প্রথম বাঙালি ফুটবল কোচ হিসেবে বড় নজির গড়ে ফেললেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। মোহনবাগানের প্রাক্তন কোচ করে ফেললেন কোচিংয়ের প্রো লাইসেন্স। যা এই মুহূর্তে বাংলার আর কারও নেই। এখন আই লিগে সুদেবা দিল্লির কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। সোমবার তিনি এএফসি-র প্রো লাইসেন্স পাওয়া কোচ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলেন।
শঙ্করলালের দল সুদেবা যদিও আই লিগে ভালো জায়গায় নেই। এ বারের লিগে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তারা। অবনমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর মাঝেই কাজের কাজটি করে ফেললেন শঙ্কর। সুদেবার অবস্থা নড়বড়ে হলেও প্রো লাইসেন্স পাওয়ায় আইএসএলেও কোচিং করাতে কোনও বাধা রইল না শঙ্করলালের।
২০১৫ সালে আই লিগজয়ী মোহনবাগান দলের সহকারী কোচ ছিলেন শঙ্করলাল। সেই সময়ে বাগানের কোচের দায়িত্বে ছিলেন সঞ্জয় সেন। এর পর তিনি একক ভাবে মোহনবাগানের দায়িত্বও সামেলেছেন। পরে ভবানীপুর ক্লাবেও কোচিং করিয়েছেন শঙ্কর।
খেলোয়াড় জীবন হঠাৎ করেই থেমে গিয়েছিল তাঁর। কলকাতা ডার্বিতে তিনি ছিলেন ইস্টবেঙ্গল দলে। মোহনবাগানের হয়ে খেলছিলেন চিমা। শঙ্করের পায়ের উপর দিয়ে হেঁটে যান তিনি। তাতে ভেঙে গিয়েছিল শঙ্করের পা। শেষ হয়ে গিয়েছিল খেলোয়াড় জীবন। কিন্তু তিনি হার মানেননি। কোচ হয়ে ফিরেছেন ফুটবল মাঠে।
২০১২ সাল থেকে কোচিং করাচ্ছেন শঙ্করলাল। বাংলার ফুটবল সংস্থায় সহকারী কোচ ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে মোহনবাগানের সহকারী কোচ হন। সঞ্জয় সেনের সঙ্গে কাজ করতেন তিনি। পরে সঞ্জয় দায়িত্ব ছাড়ার পর কোচ হন শঙ্করলাল। মোহনবাগানকে কলকাতা লিগ জিতিয়েছিলেন তিনি। পরে ভবানীপুরের দায়িত্ব নেন শঙ্করলাল।
প্রো লাইসেন্স পাওয়ায় শঙ্করলাল এখন শুধু আইএসএল নয়, এশিয়ার যে কোনও দেশের ক্লাবেই কোচিং করাতে পারেন তিনি। ভারতে এর আগেও অনেকে প্রো লাইসেন্স পেয়েছেন। কিন্তু কোনও বাঙালি এই যোগ্যতা এর আগে অর্জন করতে পারেননি। বিনো জর্জ, খালেদ জামিল। ক্লিফোর্ড মিরান্ডার মতো অনেকেই প্রো লাইসেন্স পেয়েছেন। কিন্তু সেই তালিকায় এত দিন কোনও বাঙালি ছিলেন না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।