বাংলা নিউজ > ময়দান > ফুটবলের মহারণ > EURO 2020 Final: ফাইনালে হারের পর বর্ণবিদ্বেষের শিকার, স্যাঞ্চো-রাশফোর্ডের পরে এবার মুখ খুললেন বুকায়ো সাকা

EURO 2020 Final: ফাইনালে হারের পর বর্ণবিদ্বেষের শিকার, স্যাঞ্চো-রাশফোর্ডের পরে এবার মুখ খুললেন বুকায়ো সাকা

পেনাল্টি মিসের পর বুকায়ো সাকা। ছবি- রয়টার্স। (Pool via REUTERS)

ম্যাচের শেষ পেনাল্টি মিস করেন সাকা।

শুভব্রত মুখার্জি

ইউরো কাপ ২০২০ সালে গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ভাল খেলেছে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। তবে ফাইনালে ইতালির কাছে তাদের হার স্বীকার করতে হয়েছে। ইংল্যান্ডের এই সাফল্যের অন্যতম কারিগর ১৯ বছর বয়সী আর্সেনালের তরুণ ফুটবলার বুকায়ো সাকা। ই

ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে ইংল্যান্ডের স্যাঞ্চো, রাশফোর্ডের পরে সাকর পেনাল্টি শট আটকে দিয়ে ইতালিকে দ্বিতীয় ইউরো কাপের ট্রফি জয়ে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছিলেন তাদের ২২ বছর বয়সী গোলরক্ষক দোনারুমা। সেই ফাইনাল হারের যন্ত্রণার পাশাপাশি তিন পেনাল্টি মিস করা ইংরেজ ফুটবলারদের চরম বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে তাদের সমর্থকদের হাতেই। ইউরো ফাইনাল হারের এতদিন পরে এই নিয়ে মুখ খুললেন সাকা।

উল্লেখ্য ওয়েম্বলিতে ইউরো কাপ ২০২০-র ফাইনাল এক্সট্রা টাইমের পরেও ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকার কারণে পেনাল্টি পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সেখানেই নিজের পেনাল্টি নেওয়ার সময় কার্যত বিপর্যয় নেমে আসে আর্সেনালের ফুটবলার সাকার জীবনে। পেনাল্টি মিস করে ফাইনাল হারের পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্য করা হয়। আর এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রথমেই ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামকে সাকা আবেদন জানিয়েছেন এই ধরনের বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যকে যেন কোনভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া না হয়।

সোশ্যাল মাধ্যমে এক মেসেজে সাকা লেখেন, 'আমি কখনো চাইবনা কোন শিশু বা কোন বয়স্ক মানুষ এবং তার পরিবারকে এই ধরনের বিদ্বেষমূলক, আঘাতপ্রদানকারী বার্তার সম্মুখীন হতে হয় যা শেষ সপ্তাহ থেকে আমি, জেডন এবং মার্কাস পেয়ে আসছি। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম যে কি ধরনের বিদ্বেষ আমাদের উদ্দেশ্যে ধেয়ে আসছে। বাস্তবে সবথেকে বড় দুঃখজনক বিষয় হল আপনার শক্তিশালী এই সোশ্যাল মাধ্যম এসব বার্তা ঠেকাতে কোনরকম কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। '

সাকা আর ও লেখেন, 'এই ইংল্যান্ড স্কোয়াডে যারা তাদের খেলার মধ্যে দিয়ে সবার সামনে একটা উদাহরণ তৈরি করেছে তার অংশ হিসেবে আমি গর্বিত। স্কোয়াডের সকলে আমার জীবনে সর্বদা ভাতৃসম হয়ে থাকবেন। স্কোয়াডে থাকা প্রত্যেক ফুটবলার এবং স্টাফ যাদের থেকে আমি সবসময় শিখেছি তাদের কাছে আমি চিরঋনী হয়ে থাকব। তাদের এই পরিশ্রম আমাদেরকে ৫৫ বছরে প্রথমবার ফাইনালে পৌছাতে সাহায্য করেছে। দর্শকাসনে আমার পরিবারকে দেখে আমার মনে পড়ে যাচ্ছিল আমাকে এই জায়গায় দেখতে আমার পরিবারকে কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।'

বন্ধ করুন