একজন বক্সিংয়ের সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, অপরজন ফুটবলের অন্যতম সর্বকালের সেরা। খেলার গণ্ডি পেরিয়ে দুই সর্বকালের সেরা তারকার এক অনন্য রসায়ন গড়ে উঠেছিল। দু'জনেই একে অপরের প্রশংসা করতে কখনও কুণ্ঠাবোধ করেননি।
বিশ্বের ক্রীড়াজগতে প্রায় একই সময় রাজত্ব করেছিলেন মহম্মদ আলি এবং পেলে। তারইমধ্যে ১৯৭৭ সালের ১ অক্টোবর ওল্ড জায়েন্টস স্টেডিয়ামে পেলে এবং আলির সাক্ষাৎ হয়েছিল। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী পেলের নিউ ইয়র্ক কসমসের একটি ম্যাচের পর মাঠে নেমে এসেছিলেন আলি। পেলের সঙ্গে দেখা করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। পেলের সঙ্গে লকার রুম পর্যন্ত গিয়েছিলেন আলি।
আরও পড়ুন: Pele Unknown Facts: ইউরোপে খেলা আটকে বিশেষ প্রস্তাব, 'স্বীকৃতিহীন সন্তান' - পেলের ৭ অজানা কাহিনি
পরবর্তীতে পেলে ও আলির সম্পর্কের রসায়ন আরও মজবুত হয়েছিল। তারইমধ্যে ২০১৬ সালে নিজের বন্ধুকে হারিয়েছিলেন পেলে। পার্কিনসন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল আলির। সেইসময় ফেসবুকে পেলে আবেগমাখা পোস্ট করেছিলেন। ২০১৬ সালের ৪ জুন ফেসবুক পোস্টে পেলে লিখেছিলেন, ‘বড়সড় ক্ষতি হল ক্রীড়া দুনিয়ার। মহম্মদ আলি আমার বন্ধু ছিলেন। আমার আইডল ছিলেন। আমার হিরো ছিলেন। আমরা একসঙ্গে অনেক মুহূর্ত কাটিয়েছি এবং দীর্ঘদিন ধরে ভালো যোগাযোগ রেখেছিলাম। এই দুঃখের কোনও শেষ নেই। ঈশ্বরের কাছে যেন শান্তিতে ঘুমায়। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা রইল।’
আরও পড়ুন: Pele's Goals: হাজারের বেশি গোল রয়েছে কিংবদন্তি পেলের ঝুলিতে, তাঁর কিছু ঝলক দেখলে মন ভরে যাবে
বিশ্বের ক্রীড়াজগতের দুই সর্বকালের অন্যতম সেরা পেলে এবং আলি
বিশ্বের সর্বকালের সেরা কিনা, তা নিয়ে হয়তো ভিন্নমত থাকতে পারে। কিন্তু দু'জনে যে নিজের-নিজের ক্ষেত্রে ইতিহাস তৈরি করেছিলেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশ্বের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ইতিহাস জিতেছিলেন পেলে। আবার তিনবার হেভিওয়েট খেতাব জিতেছিলেন আলি। পেশাদারি কেরিয়ারে মোট ৫৬ টি ম্যাচ জিতেছিলেন। ৩৭ বার প্রতিপক্ষকে নক-আউট করেছিলেন। যিনি রিংয়ের মধ্যে 'প্রজাপতির মতো উড়তেন'।