কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনের ক্লাব মিলন বীথি। পিছিয়ে পড়া মতুয়াদের সামনের সারিতেই তুলে আনতেই নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বার কলকাতা ফুটবল লিগে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে মতুয়া সম্প্রদায়। আইএফএ অনুমোদিত প্রথম ডিভিশন ক্লাব মিলন বীথির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে মতুয়া। গত বছর প্রিমিয়ার ডিভিশন ছাড়া আর কোনও লিগ না হওয়ায় গড়ের মাঠে খেলা হয়নি। তবে এই বছর সব ডিভিশনের লিগ হতে চলেছে।
শুক্রবার ঠাকুরনগরে ওয়েস্ট বেঙ্গল মতুয়া ওয়েলফেয়ার বোর্ডের এক অনুষ্ঠানে মতুয়া মিলন বীথির জার্সি উন্মোচন করা হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বপন (বাবুন) বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই মতুয়া মিলন বীথির নতুন জার্সি উন্মোচন করেন। উপস্থিত ছিলেন মতুয়া মহাসংঘের চেয়ারপার্সন মমতাবালা ঠাকুর।
রঘু নন্দী এই দল নিয়ে এক সময়ে বলছিলেন, ‘যে ভাবে জঙ্গল মহলের সঙ্গে বাংলার ফুটবল পরিচিত হয়েছে, তেমনই কলকাতা লিগের হাত ধরে মতুয়ারাও বাংলার ফুটবলে অন্য মাত্রা এনে দেবে। আমাদের সকলকে ওদের সামনের দিকে এগিয়ে দিতে হবে। আর এটা করার জন্য ফুটবলের থেকে ভাল বিষয় কী হতে পারে!’
কলকাতা লিগে অংশ নেবে মতুয়াদের ফুটবল দল। যাঁর কোচ আবার মতুয়া সম্প্রদায়েরই গৌতম ঠাকুর। যিনি এক বছর মোহনবাগানে খেলেছেন। পাশাপাশি মহমেডান জার্সিতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এ ছাড়াও জর্জ টেলিগ্রাফ, টালিগঞ্জ অগ্রগামী, এরিয়ান্সের মতো ক্লাবে পরিচিত মুখ ছিলেন গৌতম। পাঁচ বছরের জন্য মিলন বিথীর সঙ্গে মতুয়াদের চুক্তি হয়েছে।
এ বার কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনে প্রথম বার খেলবে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলও। বেশ কিছু নতুন দলকে নিয়ে হবে এ বারের কলকাতা লিগ। নতুন ফুটবলারদেরও খেলতে দেখা যাবে। বাংলায় আরও কিছু প্রতিভাবান ফুটবলার উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ‘মতুয়া ফুটবল ক্লাব’ হিসেবে নামতে না পারার কোনও আফসোস নেই। লিগে খেলাটাই মতুয়াদের কাছে বড় প্রাপ্তি। মিলন বীথির নতুন নাম হল ‘মতুয়া মিলন বিথী ক্লাব’। জার্সিতে দুই দলের অর্থাৎ মতুয়া ফুটবল ক্লাব এবং মিলন বিথীর লোগো থাকবে। জার্সির রঙের ক্ষেত্রেও একই বিষয়। মতুয়াদের জার্সির রং লাল-সাদা। মিলনবীথির জার্সির রং লাল-হলুদ।