অবসর নিচ্ছেন ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় সুনীল ছেত্রী। এতদিন দলকে টেনে নিয়ে গেছেন। তাঁর কাঁধে ছিল বিশাল দায়িত্ব। কিন্তু ৩৯ বছরের সুনীল বুঝতে পারছিলেন মন চাইলেও শরীর চাইছে না। সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দলের হার মেনে নিতে পারেননি তিনি। গোল করে তিনি দলকে এগিয়ে দিলেও সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি ডিফেন্স। কিন্তু এটাও সত্যি, যে তাঁর খেলায় আগের মতো ঝাঁঝ কমছিল, সেটাই স্বাভাবিক। চেষ্টা করলেও ভারতের তরুণ ব্রিগেডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরোনো ছন্দে ফিরতে পারছিলেন না। ভাইচুং ভুটিয়া পরবর্তী সময় জাতীয় দলের নিয়মিত স্ট্রাইকার ছিলেন। দলকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জিতিয়েছেন। সেই ছেত্রী খেলবেন নিজের শেষ ম্যাচ ৬ জুন কুয়েতের বিপক্ষে। তাঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানালেও, ভারতীয় ফুটবলের স্বার্থে সুনীলকে অন্য কোনও ভূমিকায় ফিরতেই হবে, বলছেন একসময়ের সতীর্থ জেজে।
আরও পড়ুন-IPL 2024- 'খেলে-খেলে ঘরের কাচ ভাঙত, বোলার নয়, বল দেখে', পোড়েলের সাফল্যে খুশি পরিবার-কোচ
সত্যিকারের নেতার মতো আগলে রাখতেন জুনিয়রদের। কিন্তু এবার সময় এসেছে, বিদায়ের। জাতীয় দলে তিনি খেলা চালিয়ে গেলেও কারোর কিছু বলার ছিল না, কিন্তু মাস্টার ক্লাস খেলোয়াড়রা জানেন কখন থামতে হয়,জুনিয়রদের সুযোগ দিতে হয়। সেটাই করে দেখালেন সুনীল। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পর বেজায় মন খারাপ জাতীয় দলের প্রাক্তন সতীর্থ জেজে লালপেকলুহার। বলছেন সুনীলের অবসর জাতীয় দলে প্রভাব ফেলবে, শেষ ম্যাচ দেখতে কলকাতায় আসবেন।
আরও পড়ুন-কলকাতা থেকেই বিদায় জানাবেন আন্তর্জাতিক ফুটবলকে! অবসর ঘোষণা সুনীল ছেত্রীর
HT বাংলায় একান্ত সাক্ষাৎকারে জেজে লালপেকলুহা বললেন, ‘সুনীল অবসর নিয়েছে, এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছি। কিন্তু তাঁকে ছাড়া ভারতীয় ফুটবল ভাবতেই পারছি না। ওকে ভারতীয় দলের স্বার্থে অন্য কোনও ভূমিকায় ফিরতেই হবে।সুনীলের অভাব জাতীয় দলে পড়বে। কারণ ডেভিড, লালরিনজুয়ালা ছাংতেদের নির্ভরতা দিতে অনেক অনেক পরিশ্রম করতে হবে। অনেক হার্ডওয়ার্ক করতে হবে,ওর মতো ফুটবল খেলে নির্ভরতা দিতে গেলে। সন্দেশ, গুরপ্রীতরা রয়েছে, অধিনায়কত্ব নিয়ে তেমন সমস্যা হবে না, কিন্তু স্ট্রাইকার সমস্যা থাকবে ’।
আরও পড়ুন-‘একবার ক্রিকেট থেকে অবসর নিলে, তোমরা আর আমায় দেখতে'…অবসর নিয়ে বড় বার্তা বিরাটের, ভিডিয়ো
সুনীল ছেত্রী জাতীয় দলে তাঁকে কীভাবে মোটিভেট করেছিলেন তাও জানালেন জেজে। তাঁর কথায়, ‘ আমি সবে চোট সারিয়ে ফিরেছি। কোচ তখন উইম কোভারম্যানস, ২০১১ সাল নাগাদ। আমি সুনীলের রুম পার্টনার ছিলাম। চোট কাটিয়ে ফিরেছি, ট্রেনিংয়ে সময় পাচ্ছিলাম না। খেলার সুযোগ তেমন পাইনি। নয়ডায় ক্যাম্পে ছিলাম, তখন সুনীল এসে আমায় প্রশ্ন করেছিল, যে কি হয়েছে মন খারাপ কেন? ওই সময় একটু মন খারাপ ছিল, তখন সুনীল বলেছিল যে মাঠের ভিতরের সমস্যা তাঁকে নিজেই মেটাতে হবে। মন খারাপ করে বসে থাকলে হবে না। অন্য কেউ তোমার সমস্যা কাটাতে পারবে না, তোমাকেই করতে হবে। এই কথাটা আমায় অনেক মোটিভেট করেছিল। খুব মিস করছি আজ সুনীলকে। আমি কলকাতায় আসব ওর শেষ ম্যাচ দেখার জন্য’।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।