নভেম্বরে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই কলকাতায় সাম্বা ঝড় উঠতে চলেছে। পেলে, দিয়েগো মারাদোনা, ভালদেরামা, লিওনেল মেসিরা কলকাতায় এসেছিলেন। আইএসএলের দৌলতে বহু বিশ্ব ফুটবলের তারকাদের দেখেছে ভারত। এ বার আবার ৪ নভেম্বের কলকাতায় আসতে চলেছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু।
তাঁর কলকাতায় আসার আসল উদ্দেশ্য, পুলিশ ফ্রেন্ডশিপ কাপের উদ্বোধন করা। তবে যে উদ্দেশ্যেই আসুন না কেন, ব্রাজিলের প্রাক্তন তারকা ফুটবলার কাফুকে দেখার আগ্রহ কিন্তু তিলোত্তমার আকাশছোঁয়া। ফুটবল পাগল শহরে ব্রাজিল সমর্থকের সংখ্যা অগুণিত। যে কারণে সবাই একবার তাঁদের প্রিয় ফুটবলারকে সামনে থেকে দেখতে চাইছেন। এখন থেকেই কাফুকে বরণ করে নেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে কলকাতা।
আরও পড়ুন: I-League এও ফিরল হোম-অ্যাওয়ে ফর্ম্যাট, প্রথম ম্যাচেই গোকুলমের মুখোমুখি মহমেডান
বেঙ্গল পিয়ারলেস সংস্থার উদ্যোগে এই কিংবদন্তি রাইট ব্যাক শুক্রবার কলকাতায় আসছেন। সোমবার পর্যন্ত তাঁর ফুটবলের শহরেই থাকার কথা। কলকাতা পুলিশ ফ্রেন্ডশিপ কাপের উদ্বোধনে যোগ দেওয়া ছাড়াও একটি চ্যারিটি ফুটবল ম্যাচেও যোগ দেবেন এই তারকা ফুটবলার। তিনি একটি চ্যাট শোয়ে যোগ দেবেন।
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করবেন কাফু। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হাতে একটি জার্সি তুলে দেবেন। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ফুটবলপ্রেমের কথা সবারই জানা। ব্রাজিলের সমর্থক সৌরভ। তাঁর সঙ্গেও দেখা হবে কাফুর। বাংলার মহারাজের হাতে বুট তুলে দেবেন ব্রাজিলের হয়ে দু'বার বিশ্বকাপ জেতা কাফু। তাঁর আসার খবরে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরা এখন থেকেই উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসছে।
আরও পড়ুন: মোহনবাগানের সামনে থেকে সরবে ATK? শুরু ভাবনাচিন্তা, গঠন করা হল ৫ সদস্যের কমিটি
কলকাতায় পা রাখার আগে এক বার্তায় কাফু জানিয়েছেন, ‘কলকাতায় যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। কলকাতার জন্য আমার হৃদয়ে বিশেষ জায়গা রয়েছে। কারণ, আমাদের মতোই এই শহরের মানুষের ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা রয়েছে। আমি শুনেছি, বাংলায় ব্রাজিলের বহু সমর্থক আছেন। ভারতের মানুষ ফুটবল ভালোবাসেন। আমি নতুন প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। খেলার প্রতি আমার যে ভালোবাসা ও প্যাশন আছে, সেটা ছড়িয়ে দেওয়াই আমার লক্ষ্য।’
কাফু বিশ্বের একমাত্র ফুটবলার যিনি তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছেন। তার মধ্যে ব্রাজিল জিতেছে ২টি বিশ্বকাপে। ২০০২ সালে কাফুর অধিনায়কত্বেই শেষ বার বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। তার পর আর পেলের দেশ বিশ্বকাপ জেতেনি। ২০০২ সালের বিশ্বকাপটি আয়োজনের দায়িত্বে ছিল দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। সেটিই ছিল এশিয়ায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ এবং ব্রাজিলের জেতা শেষ বিশ্বকাপ। ব্রাজিল ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতে। এ ছাড়া ১৯৩৮ ও ১৯৭৮ সালে রানার-আপ হয়।
কাফু ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। বিশ্বকাপে রেকর্ড সংখ্যক ২০টি ম্য়াচ খেলার নজির রয়েছে তাঁর। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১৫টি ম্যাচ জেতার রেকর্ডও রয়েছে কাফুর দখলে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কাফু ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন। পাঁচটি গোলও রয়েছে তাঁর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।