মার্সেলা গোল করে লাল-হলুদ শিবিরকে এগিয়ে দিলেও, ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের দুর্বলতা ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে কেরালাকে সমতায় ফেরালেন ভাজকেজ। প্রথমার্ধের শুরুটা কেরালা দুরন্তভাবে করলেও ম্যাচে সময় গড়ালে কিছুটা আধিপত্য বিস্তারে সক্ষম হয় লাল-হলুদ। তবে প্রথমার্ধ শেষের দিকে আবার কেরালা আক্রমণ বাড়ায় এবং তার থেকেই গোল আসে। প্রথমার্ধ স্কোর ১-১ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুই দল বেশ দহরম মহরম করলেও গোলের দেখা মেলেনি। কেরালার হয়ে লুনা এবং ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পেরোসেভিচ বেশ নজর কাড়েন। ড্রয়ের ফলে ছয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় সাতে উঠে এল কেরালা, তবে তিন পয়েন্ট নিয়ে শেষেই থাকল ইস্টবেঙ্গল।
ভাজকেজ সমতা ফেরানোর পর উচ্ছ্বসিত কেরালা ফুটবলাররা
মার্সেলার গোলের পর ইস্টবেঙ্গলের সেলিব্রেশন
৯৬ মিনিট- সমতায় ম্যাচ শেষ
দ্বিতীয়ার্ধে কেরালা লুনার মাধ্যমে ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকলেও ফাইনাল থার্ডে খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। পেরোসেভিচ অপরদিকে লাল-হলুদের হয়ে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও গোলে বল জড়াতে ব্যর্থ হন। ফলে ১-১ স্কোরেই ম্যাচ শেষ হয়।
৯৩ মিনিট- অফসাইড পেরোসেভিচ
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে ইস্টবেঙ্গলকে তিন পয়েন্টের আশা দেখানো এক ডিফেন্সভেদী বল বাড়িয়ে ছিলেন হীরা মন্ডল। তবে পেরোসেভিচ অফসাইডে চলে যান।
৯২ মিনিট- জিকসনের শট ব্লক
এখনও অবধি মরশুমে ১৫টি গোল খেলেও এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স বেশ ভাল এককাট্টাভাবে জান লড়িয়ে খেলছে। জিকসন সিংয়ের জোরাল শট একদম গোলের সামনে মজবুতভাবে ব্লক করে দেয় ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ।
পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইম
৯০ মিনিট শেষে পাঁচ মিনিট ইনজুরি টাইমের বোর্ড দেখান চতুর্থ রেফারি।
৯০ মিনিট- পেরোসেভিচ বারবার সমস্যায় ফেলছেন কেরালাকে
দুই মিনিটের ব্যবধানে কেরালার গোল লক্ষ্য করে পরপর দুই শট নেন পেরোসেভিচ। প্রথমটি অল্পের জন্য বাইরে বেরিয়ে যায় ও দ্বিতীয়টি গোলের মাঝ বরাবর থাকায় সহজেই সেভ হয়ে যায়।
ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্তন
হাওকিপের বদলে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মাঠে নেমেছেন নাওরেম সিং।
কেরালার হয়ে দুরন্ত খেলছেন লুনা
বল দখল থেকে ম্যাচের গতি সবটাই লুনা মারফৎ নিয়ন্ত্রণ করছে কেরালা।
৮০ মিনিট- পেরোসেভিচের শট সেভ
প্রথম থেকেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে উইংয়ে চোড়া গতিতে কেরালা রক্ষণকে সমস্যায় ফেলেছেন পেরোসেভিচ। ম্যাচের শেষের দিকে পৌঁছেও সেই গতির দেখা মিলল। প্রতিআক্রমণ থেকে তিনিই মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে গেয়ে গোলের উদ্দেশ্যে শট নেন। তবে কেরালা গোলকিপার গিল তা সেভ করে দেন।
৭৭ মিনিট- দূরপাল্লার শট কেরালার
ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার শঙ্কর রায়কে গোল থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকতে দেখে ভাজকেজ মাঝমাঠ থেকে শট নিলেও তা গোলের অনেক ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৭৪ মিনিট- সুযোগ তুলতে ব্যর্থ লাল-হলুদ
কেরালা রক্ষণে বোঝাপড়ার অভাবের সুযোগে দার্ভিসেভিচ পেনাল্টি বক্সের ভিতরে বল পেলেও সোজা কেরালা ডিফেন্ডারের গায়ে বল মেরে সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
৬৮ মিনিট- তিনটি পরিবর্তন ইস্টবেঙ্গলের
একই সঙ্গে চিমা, হামতে এবং কিয়ামের বদলে মাঠে নামলেন বিকাশ জাইরু, আঙ্গুসানা ওয়াহেংবাম এবং আমির দার্ভিসেভিচ।
৬৬ মিনিট- হলুদ কার্ড হামতের
প্রশান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জে হাই বুটের জন্য ম্যাচে তৃতীয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার হিসেবে হলুদ কার্ড দেখলেন হামতে।
৬১ মিনিট- তৃতীয় পরিবর্তন কেরালার
সন্দীপ সিংয়ের বদলে কেরালার তৃতীয় সাবস্টিটিউট হিসেবে মাঠে নামলেন নিশু কুমার।
দ্বিতীয় পরিবর্তন কেরালার
সাহাল আব্দুল সামাদের বদলে মাঠে নেমেছেন দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কেরালার হয়ে মাঠে নামেন চেঞ্চো।
৫৪ মিনিট- হীরার দূরপাল্লার শট
প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে হীরা মন্ডলের শট গোলের বেশ খানিকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়।
৫২ মিনিট- দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করলেও দ্বিতীয়ার্ধটা লাল-হলুদ শিবির মন্দ করেনি।
৪৫ মিনিট- সমতায় ফিরল কেরালা
আলভারো ভাজকেজের শট ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। গোলের আগে অবশ্য রাজু খুবই সহজে বল পায়ে পেয়েও তা ভাজকেজের কাছে জমা দেন।
৪৪ মিনিট- কেরালার পরিবর্তন
সিপোভিচের বদলে মাঠে নামলেন আব্দুল হাক্কু।
৩৭ মিনিট- এক গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল
রাজুর লং থ্র থেকে ফের সাফল্য। প্রথম পোস্টে শক্তির পরিচয় দিয়ে দুরন্ত হেডারে টমিস্লাভ মার্সেলা এগিয়ে দিলেন ইস্টবেঙ্গলকে।
৩০ মিনিট- জলপানের বিরতিতে ম্যাচ গোলশূন্য
ম্যাচের শুরুটা কেরালা দারুণভাবে করলেও ম্যাচে ধীরে ধীরে ফিরে আসে ইস্টবেঙ্গল। পেরোসেভিচ ডান দিক থেকে বারংবার কেরালাকে সমস্যায় ফেলছেন। প্রথম গোল বাতিল হওয়ার পর খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেরালা। তবে ম্যাচে কড়া ট্যাকেল এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে হালকা বাকবিনিময় চোখে পড়েছে।
২৩ মিনিট- দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ইস্টবেঙ্গলের
মাঠে প্রতিপক্ষ এবং রেফারির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার হিসেবে হলুদ কার্ড দেখলেন কিয়াম।
২০ মিনিট- দুরন্ত সেভ কেরালা গোলকিপারের
পেরোসেভিচের বাঁ-পায়ের টপ কর্ণারমুখী দুরন্ত শট ঝাঁপিয়ে অনবদ্যভাবে সেভ করেন কেরালা গোলকিপার গিল।
১৯ মিনিট- ফ্রি-কিক মিস
বিতর্কিত গোল বাতিল হওয়ার পর বক্সের কাছেই ভাল জায়গায় ফ্রি-কিক পেলেও কেরালা তা নষ্ট করে।
১৭ মিনিট- কেরালার বিতর্কিত গোল বাতিল
আলভারো ভাজকেজ একদম সঠিক সময়ে রান নিয়ে ইস্টবেঙ্গল জালে বল জড়িয়ে দেন। রেফারি প্রথমে গোল দিলেও পরে লাইন্সম্যানের সঙ্গে পরামর্শ করে তা বাতিল করেন। গোল হওয়ার আগেই পেনাল্টি বক্সের বাইরে হ্যান্ড বলের জন্য রেফারি বাঁশি বাজিয়ে দেওয়ায় গোল বাতিল হয়।
১১ মিনিট- হাওকিপের হলুদ কার্ড
সিপোভিচকে মিস টাইম ট্যাকেল করায় হলুদ কার্ড দেখলেন হাওকিপ।
৮ মিনিট- প্রতিআক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের
ডিফেন্স থেকে দুরন্ত গতি দেখিয়ে পেরোসেভিচ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথম কর্ণার জিতে নিলেও সেট পিস কাজে লাগাতে পারল না লাল-হলদ শিবির।
৫ মিনিট- শুরু থেকেই আক্রমণ কেরালার
ম্যাচের বেশিরভাগটাই ইস্টবেঙ্গল অর্ধে খেলা হচ্ছে। গোলকিপার শঙ্কর রায় ঝাঁপিয়ে বল বাঁচাতে গেলে জেসেল পেনাল্টি বক্সে পড়ে গেলে কোরালা মৃদু পেনাল্টির দাবি জানালেও রেফারি তা নাকচ করে দেন।
ম্যাচ শুরু
প্রথমার্ধে বাঁ-দিক থেকে ডান দিকে আক্রমণ করছে চেনা লাল-হলুদ জার্সি পরিহিত ইস্টবেঙ্গল। পরিবর্ত সাদা জার্সি পরে ডান থেকে বাঁ-দিকে আক্রমণ করছে কেরালা।
কেরালা দলে তিন পরিবর্তন
কেরালা দলে তিন পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আলবিনো গোমসের জায়গায় কেরালার গোলে প্রভসুখন গিল। হরমনজ্যোৎ সিং খাবরার বদলে সন্দীপ সিং এবং ভিন্সি বারেটোর জায়াগায় দলে এসেছেন পুইটিয়া।
ইস্টবেঙ্গল দলে চার পরিবর্তন
গোয়া ম্যাচ থেকে ইস্টবেঙ্গল প্রথম এগারোয় চার বদল ঘটিয়ে মাঠে নামছে। শুভম সেনের বদলে লাল-হলুদের গোল আগলাবেন শঙ্কর রায়। এছাড়া মাঝমাঠে সৌরভ দাস ছাড়া গত ম্যাচের তিন ফুটবলারই দলে নেই। নওরেম মহেশ সিং, আমির দার্ভিসেভিচ ও বিকাশ জাইরুর বদলে এসেছেন ড্যানিয়েল চিমা, থঙখোসিম সেম্বয় হাওকিপ ও লালরিনলিয়ানা হামতে।
আজকের ম্যাচের দুই দল
মাঠে পৌঁছে গিয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গল দল
কেরালা ব্লাস্টার্সের বর্তমান ফর্ম
প্রথম তিন ম্যাচ থেকে মাত্র দু’পয়েন্ট অর্জন করার পর, গত রবিবার নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তিন পয়েন্ট পায় কেরালা ব্লাস্টার্স। গত মরশুম থেকে নাগাড়ে ১১ ম্যাচ জয়ের মুখ না দেখার পর ওড়িশা এফসিকে ২-১ হারিয়ে প্রথম জয়ের মুখ দেখে কেরালা। বর্তমানে লিগ তালিকায় পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে আটে থাকা কেরালা যদি ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারে, তাহলে এটিকে মোহনবাগান, জামশেদপুর এফসিকে টপকে একেবারে লিগ তালিকায় চার নম্বরে পৌঁছে যেতে পারেন তারা।
ইস্টবেঙ্গলের বর্তমান ফর্ম
ইস্টবেঙ্গল এখনও মরশুমের প্রথম তিন পয়েন্টের খোঁজে। শেষ ম্যাচে এফসি গোয়ার কাছে ৩-৪ হেরেছে। চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে ড্র করে যেটুকু আশা জাগিয়েছিল ম্যানুয়েল দিয়াজের টিম, এফসি গোয়ার কাছে ৩-৪ হেরে সেইসব আশায় জল ঢেলে দেয় লাল-হলুদ বাহিনী। ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে জয় তাই শুধু অতি প্রয়োজনীয় নয়, এক কথায় জয়ই একমাত্র বিকল্প।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।