EURO 2020: তারুণ্যে ভর করেই ইউরো খেতাব ‘ঘরে আনার’ লক্ষ্যে ইংল্যান্ড

ক্রোয়শিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে নিজেদের ইউরো অভিযান শুরু করছে থ্রি লায়ন্স।

ইংল্যান্ড জাতীয় দল। ছবি- টুইটার।

আড়াই দশক আগে ১৯৯৬ সালে শেষবার ইংল্যান্ড ইউরোর সেমিফাইনালে পৌঁছেছিল। সেটাই ইউরোর মঞ্চে তাঁদের সেরা পারফরম্যান্স। তারপর বহুবছর ও টুর্নামেন্ট কেটে গেলেও ট্রফি জেতা তো দূর, শেষবার আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে প্রি-কোয়ার্টারফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল থ্রি লায়ান্সকে। 

তবে সময় বদলেছে। বদল ঘটেছে খেলোয়াড় এবং দলের খেলার ধরনেও। এবার টুর্নামেন্টের অন্যতম তরুণ দল ইংল্যান্ড। অতীতের গ্লানি থেকে মুক্ত, নতুন ইতিহাস রচনার লক্ষ্যেই মাঠে নামতে চলেছে গ্যারেথ সাউথগেটের তরুণ ব্রিগেড। বাকিদের তুলনায় খানিকটা সহজ গ্রুপ ‘ডি’-তে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র। তাই খাতায় কলমে গ্রুপ লিডার হিসাবে পরের রাউন্ডে যাওয়ার প্রবল দাবিদার সাউথগেটের দল।

তরুণ দলের প্রতিভাশালী নেতা স্ট্রাইকার হ্যারি কেন, শুধু ইংল্যান্ড নয়, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার। যে কোন দলের বিরুদ্ধে, যে কোন ডিফেন্স, যে কোন সময় ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন কেন। টটেনহ্যামের এই স্ট্রাইকারের ইংল্যান্ড জার্সিতে ৫৪ ম্য়াচে ৩৪ গোলের রেকর্ডও বেশ ঈর্ষনীয়। গোলের জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে থাকবে গোটা দল।

দলের সহ-অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ ফুটবলার জর্ডন হেন্ডারসনও সঠিক সময়ে চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন। গত বিশ্বকাপে মাঝমাঠে তাঁর নেতৃত্ব এবং তাঁর ম্য়াচের গতি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এবারেও তাঁর ওপর দায়িত্ব বিশাল। তবে অভিজ্ঞ তারকাদের মধ্যেও এবারে ইংল্যান্ড দলের যাকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই, তিনি হলেন ফিল ফডেন। 

তরুণ ম্যাঞ্চেস্টার সিটির এই ফুটবলার সদ্য প্রিমিয়র লিগ জেতার পাশাপাশি, লিগের সেরা তরুণ খেলোয়াড় হিসাবে একাধিক পুরস্কার জিতে নিয়েছেন। চিরাচরিত ইংলিশ ঘরানার থেকে আলাদা, বল পায়ে নিজের দক্ষতার জন্য খ্যাত ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার। তাঁর থেকে বয়সে একটু বড় হলেও অনেকটা একই ভূমিকা পালন করতে সুদক্ষ অ্যাস্টন ভিলার জ্যাক গ্রিলিশ। এছাড়া মার্কাস র‌্যাশফোর্ড, জেডন স্যাঞ্চো, রাহিম স্টার্লিংয়ের মতো খেলোয়াড়রা যে কোন সময়ে ম্যাচের রং বদলে দিতে পারেন।

তবে টুর্নামেন্টের আগে সাউথগেটের বড় চিন্তার কারণ তাঁর প্রধান ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ারের ফিটনেস। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড অধিনায়ক চোটের কারণে ইংল্যান্ডের দু'টি প্রস্তুতি ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। টুর্নামেন্টে কবে থেকে তিনি খেলতে পারবেন, সেই বিষয়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে।