বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > স্যান্টোসের আকাশে এক টুকরো পেলে

স্যান্টোসের আকাশে এক টুকরো পেলে

ড্রোনের মাধ্যমে পেলেকে তুলে ধরা হচ্ছে। ছবি টুইটার

স্যান্টোসের আকাশে ফুটবল সম্রাট পেলেকে তুলে ধরা হল ড্রোনের মাধ্যমে। বিশেষ সেই ড্রোন শোয়ে পেলের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হল। এই ভাবেই পেলেকে শ্রদ্ধা জানানো হল।

২৯ ডিসেম্বর দিনটা মনে রাখবে ফুটবল বিশ্ব। কারণ সেইদিনই চিরতরে বিদায় নিয়েছেন ফুটবল সম্রাট পেলে। বিশ্ব ফুটবলে তা অন্ধকারময় দিন। ফুটবল সম্রাটের মৃত্যুতে নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। বর্ষ শেষের আনন্দ কোথায় যেন বিলিন হয়ে যায়। ব্রাজিল জুড়ে শুধুই নিস্তব্ধতা। পেলেকে দেখতে দূর দূরান্ত এসেছেন তাঁর সমর্থকরা। কেউ আগের দিন রাত থেকে অপেক্ষা করেছেন কখন স্যান্টোসের বেলমিরো স্টেডিয়ামের দরজা খুলবে। আর গিয়ে তাঁকে শেষবারের মতো দেখবেন।

কেউ ফুলের তোরা আবার কেউ বা নিজেই গান বানিয়েছেন। যে যার মতো করে পেলেকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তেমনই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাও পাওলোর বাসিন্দারা। রাতের আকাশ। চারিদিকে অন্ধকার। সমুদ্রের বিচের উপর হঠাৎ আলোর রোশনাই। প্রতিকৃতি হয়ে জেগে উঠলেন পেলে। দেখা গেল তাঁর গোলের সংখ্যাও। নিচে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার পেলের ভক্ত। সেই আলোর রোশনাই দেখে কেউ কেউ আবেগ তাড়িত হয়ে পড়লেন । কেউ মাতলেন উচ্ছ্বাসে। প্রিয় তারকাকে আসলে নয়, আলোর মাধ্যমে দেখাও যে অনেক।

২৯ ডিসেম্বর ২০২২। বিশ্ব হারায় ফুটবলের সম্রাট পেলেকে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। ফুটবলকে হয়তো তাঁর আর দেওয়ার কিছুই বাকি ছিল না। কিন্তু তিনি তো সম্রাট। তাঁকে হারাতে কে চায়। দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে অনেক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল তাঁর। চেষ্টা করেও বাঁচানো যায়নি তাঁকে।

পেলে পৃথিবীর মায়া কাটানোর পর, তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয় তার হোম গ্রাউন্ড স্যান্টোস স্টেডিয়ামে। ২৪ ঘন্টা তাঁর দেহ রাখা থাকে। যাতে সাধারণ মানুষও শেষবারের জন্য দেখতে পারেন তার প্রিয় নায়ককে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকে স্টেডিয়ামের দরজা। স্যান্টোসের মেমোরিয়াল নিক্রোপোল একুমেনিকা কবরস্থানে কবর দেওয়া হয় পেলেকে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর অনেক ভক্ত।

শেষবারের মতো তাঁকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। ড্রোনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে তুলে ধরা হয় পেলের বিশ্বকাপ জয়। তাঁর গোলের সংখ্যা । তাঁর খেলার স্টাইল। হৃদয়ের প্রতিকৃতি। ৮০টি ড্রোনের মাধ্যমে মাঝ আকাশে ফুটিয়ে তোলা হয় তোলা হয় বিভিন্ন দৃশ্য। স্বাভাবিকভাবে আবেগতাড়িত হয়ে দেখতে থাকে সাধারণ মানুষ।

বন্ধ করুন