ডান দিক থেকে হেডারে গোল করার সুযোগ পেলেও তা মিস করেন।
৯৪ মিনিট- ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড
প্রায় ৯২ মিনিট পরে প্রথম হলুদ কার্ড দেখানোর দুই মিনিট পরেই আবার রেফারির হলুদ কার্ড বের হল। এবার বুক হলেন হায়দরাবাদের হুয়ানান।
৯২ মিনিট- ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড
নিখিল পূজারির বিরুদ্ধে হাই বুটের জন্য ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখলেন সাবস্টিটিউট হিসেবে নামা ইস্টবেঙ্গলের নওরেম।
অতিরিক্ত সাত মিনিট
প্রচুর ইনজুরি ও ফাউলের জেরে ৯০ মিনিটের পর সাত মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করা হয়েছে।
৮৭ মিনিট- অরিন্দমের সহজ সেভ
বক্সের বাইরে থেকে গোলের বাঁ-দিকে ঘেষে ওগবেচের শট সহজেই সেভ করেন দেন লাল-হলুদ গোলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্য্য।
৮৪ মিনিট- হায়দরাবাদের পরিবর্তন
অনিকেত যাদবের জায়গায় মাঠে নামলেন আব্দুল রাবি।
৮২ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া ইস্টবেঙ্গলের
ডান দিক থেকে রফিকের ক্রসের ফ্লাইট মিস করেন হায়দরাবাদের গোলরক্ষক কাট্টিমানি। তবে হাওকিপের হেডার গোলের বাইরে বেরিয়ে যায়।
৮১ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তন
গোলস্কোরার দার্ভিসেভিচকে তুলে নিয়ে ম্যানুয়েল দিয়াজ মাঠে নামলেন আঙ্গুসানা ওয়াহেংবামকে।
৭৯ মিনিট- ফ্রি-কিক জিতলেন বলওয়ন্ত
বলওয়ন্ত সিং ফ্রি-কিক জিতলেও তা থেকে লাভের লাভ কিছুই হয়নি।
৭৭ মিনিট- জোড়া পরিবর্তন এসসি ইস্টবেঙ্গলের
রাজু গায়কোয়াড় এবং নামতের জায়গায় মাঠে নামলেন ড্যানিয়েল গোমস ও নওরেম মহেশ সিং।
৭৫ মিনিট- দ্বিতীয়ার্ধে জল পানের বিরতিতে স্কোর ১-১
প্রথমার্ধে দুই গোলের সামনেই বেশ পরপর সুযোগ তৈরি হলেও, দ্বিতীয়ার্ধের বেশিরভাগ খেলাটাই মাঝমাঠেই হচ্ছে।
৬৮ মিনিট- হায়দরাবাদের জোড়া পরিবর্তন
হিতেশ শর্মার বদলে অ্যারেন ডি সিলভা এবং এডু গার্সিয়ার বদলে জুয়ানান মাঠে নামলেন হায়দরাবাদের হয়ে।
৬৪ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের জোড়া পরিবর্তন
চিমার বদলে ফরোয়ার্ডে নামলেন বলয়ন্ত সিং ও কিয়ামের বদলে মাঠে নামলেন সেম্বয় হাওকিপ।
৬১ মিনিট- হায়দাবাদের পরিবর্তন
চিয়ানেডের বদলে হায়দরাবাদের হয়ে মাঠে নামলেন হাভি সিভেরিয়ো।
৬০ মিনিট- বড় সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ
হায়দরাবাদ শুরুটা ভাল করলেও নিজেদের সামলে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কোনো দলই খুব বড় সুযোগ তৈরি করতে পারছে না। খেলার বেশিরভাগটাই মাঝমাঠে হচ্ছে।
৫২ মিনিট- জমাট ডিফেন্ডিং হীরার
হায়দরাবাদ কর্ণার থেকে শক্তি প্রদর্শন করে বক্সে বল জিতে নেন হীরা মন্ডল। হায়দরাবাদ আক্রমণের বিরুদ্ধে বেশ জমাট রক্ষণের প্রদর্শন ইস্টবেঙ্গলের।
৫২ মিনিট- দারুণ ক্রস
ডান দিক থেকে চিয়ানেজের দারুণ ক্রসে ফার পোস্টে বল পেয়ে গিয়েছিলেন গার্সিয়া। তবে অত্যাধিক স্ট্রেচ করতে হওয়ায় তা দখলে রাখতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় সবচেয়ে ভাল বিকল্প, কর্ণার পেয়ে যায় হায়দরাবাদ।
৪৯ মিনিট- শুরুতেই ফ্রান্ট ফুটে হায়দরাবাদ
প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে দাপট দেখাচ্ছে হায়দরাবাদ। বাঁ-দিক থেকে বেশ ভাল একটি ক্রস বাড়িয়েছিলেন এডু গার্সিয়া। তবে কোনো হায়দরাবাদের ফুটবলারই একটু ঝুঁকি নিয়ে সেই ক্রস আক্রমণ করেননি। ফলে সুযোগটি পুরোপুরি নষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
হায়দরাবাদ একটি পরিবর্তন করে দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছে। দানুর বদলে সাহিল তাভোরা মাঠে নেমেছেন। এসসি ইস্টবেঙ্গল কোনো পরিবর্তন করেনি।
প্রায় ১০০ শতাংশ সফল ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা
ম্যাচে প্রথমে ইস্টবেঙ্গলকে হায়দরাবাদ আক্রমণে সামনে বেশ অসহায় লাগলেও ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে লাল-হলুদ। দার্ভিসেভিচের ফ্রি-কিকে লিডও নেয়। তবে ডিফেন্সে রাজু বলের ফ্লাইট পড়তে হালকা ভুল করাতেই বিপত্তি। একেবারে নিজের স্ট্রাইকার ইন্সটিঙ্কট দেখিয়ে হেডারে গোল করে হায়দরাবাদকে ম্যাচে ফেরান ওগবেচে।
প্রথমার্ধের শেষে স্কোর ১-১
হাফ টাইম
প্রথমার্ধের শেষে দুই মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হলেও রাজু গায়কোয়াড় বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে পড়ে যান। বল ক্লিয়ার কোনোরকমে হলেও তাঁর বেশ জোরে আঘাত লাগে। চিকিৎসায় দীর্ঘ সময় লাগছে দেখে রেফারি হাফ টাইমের বাঁশি বাজিয়ে দেন।
৪৫ মিনিট- সুযোগ হাতছাড়া
কিয়ামের দূরপাল্লার শট গোলের অনেক দূর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৪২ মিনিট- অফসাইড
লরেন্সো সুন্দর থ্রু-বল বাড়ালেও, চিমা অফসাইডের জালে ধরা পড়েন।
৩৯ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের দুর্ভাগ্য
লং বল থেকে পেনাল্টি বক্সের মধ্যে চিমা বল চেস্ট ডাউন করেন। তা পৌঁছে যায় রফিকের পায়ে। গোলের সামান্য বাইরে থেকে রফিকের জোরাল শট হায়দরাবাদ গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বার সহায় হয়ে দাঁড়ায় নিজামের শহরের দলের জন্য।
৩৫ মিনিট- সমতায় ফিরল হায়দরাবাদ
বাঁ-দিক থেকে অনিকেত যাদবের ক্রস সম্পূর্ণরূপে মিসজাজ করে বসেন রাজু গায়কোয়াড়। পেনাল্টি বক্সে ওগবেচে কখনই তেমন সুযোগ হাতছাড়া করেন না। এবারও করেননি। জোরাল হেডারে ইস্টবেঙ্গলের জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি। এটি প্রথমার্ধে এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ১২ নম্বর গোল, যা লিগে সর্বোচ্চ।
৩৫ মিনিট- আবার সুযোগ নষ্ট
প্রতিআক্রমে মহম্মদ রফিকের পাস থেকে ভাল সুযোগ পেলেও চিমার সঙ্গে সর্বক্ষণ লেগে থাকে হায়দারাবাদ ডিফেন্ডার। চাপে গোলের বাইরেই বল মারেন চিমা।
৩৩ মিনিট- হায়দরাবাদের ফ্রি-কিক
আকাশ মিশ্রার নাছোড় মনোভাবে ফ্রি-কিক জিতলেও সেট পিস থেকে খারাপ ডেলিভারির ফলে তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় হায়দরাবাদ।
২৯ মিনিট- সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া
গোলরক্ষককে ওয়ান ইজ টু ওয়ানে পেয়েও ইস্টবেঙ্গলকে দুই গোলে এগিয়ে দিতে ব্যর্থ হলেন চিমা। তাঁর শট গোলের বেশ বাইরে দিয়েই বেরিয়ে যায়। এমন ম্যাচে এই সুযোগ হাতছাড়া করে পরবর্তীতে আবার ইস্টবেঙ্গলকে ভুগতে না হয় যেন।
১-০ এগিয়ে লাল-হলুদ
২০ মিনিট- গোওওওওওললললললল!
বাঁ-পায়ের দুরন্ত শটে লাল হলুদকে ফ্রি-কিক থেকে এগিয়ে দিলেন দার্ভিসেভিচ। ওয়ালের মধ্যে থেকে শটটা ঠিক করে দেখতেই পারেননি হায়দরাবাদ গোলরক্ষক।
১৯ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের ভাল সুযোগ
দারুণ রান নিয়ে বক্সের একেবারে কাছে ফাউল হন হামতে। গোল করার বড় সুযোগ লাল-হলুদের কাছে।
১৭ মিনিট- হামতের খারাপ ফাউল
দানুর খারাপ টাচে বল দখল করতে গিয়ে ফাউল করে বসেন লালরিনলিয়ানা হামতে। তবে ফাউলটা খুব একটা ভাল না হলেও কোনো কার্ড দেখেননি হামতে।
১২ মিনিট- হায়দরাবাদের প্রথম অন টার্গেট শট
কর্ণার থেকে প্রথমে তেমন সুবিধা করতে না পারলেও উইং থেকে দৌড় নিয়ে চিয়ানেজে ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে শট নেন। তবে দুর্বল শট সেভ করতে কোনো সমস্যাই হয়নি অরিন্দমের।
১০ মিনিট- আক্রমণ বনাম রক্ষণ
প্রথম ১০ মিনিট পুরোটাই হায়দরাবাদ আক্রমণ বনাম ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের লড়াই চলেছে। স্রেফ প্রচুর সংখ্যক ফুটবলার বক্সের কাছে রেখেই কোনোরকমে ম্যানেজ দিচ্ছে লাল-হলুদ। তবে খুব বড় সুযোগ কোনো দলই এখনও পায়নি।
৭ মিনিট- মাথায়-মাথায় সংঘর্ষ
এডু এবং দার্ভিসেভিচের মধ্যে বল দখলের লড়াইয়ে মাথায়-মাথায় জোর সংঘর্ষ হয়। এডু বেশি আহত বলে মনে হচ্ছে।
৩ মিনিট- শুরুতেই ফাউলের বন্যা
শুরুটা ভাল করেছে হায়দরাবাদ। তবে বল জেতার অত্যাধিক আগ্রহে পরপর হীরা মন্ডল, ড্যানিয়েল চিমা চুকুউ ফাউল করে বসেন।
ম্যাচ শুরু
হলুদ জার্সিতে মাঠে নেমেছে হায়দরাবাদ। অপরদিকে পরিবর্তিত সাদা জার্সিতে খেলছে ইস্টবেঙ্গল।
প্রথম এগারোয় দুইটি পরিবর্তন হায়দরাবাদের
এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে ড্র করা দলের প্রথম এগারোয় থেকে এই ম্যাচে দুইটি পরিবর্তন করেছে হায়দরাবাদ এফসি। দলে এসেছেন অনিকেত যাদব ও এডু গার্সিয়া।
প্রথম এগারোয় তিনটি পরিবর্তন ইস্টবেঙ্গলের
গত ম্যা চ থেকে এসসি ইস্টবেঙ্গল দলে তিনটি পরিবর্তন করেছে। লাল কার্ড দেখায় এই ম্যাচে খেলতে পারবেন না আন্তোনিও পেরোসেভিচ। ফ্রানিও পর্চে জায়গায় লাল-হলুদের প্রথম এগারোয় এসেছেন জয়নার লরেন্সো। অমরজিৎ সিং কিয়াম এবং আমির দার্ভিসেভিচ প্রথম এগারোয় সুযোগ পেয়েছেন।
মাঠে উপস্থিত হায়দরাবাদও
ইতিমধ্যে মাঠে পৌঁছে গেছে লাল-হলুদ শিবির
হায়দরাবাদের সাম্প্রতিক ফর্ম
নিজেদের ছয়টি ম্যাচের তিনটিতেই জয় পেয়েছে হায়দরাবাদ, পরাজিত হয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। বর্তমানে লিগ তালিকায় ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে রয়েছে হায়দরাবাদ এফসি। তবে গত ম্যাচে গোয়ার বিরুদ্ধে ড্রয়ের পর আবার জয়ের সরণীতে ফিরতে চাইবে নিজামের শহরের দল।
ইস্টবেঙ্গলের সাম্প্রতিক ফর্ম
এখনও অবধি এসসি ইস্টবেঙ্গলই লিগের একমাত্র দল যারা এই মরশুমে একটিও ম্যাচ জিততে পারিনি। ম্যানুয়েল দিয়াজের দল এখনও অবধি সাত ম্যাচ খেলে ৩ ম্যাচ ড্র করেছে এবং ৪টিতে হেরেছে। লিগের লাস্টবয়রা নিজেদের প্রথম জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে। তবে এই ম্যাচেও ইতিবাচক ফলাফল না হলে দিয়াজের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা বাড়বে বই কমবে না।