বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > East Bengal: ট্রান্সফার ব্যান উঠে যাওয়ায় খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন

East Bengal: ট্রান্সফার ব্যান উঠে যাওয়ায় খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন

স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন।

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় খুশি লাল হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন।

পরপর ম্যাচ হেরেই চলেছে ইস্টবেঙ্গল। পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গোয়ার বিরুদ্ধে ৪-২ গোলে হারতে হয়েছে লাল হলুদকে। প্লেঅফে খেলা কার্যত অসম্ভব। ক্লাবে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। এমন সময়ে ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান তুলে দিল ফিফা। তাতে খুশি ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। তিনি বলেন, 'আমাদের একটা নিষেধাজ্ঞা ছিল, তা উঠে গিয়েছে। এখন আমরা নতুন খেলোয়াড় নিয়ে খেলাতে পারি। পরের সপ্তাহে হয়ত জ্যাক জার্ভিস খেলতে পারে। ওকে তিন সপ্তাহ আগে পেলে ভালো হত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়নি।'

এই মরশুমে ১১ নম্বর ম্যাচ হারল ইস্টবেঙ্গল। পরপর চারটি ম্যাচ হারল মশাল বাহিনী। প্লেঅফে ওঠার আর কোনও সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। বাকি ম্যাচগুলি হবে নিয়মরক্ষার খেলা।

ম্যাচের ২৩ মিনিটের মধ্যেই তিন গোল করে ফেলে এফসি গোয়া। হ্যাটট্রিক করেন এফসি গোয়ার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ইকের গুয়ারোতজেনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রি-কিক থেকে গোয়ার চতুর্থ গোল করেন ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ। চার গোলে এগিয়ে যায় গোয়া। বড় ব্যবধানে পিছিয়ে যাওয়ার পর দুই গোল শোধ করতে পারে স্টিফেনের ছেলেরা। অন্যান্য ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ইস্টবেঙ্গলকে ভুগিয়েছে তাদের রক্ষণ।

পারফরম্যান্স নিয়ে কনস্ট্যান্টাইন বলেন, 'প্রথমার্ধে আমরা খেলতেই পারিনি। বিরতির পরে ওরা একটা ফ্রি কিক পায়। যা কাজে লাগিয়ে ওরা ৪-০ করে। আমরাও দুই গোল করেছি। হয়ত একটা পেনাল্টিও পেতে পারতাম আমরা। কিন্তু এটাই যথেষ্ট নয়। কোনও দল দু-তিন গোলের লিড নিয়ে এগিয়ে গেলে, সেই ম্যাচে কিছু করার থাকে না। পুরো মরশুম ধরেই এমনটা চলছে। ৪৫-৬০ মিনিট আমরা ভাল খেলছি। এভাবে ম্যাচ জেতা যায় না।'

ম্যাচ হারার পিছনে সব দায় তিনি ফুটবলারদের উপর চাপান। তিনি বলেন, ‘দল লড়াইয়ে ফেরার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। ফলে এতে কোনও লাভ হয়নি।’

তবে স্টিফেনের এই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার যে চেষ্টা, তা ধোপে টিকবে না বলেই মনে করছে ফুটবলমহল। পরপর ম্যাচ হারায় অনুশীলনে সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। শুনতে হয়েছে 'গো ব্যাক' স্লোগানও। মাঠে যাচ্ছেন না সমর্থকরা। এখন এটাই দেখার বিষয় কবে জয়ের মুখ দেখতে পারে লাল হলুদ।

বন্ধ করুন