প্রয়াত হলেন '৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিক্সে ভারতীয় দলের তারকা গোলকিপার

সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বাবু নারায়ণকে। অস্ত্রোপচারও নাকি সফল ভাবে হয়েছিল। তাঁকে হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পরেই নাকি বাড়ি ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাবু নারায়ণ।

বাবু নারায়ণ।

টোকিও অলিম্পিক্স থেকে যখন একের পর এক ভারতের সাফল্যের খবরে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে ভাসছে, সেই সময়েই আরও এক নক্ষত্র পতন ঘটল। প্রয়াত হলেন দু'বারের অলিম্পিয়ান এবং ভারতীয় ফুটবল দলের গোলকিপার শঙ্কর সুব্রহ্মণ্যম ওরফে বাবু নারায়ণ। ৮৬ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি।

পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল বাবু নারায়ণকে। অস্ত্রোপচারও নাকি সফল ভাবে হয়েছিল। তাঁকে হাসপাতাল থেকেও ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পরেই নাকি বাড়ি ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বাবু নারায়ণ। আর এই ধাক্কাটা সামলে উঠতে পারেননি বর্ষীয়ান এই তারকা গোলকিপার। নিজের বাসভবনেই প্রয়াত হন বাবু নারায়ণ। 

কেরলের পাল্লাকাডে জন্ম হয় বাবু নারায়ণের। মুম্বইয়ে বিভিন্ন ক্লাবে খেলেছেন তিনি। মুম্বইয়ে খেলার সময় থেকেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে শুরু করেছিলেন। দীর্ঘ এক দশক ধরে ভারতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্নে অলিম্পিক্সে ফুটবলে চতুর্থ হয়েছিল ভারত। সেই দলের সদস্য ছিলেন বাবু নারায়ণ। এর পরের বার ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সেও ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিল যে ফুটবল দল, সেই দলেও ছিলেন তিনি। ১৯৬৪ সালে মহারাষ্ট্রের সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়। এই দলেরও গুরুত্বপূ্র্ণ সদস্য ছিলেন বাবু নারায়ণ। শুধু ফুটবল নয়, মহারাষ্ট্রের হয়ে চুটিয়ে বাস্কেটবলও খেলেছেন কেরলের এই ফুটবলার।