রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর যেন সবকিছুর মুশকিল আসান। ইস্টবেঙ্গল স্পনশর পাচ্ছেনা, আইএসএল খেলতে পারছেনা, সকলেই চলে গেলেন রাজ্যের মু্খ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তার দ্বারস্থ হতেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেল। তারপর লাল হলুদ কর্তাদের সঙ্গে আইএফএ কর্তাদের চুক্তি বিতর্ক, শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী এসে সব কিছু মিটিয়ে দিলেন। ময়দানে একটা কথা প্রচলিত হতে শুরু করেছে, যা কেউ পারবেন না তা মুখ্যমন্ত্রী পারবেন। সে কারণেই এ বার আইএফএ-এর কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হলেন।
কলকাতা প্রিমিয়ার লিগে রবিবার খেলা থাকলেও দল নামায়নি এটিকে-মোহনবাগান। আজ, মঙ্গলবার কল্যাণীতে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের। তারাও দল না নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করছি। বাংলার ফুটবলে এখন কী অবস্থা, তা জানাতে চাই।’ আসলে কলকাতা লিগে দুই প্রধান না খেললে সমস্যায় পড়বে আইএফএ। স্পনশর থেকে টেলিভিশন রাইট সর্বত্র দেখা যাবে জটিলতা। এমন অবস্থায় বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে আইএফএ-র কর্তারাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
দুই প্রধানের ঘরোয়া লিগে না খেলাকে কেন্দ্র করেই সোমবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছিল ময়দান। ফুটবলারদের নাম নথিভুক্ত করতে হয় সেন্ট্রাল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (সিআরএস)-এর মাধ্যমে। ৩১ অগস্ট যেহেতু গ্রীষ্মকালীন দল বদলের মরশুম শেষ হচ্ছে, তাই কলকাতার দুই প্রধানের কর্তারাই ফুটবলারদের নাম নথিভুক্ত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু আইএফএ তা বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে জানানো হয়। তার পরেই আইএফএ-র তরফে খুলে দেওয়া হয় সিআরএস। বাংলার ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সচিব বললেন, ‘সিআরএস খুলে দেওয়ার জন্য দুই প্রধান ও এআইএফএফ-র তরফে ফোন করা হয়েছিল। আমরা চাই না ফুটবল বন্ধ হয়ে যাক।’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়া সত্ত্বেও আইএসএলে অংশ নেওয়া নিশ্চিত করেছেন লগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা। এ বার বাংলার ফুটবলকে বাঁচাতে আইএফএ-র কর্তারাও দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলা ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এখন দেখার মুখ্যমন্ত্রী বাংলা ফুটবলকে বাঁচাতে দুই প্রধানকে কোনও সিদ্ধান্ত দেয় কিনা।