শুভব্রত মুখার্জি: আগামী সোমবার পর্যন্ত ইনভেস্টর ইস্যুতে ক্লাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানার বিষয়ে অপেক্ষা করতেই হবে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে ক্লাবের প্রাক্তনীদের। মধ্যস্থতায় কোন সমাধান সূত্র বের হয় কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে এই ইনভেস্টর ইস্যুতে রনক্ষেত্রে পরিনত হয়েছিল লাল হলুদ ক্লাব চত্বর। তারপরেই ইনভেস্টর বিষয়ে জট কাটাতে জড়িয়ে পড়েন বিধায়ক মদন মিত্র থেকে একাধিক প্রাক্তন ফুটবলার।
প্রসঙ্গত ২১ শে জুলাই যখন একদিকে শহীদ দিবস উপলক্ষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যের মাধ্যমে ভবিষ্যত পরিকল্পনা তার রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন তখন ক্লাব বনাম ইনভেস্টর ইস্যুতে লাল হলুদ তাবুকে ঘিরে ঘটে চলেছিল ধুন্ধুমার ঘটনা। ক্লাবের শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চুক্তি না করার কারণে একদিকে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছিলেন একদল সমর্থক। অন্যদিকে ক্লাব কর্তাদের সমর্থনে দাঁড়িয়ে ক্লাব বিকিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে আওয়াজ ওঠান আরেক দল। এই দুই গোষ্ঠীর বিবাদ এতটাই চরমে পৌছায় যে পুলিশকে লাঠি চার্জ পর্যন্ত করতে হয়েছিল।
বিষয়টিকে চিরতরে মিটিয়ে ফেলে ইস্টবেঙ্গল দল যাতে ফের আইএসএল সহ অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যকেই সামনে রেখে ক্লাবের প্রাক্তনীরা সোমবার এক বৈঠকে বসতে চলেছেন। যে বৈঠক ঘিরে আশায় বুক বাধছেন আপামর লাল হলুদ জনতা। তবে বৈঠকে সমস্যা না মিটলে আবার অনশনের হুমকি দিয়ে রেখেছেন প্রাক্তন ফুটবলার চন্দন বন্দোপাধ্যায়।
ইনভেস্টর ইস্যুতে ক্লাবের সমর্থনে রঞ্জি জয়ী বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেওয়ার পরে ব্যাপারটি অন্যমাত্রা পেয়েছে। ক্লাবের তরফে চুক্তিপত্র দেখানো হয়েছে ক্লাবের ২ প্রাক্তনী সুকুমার সমাজপতি ও চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যও। আগামি সোমবার ক্লাব তাবুতে দুপুরে এই চুক্তি বিষয়ক আলোচনায় কর্তাদের সঙ্গে বসবেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনীরা। বৈঠক কোন 'পথে' ক্লাব হাটবে তৈরি হবে তার রূপরেখা।
ক্লাবের লেটার হেডে দুই প্রাক্তন ফুটবলার সুকুমার সমাজপতি ও চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। যেখানে সকল প্রাক্তনীদের আহ্বান জানানো হয়েছে আগামি সোমবার ক্লাবে এই বিষয়ে বৈঠকে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে। দুপুর ৩টে থেকে শুরু হবে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে প্রাক্তনীরা ঠিক করবেন এই চুক্তি বিতর্কে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোন পথে হাটা উচিত।